ডাকাতদলের নেতৃত্বে ২ এসআই!

| আপডেট :  ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:১৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:১৫ অপরাহ্ণ

পুলিশের অ’পরাধ ত’দন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক (এসআই) আকসাদুজ্জামান। কর্মরত ছিলেন সংস্থাটির ডেমরা জোনে। দীর্ঘদিন ধরেই আছেন সিআইডিতে। পুলিশ বাহিনীতে চাকরির পাশাপাশি বিভিন্ন অ’পরাধে যুক্ত হয়ে পড়েন আকসাদুজ্জামান। এমনকি ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন ডাকাতদলের সঙ্গে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তার নেতৃত্বে ঘটেছে একাধিক অ’পরাধের ঘটনা।

২০২০ সালে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় এক প্রবাসীর টাকা লু’টের অ’ভিযোগ ওঠে আকসাদুজ্জামানের বি’রুদ্ধে। অ’ভিযোগ আসার পর ত’দন্তে নামে পুলিশের একটি সংস্থা। তাছাড়া ওই ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মা’মলা হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রে’প্তারও করে পুলিশ। আ’সামিদের জ’বানব’ন্দিতেও আকসাদুজ্জামানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।

দীর্ঘ ত’দন্ত শেষে অ’ভিযোগ প্রমাণ হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে ছিলেন লা’পা’ত্তা। তবে শেষমেশ তাকে দেশের উত্তরাঞ্চলের একটি জে’লা থেকে গতকাল বুধবার গ্রে’প্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আ’দালতে হাজির করার কথা রয়েছে।

আকসাদুজ্জামানে মতোই ঢাকা মহানগর গো’য়েন্দা পুলিশের (ডি’বি) এক এসআইও একই ধরনের কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তার নাম রাশেদ। তিনি দীর্ঘদিন ডি’বির গুলশান ডিভিশনের ক্যা’ন্টনমেন্ট জোনাল টিমের সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে গুলশান এলাকায় এক হুন্ডি ব্যবসায়ীর অর্ধকোটি টাকা লু’ট করে রাশেদের নেতৃত্বে একটি চ’ক্র। এ ঘটনায় ওই হুন্ডি ব্যবসায়ী গুলশান থানায় মা’মলা করেন। তখন প্রথমে বরখাস্ত করা হয় রাশেদকে। একপর্যায়ে গ্রে’প্তারও করা হয় তাকে। প্রায় ছয় মাস কারাভোগের পর বর্তমানে তিনি জা’মিনে আছেন।

সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তরকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আকসাদুজ্জামান ও রাশেদ বিভিন্ন অ’পরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বলে অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে বেশি বে’পরোয়া আকসাদুজ্জামান। তার চ’ক্রে রয়েছেন সিআইডির একজন কথিত রাইটার ও সাবেক এক সে’নাসদস্য।

এই চ’ক্রের টার্গেটে থাকত বিদেশগামী ও বিদেশফেরত প্রবাসীরা। ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে সিআইডিতে ভাড়ায় চালিত একটি মাইক্রোবাস। গত বছর বিমানবন্দর যাওয়ার পথে এক প্রবাসীর টাকা ও মালামাল লু’টের মা’মলায় গ্রে’প্তার আ’সামিদের জ’বানব’ন্দিতে চাঞ্চল্যকর এমন সব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। রাশেদ জা’মিনে কারামুক্ত হয়ে আকসাদুজ্জামানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছে। অ’ভিযোগের বি’ষয়ে বক্তব্য জানতে এসআই আকসাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আকসাদুজ্জামানের বি’ষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গো’য়েন্দা পুলিশের উত্তরা জোনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘২০২০ সালের শেষের দিকে বিমানবন্দর এলাকায় এক প্রবাসীর টাকা-পয়সা লু’ট হয়। থানায় মা’মলা হলে ত’দন্ত শুরু করে গো’য়েন্দা পুলিশ। একপর্যায়ে ওই মা’মলায় ৬ আ’সামিকে গ্রে’প্তার করা হয়। তাদের মধ্যে হাসান রাজা নামে এক আ’সামির জ’বানব’ন্দিতে সিআইডির এক এসআইর নাম উঠে আসে।

এমন তথ্য আসার পর তার বি’ষয়ে আরও বিস্তারিত ত’দন্ত করে ঘটনার মূল হোতা হিসেবে তাকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর সিআইডিকে এ বি’ষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর সম্প্রতি তারা এসআই আকসাদুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করে। তারপর থেকে তিনি প’লাতক। তাকে গ্রে’প্তার করতে ডি’বির অ’ভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দু-একদিনের মধ্যে তাকে গ্রে’প্তার করা সম্ভব হবে।’

এই গো’য়েন্দা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ডি’বির এসআই রাশেদও একই ধরনের কর্মকা- চা’লিয়েছে। ২০১৯ সালে টাকা লু’টের ঘটনায় রাশেদকে গ্রে’প্তার করা হয়। জা’মিনে বের হয়ে তিনি আকসাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তাকেও নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।’

পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত বছরের ১৯ অক্টোবর দুবাই যাওয়ার জন্য টিকাটুলীর বাসা থেকে থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বিমানবন্দরের পথে রওনা হন রোমান মিয়া নামে এক প্রবাসী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ফুপাতো ভাই মনির হোসেন। তাদের অটোরিকশাটি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিমানবন্দরসংলগ্ন কাওলা ফুটওভার ব্রিজের কাছে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস ও দুটি মোটরসাইকেল এসে গতিরোধ করে। পরে ডি’বি সদস্য পরিচয়ে রোমান মিয়াকে চোখ বেঁ’ধে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়।

আর মনির হোসেনকে মা’রধর করে রাস্তায় ফে’লে দেওয়া হয়। পরে রোমানকে গাড়ির ভেতর মা’রধর করে আনুমানিক ৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা সমমূল্যের ইউএস ডলার, দিরহাম ও মোবাইল ফোন লু’টে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে রামপুরা স্টাফ কোয়ার্টার রোডে চোখ বাঁ’ধা অবস্থায় ফে’লে রেখে যায়। পরে দুই নারী রোমানকে উ’দ্ধার করে তার আত্মীয়স্বজনকে খবর দিলে তারা রোমানকে বাসায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন ২০ অক্টোবর রোমান মিয়া বা’দী হয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মা’মলা করেন।

ওই মা’মলার ত’দন্ত শুরু করে ঢাকা মহানগর গো’য়েন্দা পুলিশ। থানায় করা মা’মলা ত’দন্তের একপর্যায়ে কাওলা এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। সেই ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ৭টা ৩৪ মিনিটে রোমান মিয়াকে বহনকারী অটোরিকশাটিকে একটি মাইক্রোবাস ও দুটি মোটরসাইকেল অনুসরণ করছে। অ’ভিযোগ নিশ্চিত হওয়ার পর বা’দীকে ডেকে পাঠানো হয় ডি’বি কার্যালয়ে। তিনি গাড়িটি শনাক্ত করেন। পরে ওই গাড়ির নাম্বার প্লেটের সূত্র ধরে গাড়িটির মালিককে ডেকে আনে পুলিশ। তিনি পুলিশকে জানান, গাড়িটি সিআইডিতে বাৎসরিক চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। চালককে ডেকে পাঠালে তিনি ওইদিন ভোরে সিআইডির এক এসআইকে বিমানবন্দর এলাকায় নিয়ে যান বলে স্বীকার করেন। একই সঙ্গে ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেন।

এরপর এসআই আকসাদুজ্জামান সম্পর্কে ধারণা পায় পুলিশ। কিন্তু তখন পর্যন্ত তিনি ঘটনার সঙ্গে জ’ড়িত কিনা তা নিশ্চিত হতে কিছুটা বেগ পেতে হয় পুলিশকে। পরে পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ঢাকার রামপুরা ও কাফরুল এলাকা থেকে গ্রে’প্তার করে আমির হোসেন তালুকদার, রিজু মিয়া, হাসান রাজা, মোশারফ হোসেন, সেলিম মোল্লা ও মো. রিপন মোড়লকে। তাদের মধ্যে হাসান রাজা ও সেলিম মোল্লার বি’রুদ্ধে বিমানবন্দর, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও মাদারীপুরে ৩টি করে ডাকাতি মা’মলা রয়েছে। আ’সামিদের মধ্যে আ’দালতে স্বী’কারোক্তিমূলক জ’বানব’ন্দি দেন সাবেক সে’নাসদস্য হাসান রাজা।

সেখানে তিনি দাবি করেন, এই চ’ক্রের মূল হোতা সিআইডির এসআই আকসাদুজ্জামান। তার পরিকল্পনায় এ ঘটনা ঘটেছে। এরপর নড়েচড়ে বসে গো’য়েন্দারা। তারা একপর্যায়ে আকসাদুজ্জামানের কলরেকর্ড পরীক্ষা করে হাসান রাজার ভাষ্যের সত্যতা পান। কলরেকর্ডে দেখা যায়, কয়েকজন সোর্সের সঙ্গে কথা বলছেন আকসাদুজ্জামান। তার মধ্যে গ্রে’প্তারকৃত সিআইডির কথিত রাইটার মোশারফের ভ’য়েজ রেকর্ড পাওয়া যায়। সেখানে বলতে শোনা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রবাসীদের কাছ থেকে মালামাল লু’ট করার পরিকল্পনা।

এর আগেও তারা এ ধরনের আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে বলে রেকর্ডে পরিষ্কারভাবে শুনতে পান ত’দন্তকারী কর্মকর্তারা। তাছাড়া টাকা লু’টের ঘটনায় আকসাদুজ্জামানের সংশ্লিষ্টতার বি’ষয়েও পুলিশের হাতে একাধিক প্রমাণ আসে। ঘটনার বিস্তারিত জানতে তাকে তিন দফা ডি’বি কার্যালয়ে এনে জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকারও করেন তিনি। এরপর সিআইডির একজন সহকারী পুলিশ সুপারের জিম্মায় তাকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সম্প্রতি বরখাস্ত করা হয় এসআই আকসাদুজ্জামানকে। তারপর থেকে তিনি লা’পা’ত্তা।

ঢাকা মহানগর গো’য়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার কায়সার রিজভী কোরাইশী বলেন, ‘গ্রে’প্তার ছয়জনের মধ্যে একজন আ’দালতে ১৬৪ ধারায় জ’বানব’ন্দি দিয়েছে। জ’বানব’ন্দিতে ডাকাতি চ’ক্রের মূল হোতা হিসেবে এসআই আকসাদুজ্জামানের নাম উঠে এসেছে। ঘটনার দুদিন আগে আকসাদুজ্জামান তার সোর্সের মাধ্যমে ডলার নিয়ে বিদেশগামী যাত্রীর বি’ষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর সে সঙ্গীদের জোগাড় করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সিআইডির কথিত রাইটার মোশারফসহ তারা খিলগাঁও এলাকায় জড়ো হয়। এরপর তারা সিআইডিতে ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিআইডিতে ব্যবহৃত (ঢাকা মেট্রো-চ-১৯-২২৩৭) নাম্বারের মাইক্রোবাস চালক হারুন-অর-রশিদকে ফোন দেয় আকসাদুজ্জামান।’

এই গো’য়েন্দা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অ’ভিযানের কথা বলে তাকে (চালক) ভোরে আসতে বলা হয়। ঘটনার দিন আকসাদুজ্জামানের সিআইডির ডিউটি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। এ কারণে হারুন গাড়ি নিয়ে সিআইডির সামনে এলে তাকে খিলগাঁও এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আরও ৬-৭ জন গাড়িতে ওঠে। এরপর তাদের অনুসরণ করতে থাকে আরও ২টি মোটরসাইকেল। তারা কাওলা এলাকায় সিএনজি অটোরিকশাটি ব্যারিকেড দিয়ে একজনকে তুলে নেয়। এরপর ওই যাত্রীর কাছ থেকে মালামাল লু’টে রামপুরার স্টাফ কোয়ার্টার রোডে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশাচালক, রোমান মিয়াকে উ’দ্ধারকারী নারী, তার ভাই, সিআইডির ভাড়ায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাস চালক ও এক আ’সামি জ’বানব’ন্দি দিয়েছেন। ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে এসআই আকসাদুজ্জামানের নাম বলেছেন তারা।’

ডি’বির গুলশান জোনের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘২০১৯ সালে গুলশান এলাকায় এক হুন্ডি ব্যবসায়ীর টাকা লু’টের ঘটনায় ডি’বির এসআই রাশেদকে গ্রে’প্তার করা হয়েছিল। তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রাশেদ নানা অ’পকর্মে জ’ড়িত ছিল বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। পুলিশের চাকরি করে কাউকে অ’পরাধ করতে দেওয়া হবে না। যারা অ’পরাধ করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কারও ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এসআই রাশেদ এক হুন্ডি ব্যবসায়ীর ৫০ লাখ টাকা লু’ট করে। এ ঘটনায় গুলশান থানায় মা’মলা হয়। ওই ব্যবসায়ী পুলিশের কাছে অ’ভিযোগ করার পর আমরা ত’দন্ত করে নিশ্চিত হওয়ার পর রাশেদকে গ্রে’প্তার করা হয়। রাশেদ লু’ট করা টাকা ফেরত দিতে বা’ধ্য হয়। প্রায় ৬ মাসের মতো সে কা’রাগারে আ’টক ছিল। পরে সে জা’মিনে বের হয়ে আসে।’

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘রাশেদ জা’মিনে এসে বরখাস্ত হওয়া সিআইডির এসআই আকসাদুজ্জামানের সঙ্গে আঁতাত করে আসছিল। তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। তারা একই সিন্ডিকে’টের সদস্য বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তাকেও নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। তাছাড়া লা’পা’ত্তা হওয়া আকসাদুজ্জামানকে উত্তরবঙ্গের একটি জে’লা থেকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে। ডি’বির কার্যালয়ে তাকে জি’জ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ তাকে আ’দালতে পাঠানো হবে।’