পরীকে গ্রেফতারের কারণ জানালেন ঢাবি শিক্ষক

| আপডেট :  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

মাদক মামলায় প্রায় ২৭ দিন কারাগারে থাকার পর গত ১ সেপ্টেম্বর জামিন পেয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনি। র‍্যাবের হাতে ৪ আগস্ট আটকের পর ২৭ দিনে তাকে মোট তিনবার রিমান্ডে নেয়া হয়। আর পরীমনির গ্রেফতারের এই বিষয় নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিবাদী’ হওয়ার কারণেই তাকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে ‘হেনস্তা’ করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) এফডিসিতে ‘বিনোদন জগতে মাদকের অপব্যবহার বাড়ার কারণ’ নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘পরীমণিকে মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার করে হেনস্তা করার কারণ, তিনি প্রতিবাদী। অন্যায়ভাবে তাকে বারবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পরীমণির মতো অপরাধে অভিযুক্তদের বারবার রিমান্ডে নেওয়া উচিত নয়। উচ্চ আদালত হস্তক্ষেপ না করলে তার জামিন হয়তো আরও বিলম্বিত হতো।’

এ সমাজচিন্তক আরও বলেন, ‘বিনোদন ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে হয়তো পরীমণিকে বোট ক্লাবে যেতে হয়েছে। তার ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত। বাংলাদেশ তালেবানি রাষ্ট্র নয় যে, পরীমণিদের নিগৃহীত হতে হবে।’

সমাজে নারীরা এখনও ‘নিরাপত্তাহীন’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজে নারীরা নিরাপত্তাহীন। পুরুষতান্ত্রিকতা ও অর্থের কাছে আত্মসমর্পণ একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা নারীকে পণ্যে পরিণত করে। এ দেশেও তাই হচ্ছে। সমাজে সৃজনশীলতা ক্রমশ মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছে। সামাজিক পরিবর্তন ছাড়া এ অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়।’

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাবের একটি দল। এসময় র‍্যাবের পক্ষ থেকে পরীমনির বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের দাবি করা হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় র‍্যাব বাদী হয়ে পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটা মামলা দায়ের করে।