বসুন্ধরা এমডির বিরুদ্ধে মামলা, ৭ বছরের জেল হতে পারে নুসরাতের

| আপডেট :  ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ

গত ১৯ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্লাটে আত্মহত্যা করেন মোসারাত জাহান মুনিয়া। আত্মহত্যার পরপরই বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহানের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন মুনিয়ার বড় নোন নুসরাত।

দীর্ঘ তিন মাস তদন্তের পর পুলিশ ১৯ জুলাই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে পুলিশ আত্মহত্যার প্ররোচনার কোনো আলামত পায়নি। একই সঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় যে, মুনিয়া আত্মহত্যা করেছেন। এর বিরুদ্ধে একটি নারাজি দরখাস্ত দেন ওই মামলার বাদী নুসরাত। কিন্তু আদালত ওই নারাজি আবেদন নাকচ করে দেন এবং পুলিশের যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন সেটি গ্রহণ করেন। ফলে মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে যে মামলাটি নুসরাত দাখিল করেছিলেন সেই মামলাটি নাকচ হয়ে যায় এবং শেষ হয়ে যায়।

কিন্তু নুসরাতকে একটি মহল প্ররোচিত করছে এবং অন্য উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তাকে আবার নতুন একটি মামলা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে। এরই ফলশ্রুতিতে সোমবার ঢাকার ৮ নম্বর নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নুসরাত বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়।

তবে মামলার অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে মিথ্যা মামলা দেওয়ায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত তানিয়ার সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

সোমবার (০৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাফরোজা পারভীনের আদালতে বাদী হয়ে একটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন নুসরাত।

তবপ শেষ পর্যন্ত তিনি যদি মামলাটি প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগে তাকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।
জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমনের জন্য বাংলাদেশে একটি কঠোর আইন করা হয়েছে।

মিথ্যা মামলা করে প্রতিপক্ষকে কেউ যাতে বিব্রত করতে না পারে তার জন্য আইনটির ১৭ ধারায় মিথ্যা মামলা দায়ের করা হলে তার শাস্তির বিধান করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ অনুযায়ী এ ধরনের মিথ্যা মামলা করলে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

আর এর প্রেক্ষিতেই মামলা প্রমাণ না হলে শাস্তি হতে পারে নুসরাতের