মুখোশ দিয়ে ফিরলেন পরীমণি

| আপডেট :  ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:১০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:১০ অপরাহ্ণ

‘আমি ভেঙে পড়ার মেয়ে না। ভেঙে পড়লেও তো উঠে দাঁড়াব। আমাকে যারা চেনেন, তারা জানেন, আমি কেমন। আমি এখন দ্রুত কাজে ফেরার অপেক্ষা করছি।’ জেল থেকে বেরিয়ে এমনটাই জানিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। তিনি কথা রেখেছেন।

তরুণ নির্মাতা ইফতেখার শুভর ‘মুখোশ’ দিয়ে চলচ্চিত্রের কাজে ফিরেছেন পরীমণি। এরই মধ্যে দুদিন কাজও করেছেন তিনি। শুটিং নয়, এই চলচ্চিত্রের ডাবিং দিয়েই যাত্রা শুরু করলেন প্রতিবাদী এই অভিনেত্রীর। গত মঙ্গলবার ও বুধবার ঢাকার একটি স্টুডিওতে ডাবিং করেছেন তিনি।

কাজে ফেরার খবরটি নিশ্চিত করে পরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আবার কাজে ফিরতে পেরে আমি খুশি। দেশের মানুষ আমাকে চলচ্চিত্রের জন্য ভালোবেসেছে। তাদের সেই ভালোবাসার প্রতিদান আমি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দিতে চাই। নিয়মিত কাজ করে যেতে চাই। ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরাই আমার শক্তি, সাহস ও প্রেরণার উৎস, তাদের কারণেই আমাকে এগিয়ে যেতে হবে।’

পরীর কাজে ফেরায় স্বস্তি প্রকাশ করে নির্মাতা ইফতেখার শুভ বলেন, ‘আমরা একটু টেনশনে ছিলাম, তবে আত্মবিশ্বাস ছিল। আমাদের সবারই উচিত তার কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা। পরীর ওপর দিয়ে যে মানসিক নির্যাতনের ঝড় বয়ে গেছে, তা কাজের মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে তাকে সহযোগিতা করা। আত্মবিশ্বাসী পরীকে আবারও চলচ্চিত্রে নিয়মিত দেখতে পাওয়াটা আমাদের জন্য স্বস্তির ও আনন্দের হবে।’

শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই শুটিংয়ে অংশ নিবেন পরীমণি। শুরুতে বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবন অবলম্বনে নির্মাণাধীন ‘প্রীতিলতা’ সিনেমার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে পারেন নায়িকা। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর পরীমণির সঙ্গে দেখা করেছেন ‘প্রীতিলতা’র পরিচালক রাশিদ পলাশ।

তিনি জানান, ‘আমরা তার সঙ্গে দেখা করেছি। তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখার চেষ্টা করছি। একটু সময় তো দিতে হবেই। তা ছাড়া তার সামান্য ওজন বেড়েছে, সেটাও একটা ব্যাপার। আমরা মানসিক ভাবে শুটিংয়ের তারিখ স্থির করেছি। তবে সেটা কবে, এখনই বলতে চাই না।’

পরী প্রসঙ্গে তরুণ প্রতিভাবান এই চলচ্চিত্র পরিচালক জানিয়েছেন, ‘পরীমণির সঙ্গে ‘প্রীতিলতা’ করতে গিয়েই পরিচয়। আমার কাছে তিনি একজন দারুণ অভিনেত্রী। অত্যন্ত মানবিক একজন মানুষ। প্রীতিলতা-র সেটে তার যে সহযোগিতা পেয়েছি, সে ঋণ আমরা শোধ করতে পারবো না। পরীমণি গ্রেপ্তার হওয়ার পরে মানবিক কারণেই আমরা তার পাশে ছিলাম। পরীমণি আমাদের প্রীতিলতা। তার মুক্তির জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম কারণ এই মানুষটা সব সময় আমাদের পাশে ছিল।’