ছাত্রলীগের সভাপতি জয়কে অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুমকি নিজ উপজেলা আ.লীগের

| আপডেট :  ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে তার নিজ উপজেলা বাবুগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুমকি দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ সমাবেশে এই হুমকি দেওয়া হয়।

১নং বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম তারিকুল ইসলাম তারেককে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত হয় এই সমাবেশ । সমাবেশ শুরুর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বাবুগঞ্জ আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে শুরু করে বাবুগঞ্জ থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে উপজেলা আলীগের সভাপতি সরদার খালিদ হোসেন স্বপন বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি হয়ে সংগঠন বিরোধী কাজ করছেন আল নাহিয়ান খান জয়। তার চাচাতো ভাই কামরুল হাসান হিমু বিএনপির নেতা। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় তার চাচাতো ভাই বিএনপি নেতা কামরুল হাসান হিমুর পক্ষে সহযোগীতা করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হত্যার জন্য একের পর এক হামলার পরিকল্পনায় জয় তার চাচাতো ভাইকে সাহায্য করে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

জয়ের বাসা থেকেই আওয়ামী লীগ নিধনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে স্বপন বলেন, আপনার ঘর থেকে আওয়ামী লীগ নিধনের যে ষড়যন্ত্র চলছে সেগুলোকে আপনি প্রতিহত করুন। তা যদি আপনি না করেন তাহলে আপনার উপজেলা থেকেই কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করব। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি এই ষড়যন্ত্র বন্ধ না করেন তাহলে আপনাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।

এ সময় স্বপন সাবেক চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারেক হত্যা প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সবার গ্রেফতার এবং শাস্তি দাবি করেন।

সভায় সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, জয়ের নির্দেশে তার চাচাতো ভাই বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুল হাসান হিমুর সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। আমাকে হত্যার জন্য মজিদ সরদার ও আজহার হোসেন মনুসহ ৬ জনকে বাড়িতে পাঠিয়েছিল। কিন্তু হামলার আগেই তাদের ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়।সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের চেয়ারম্যান হিমুর লোক বলে স্বীকার করেন।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মৃধা মো. আক্তারুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের সভাপতি ইউসূফ খানসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা।