ফাঁসির রায় শুনে আসামি বললেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’

| আপডেট :  ৩১ আগস্ট ২০২১, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ আগস্ট ২০২১, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর কলাবাগানে জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে হ’’ত্যার ঘটনায় দা’য়ের করা মা’মলায় আট আ’সামির মধ্যে ছয় জনকে মৃ’ত্যুদ’ণ্ড দিয়েছেন আ’দালত। বাকি দুই জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এসময় আ’দালত প্রাঙ্গনে মৃ’ত্যুদ’ণ্ড ঘোষণা শুনে আ’সামিদের হাসতে হাসতে বলতে শোনা যায়, রায়ে আমরা আলহাম’দুলিল্লাহ। আমাদের কোনো অনুশোচনা নেই। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার স’ন্ত্রাস দ’মন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আ’দালত মা’মলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃ’ত্যুদ’ণ্ডপ্রাপ্ত আ’সামিরা হলেন- মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ মোহাম্ম’দ জিয়াউল জিয়া, আকরাম হোসেন, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ। একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদ’ণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে খালাস পাওয়া দুই জন হলেন- সাব্বিরুল হক চৌধুরী ও মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ। আ’দালতে উপস্থিত থেকে রায় শুনেছেন মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ।

রায় ঘোষণার সময় চার আ’সামিকেই আ’দালতে হাসাহাসি করতে দেখা যায়। রায় শোনার পরও বে’পরোয়া ছিল তাদের মনোভাব। আরাফাত বলেন, ‘এই তাগুতি বিচার ব্যবস্থা আমাদের পায়ের নিচে।’ আসাদুল্লাহ বলেন, ‘আলহাম’দুলিল্লাহ। এই রায়ে আমরা সফল। আমরা আখেরাতে সফল হব।’ বেলা ১২টার টার দিকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময়ই মুখে হাসি নিয়ে নামছিলেন চার জন। আ’দালতে ঢোকা থেকে রায় ঘোষনা শেষে আবার প্রিজন ভ্যানে ওঠানোর সময় পর্যন্ত তাদের মুখে হাসি দেখা যায়।

কাঠগড়ায় থাকা অবস্থায় হাতকড়া পরিয়ে রাখা নিয়ে প্রশ্ন করলেন জ’ঙ্গিরা। জ’ঙ্গি আব্দুল্লাহকে দেখা যায় হাত পিছনে দিয়ে হাতকড়া পরানো অবস্থায়। তখন তিনি সেটা খুলে দিতে বলেন। কিন্তু পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে খুলতে রাজি না হলে জ’ঙ্গি আরাফাত উত্তেজিত হয়ে পুলিশের উদ্দেশ্য বলেন, ‘জ’ঙ্গিদের কি কোনো মা’নবাধিকার নেই। মা’নবাধিকার কি শুধু আপনাদের জন্য। আপনারাই মা’নবাধিকারের কথা বলেন, আমরা বলি না।’

উল্লেখ্য, রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল খু’নের শি’কার হন ইউএসএইড কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘হ’’ত্যায় অংশগ্রহণকারী অ’ভিযুক্ত আ’সামিরা বেঁচে থাকলে আনসার আল ইসলামের বিচারের বাইরে থাকা সদস্যরা একই অ’পরাধ করতে উৎসাহিত হবে।

কাজেই এসব আ’সামি কোনো সহানুভূতি পেতে পারে না। ছয় আ’সামিকে মৃ’ত্যুদ’ণ্ড দেয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। এতে নি’হত ব্যক্তিদের আত্মীয়রা শান্তি পাবেন। অন্যদিকে ভবি’ষ্যতে কেউ এ ধরনের জঘন্য অ’পরাধ করতে ভ’য় পাবে এবং নিরুৎসাহিত হবে। সুত্রঃ বিডি ২৪ লাইভ