সরকারের পতন ঘটানো এখন সময়ের দাবি জানালেন ড. মোশাররফ

| আপডেট :  ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ সরকারের পতন ঘটানো এখন সময়ের দাবি জানিয়ে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সরকার অব্যাহতভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত ও কলঙ্কিত করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে । গত এক যুগ ফ্যাসিবাদী কায়দায় ক্ষমতায় টিকে থাকা ও ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য তারা এদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সম্পূর্ণভাবে বিকৃত করে জনগণকে ও নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে।

আজ মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র উদ্যোগে ‘ইতিহাস বিকৃতি, ঘৃণার চাষ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। বিএফইউজে’র চার যুগপূর্তি উপলক্ষে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ইতিহাস বিকৃতি রোধ এবং ঘৃণার রাজনীতি থেকে দেশকে বাঁচাতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ গণমাধ্যমই হচ্ছে সত্যিকারের চলমান নির্ভরযোগ্য ইতিহাস। মিডিয়ার মাধ্যমে নেতৃবৃন্দের সামনে আমি আহ্বান জানাতে চাই আমাদের সামনে একটাই লক্ষ্য স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা। সেজন্যে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই সরকারের পতন না ঘটিয়ে এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। তাই এই সরকাকে হাটানো ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইস্যুতে আমরা কি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি না?

এই আয়োজনে বিএফইউজে’র সভাপতি এম আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীরপ্রতিক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিশিষ্ট কলামিস্ট, সাবেক ভিসি আবদুল লতিফ মাসুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, বিএফইউজে’র সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ডিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন ও জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানী, সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ খান, বিএফইউজে’র সহসভাপতি রাশিদুল ইসলাম, ডিইউজে’র সহসভাপতি বাছির জামাল।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশীদ আলম, কোষাধ্যক্ষ খায়রুল বাশার, নির্বাহী সদস্য এ কে এম মহসীন, আবদুস সেলিম, জাকির হোসেন, ডিইউজে’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, ডিইউজে’র দপ্তর সম্পাদক ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, প্রচার সম্পাদক দেওয়ান মাসুদা সুলতানা, নির্বাহী সদস্য জেসমিন জুঁই প্রমুখ।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, এই স্বৈরাচারী সরকারকে হঠাতে আমরা ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ করতে পারি। যদি ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ আপাতত করা সম্ভব না হয় যুগপৎ আন্দোলন করতে পারি। এই ইস্যুর (সরকার হটানো) ওপরে যদি আমরা সকলে একমত হই তাহলে আসুন সম্ভব হলে ঐক্যবদ্ধ একটি মঞ্চ গঠন করি। আর সম্ভব না হলে যুগপত আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পতন ঘটাই এবং এটাই এখন সময়ের দাবি।

নুরুল হক নুর বলেন, সরকার প্রধান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে লাগামহীন বক্তব্য দিয়ে মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই। ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে ভেদাভেদ ভুলে সব দল ও মতের লোককে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়ে বাকশাল করেছিলেন, তার কন্যা অঘোষিতভাবে বাকশাল চালু করেছে। আগামী নির্বাচন তারা পার করতে পারলে দেশে রাজতন্ত্র কায়েম হবে বলে মন্তব্য করেন ভিপি নুর।

এ সময় সভাপতির বক্তব্যে এম আবদুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ দরজা দিয়ে ঢুকলে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জানালা দিয়ে পালায়।