সব
বলিউডের (Bollywood) সেরা তিন অভিনেতার মধ্যে অন্যতম আমির খান (Aamir Khan)। ব্যক্তিগত জীবন হোক বা পেশাগত জীবন, সবেতেই সাধারণের জন্য চমক রাখেন আমির। তার কন্যা ইরা খানও (Ira Khan) কিন্তু কম কিছু যান না। এবার সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এলেন ইরা। কোটিপতি বাবার মেয়ে হয়েও নিতান্ত সাধারণ জীবন যাপন করেন তিনি। সম্প্রতি তার প্রমাণ রাখলেন তিনি। কোথাও যাতায়াতের জন্য দামি গাড়ি নয়, অটোয় চরে যাতায়াত করতেই তিনি অভ্যস্ত। সম্প্রতি সেই ছবি ধরা পড়েছে নেট দুনিয়ায়।
আমির খান এবং তার প্রথম পত্নী রিনা দত্তের মেয়ে ইরা। ২৪ বছর বয়সী ইরার ব্যক্তিগত জীবনও কিছু কম আকর্ষণীয় নয়। এই বয়সেই তার তার ব্যক্তিগত জীবন বলিউডের চর্চার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজের থেকে প্রায় দ্বিগুণ বয়সী বাবার ফিটনেস কোচ নূপুর শিখরের সঙ্গে প্রেম করছেন ইরা। মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কাপল ইমেজ শেয়ার করেন তারা। নূপুর শিখরের সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিতে ভরে ওঠে ইরার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল।
তার মাঝেই এবার ইরার জীবনযাপন নিয়ে চর্চা শুরু হলো নেটমাধ্যমে। আর হবে নাই বা কেন? বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্টের মেয়ে যদি দামি গাড়ি ছেড়ে অটোয় চরে যাতায়াত করে তাহলে তো তাকে নিয়ে চর্চা হবেই। ইরার বাবা একজন কোটিপতি। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে ঠিকই, তবে ইরার সাথে আমিরের সম্পর্কে তো চিড় ধরেনি। যদিও বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ ইরার মনের উপর বেশ প্রভাব ফেলেছিল। মাঝেমধ্যেএই মানসিক অবসাদে ভোগেন আমির-কন্যা। সরাসরি সেই কথা স্বীকারও করেছিলেন তিনি।
মুম্বাইয়ের রাস্তায় অটোয় চরে ঘুরছেন ইরা! সম্প্রতি এমন বেশ কিছু ছবি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। নিজের এক বান্ধবীকে নিয়ে বান্দ্রার একটি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন তিনি। পরণে সাদা প্যান্ট,বেজ রঙের ঢিলেঢালা শার্ট, মাথায় কমলা প্রিন্টেড ব্যান্ড, কাঁধে বড় ব্যাগ এবং করোনা সতর্কতা বিধি মেনে মুখে ছিল একটি মাস্ক। পথে বের হতেই পাপারাজ্জিদের ক্যামেরার সামনে পড়ে যান তিনি। আমির-কন্যার এমন ক্যাজুয়াল লুক দেখেও বেশ চর্চা শুরু হয়েছে নেট মাধ্যমে। তবে আসল চমক ছিল এরপরেই।
আচমকা একটি অটোতে উঠে পড়েন তারা। আমির খানের কন্যাকে এইভাবে সাধারণ একটি অটোতে করে যাতায়াত করতে দেখে অবাক হয়ে যান পাপারাজ্জিরা। সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে দেরি করেননি তারা। মুহূর্তের মধ্যেই এই ছবি ভাইরাল হয়ে যায় নেটমাধ্যমে। যার বাবা কোটিপতি, বলিউডের স্টার, তেমন বাবার মেয়ে হয়ে ইরার অটোতে চরে যাত্রা মোটেও মানানসই নয়! এমনই সব চর্চা চলছে নেট দুনিয়ায়। তবে ইরার এমন সাদামাটা জীবনযাত্রাতে খুশি নেটিজেনদের একাংশ। খোলা মনে ইরার প্রশংসা করছেন তারা।
ফিটনেসের পাশাপাশি নিজের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও সচেতন ইরা। সমাজ মাধ্যমে খোলাখুলি নিজের মানসিক অবসাদের কথা স্বীকার করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, মাঝেমধ্যে মানসিক অবসাদ তাকে এমনভাবে জাঁকিয়ে ধরে যে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চিন্তা তার মাথায় আসে। তাই এই ভাবনা চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে নিজের যত্ন নেবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কাজেই নেটিজেনদের একাংশের ধারণা, মনোবিদের কাছেই গিয়েছিলেন ইরা।
