সব
বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযোগ ওঠা ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ই–অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত পালিয়ে ভারতে গিয়ে ধরা পড়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার আসাদুজ্জামান জানান, ভারতে অনুপ্রবেশের পর গ্রেপ্তারে খবর সে দেশের পত্রপত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া ছাড়াও নিজ কর্মস্থলে অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতির কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রানার বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলাও হয়েছে, যা তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি। আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ সোহেল রানার বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ আছে কিনা সেটাও আমরা খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
এর আগে, বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। দুপুরে ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামও জানিয়েছিলেন, অনুপস্থিতি নিয়ে গুলশান বিভাগের প্রতিবেদন পেলেই সোহেল রানাকে বরখাস্ত করা হবে। ডিএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামও জানিয়েছিলেন, অনুপস্থিতি নিয়ে গুলশান বিভাগের প্রতিবেদন পেলেই সোহেল রানাকে বরখাস্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে আটক করা হয়। সোহেল রানা বিরুদ্ধে ই-অরেঞ্জ নামে অনলাইন মার্কেট প্লেসের সঙ্গে যোজসাজশ থাকার অভিযোগ উঠেছে, যে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১ লাখ গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই–অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গত জুলাইয়ে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেন। মামলায় ভুক্তভোগী ২৯ জন গ্রাহকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহ, নাজনিন নাহার বিথি, কাওসার, কামরুল হাসান, আব্দুল কাদের, নূরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান। #ভারতে পালানো সেই ইন্সপেক্টর সোহেল বরখাস্ত
