যেভাবে মৃত থেকে জীবিত হলেন ৭৩ বছরের বৃদ্ধা

| আপডেট :  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ অপরাহ্ণ

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর গ্রামের ৭৩ বছরের বৃদ্ধা আছিয়া খাতুন। জীবিত থাকলেও ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তাকে মৃত দেখানো হয়েছিল। ফলে আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলেও বয়ষ্ক ভাতা পাচ্ছিলেন না তিনি। তবে একজন মানবিক মানুষের চেষ্টায় অবশেষে সমস্যা সমাধান হয়েছে আছিয়া খাতুনের।

এমনকি ইতোমধ্যে বয়স্ক ভাতার জন্যও আবেদন করেছেন তিনি। জানা গেছে, আছিয়া খাতুন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গড় মাছুয়া নামাপাড়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের স্ত্রী। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তার বয়স ৭৩ বছরেরও কিছু বেশি। সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়স্কভাতা পেতে হলে ৬২ বছর হলেই চলে। কিন্তু বেঁচে থাকলেও ভোটার তালিকায় তাকে মৃত দেখানো হয়েছিল। ফলে বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে পারছিলেন না তিনি।

এমনকি গুরুতর এ ভুল সংশোধনে কি করবেন, সেটিও ভেবে পাচ্ছিল না ভুক্তভোগী পরিবারটি। পরে এ নিয়ে গত ২২ আগস্ট সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং সংবাদটি দেখে বৃদ্ধা আছিয়া খাতুনকে সহযোগিতা করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন আসমা চৌধুরী নামে জেলা শহরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক।

পরবর্তীতে, তিনি আছিয়া খাতুনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আছিয়া খাতুনকে নির্বাচন অফিসে আনা থেকে শুরু করে আবেদন করানো সবই অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সম্পন্ন করান। এমনকি কেবল আবেদন করিয়েই দায়িত্ব শেষ না করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে সংশোধনের মাধ্যমে ভোটার তালিকায় আছিয়া খাতুনকে জীবিত হিসেবে লিপিবদ্ধ করাতে সক্ষম হন আসমা চৌধুরী।

এ বিষয়ে আছিয়া খাতুনের ছেলে আবদুস সালাম বলেন, এমন সুখের দিন আমার মায়ের জীবনে আর আসেনি। ভোটার তালিকা সংশোধন নয়, যেন তিনি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন। এদিকে ভোটার তালিকায় জীবিত হিসেবে সংশোধনের পর বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেছেন আছিয়া খাতুন। এক্ষেত্রেও যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছেন আসমা চৌধুরী।

এ বিষয়ে আসমা চৌধুরী বলেন, একজন অসহায় মা বিপদগ্রস্ত অবস্থায় পড়েছেন জেনে ভীষণ খারাপ লেগেছিলো। তবে তার পাশে দাঁড়াতে পেরে এখন ভালো লাগছে।