সব
রংপুরের মিঠাপুকুরে এক গৃ’হবধূকে একাধিকবার ধ”ণ ও ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করার অ’ভিযোগে জাবেদুল ইসলাম (২৫) নামে একজনকে গ্রে’ফতার করেছে পুলিশ। তার বি’রুদ্ধে গেল রমজানে ওই গৃ’হবধূকে ইফতারের দাওয়াতে ডেকে নিয়ে জুসের সঙ্গে চে’তনানা’শক ও’ষুধ খাইয়ে দুই ভাবির সহযোগিতায় ধ”ণ করার অ’ভিযোগ উঠেছে।
গ্রে’ফতার জাবেদুল ইসলাম উপজে’লার লতিবপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামের মৃ’ত আব্দুল মজিদের ছেলে। সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে আ’দালতের মাধ্যমে তাকে কা’রাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার (২৯ আগস্ট) রাতে ওই গৃ’হবধূ মা’মলা করার পর জাবেদুল ইসলামকে গ্রে’ফতার করে পুলিশ।
মা’মলার ও প্রাথমিক ত’দন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, ওই গৃ’হবধূকে একই গ্রামের মৃ’ত আব্দুল মজিদের ছেলে জাবেদুল ইসলাম গত ৪ রমজান ইফতারের দাওয়াত দেয়। ইফতারের সময় জুসের সঙ্গে চে’তনানা’শক ও’ষুধ মিশিয়ে ওই গৃ’হবধূকে অ’চেতন করায়।
পরে ধ”ণ করে। ধ”ণের সময় জাবেদুলের দুই ভাবি ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভ’য় দেখিয়ে গৃ’হবধূকে একাধিকবার ধ”ণ করেন তিনি। মা’মলার উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি আরও জানান, ওই গৃ’হবধূর স্বামী ঢাকায় থাকেন। বি’ষয়টি তিনি অনেকদিন গো’পন রেখেছিলেন। কয়েকদিন আগে আবারও গৃ’হবধূকে ভাবি শাপলা বেগমের বাসায় রাত যাপনের প্রস্তাব দেয় জাবেদুল।
উপায়ন্তর না দেখে পুরো বি’ষয়টি ঢাকায় থাকা স্বামীকে খুলে বলেন ধ”ণের শি’কার গৃ’হবধূ। তার স্বামী ঢাকা থেকে এসে এ বি’ষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার দাবি করেন। সালিশের নামে টাকা দিয়ে বি’ষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চা’লায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা। পরে রোববার রাতে ঘটনার শি’কার গৃ’হবধূ বা’দী হয়ে চারজনকে আ’সামি করে মা’মলা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. খোরশেদ আলী জানান, ঘটনাটি শোনামাত্রই আমি ভু’ক্তভোগীকে মা’মলা করার নির্দেশনা দিয়েছি। এ ঘটনায় যারা মীমাংসার চেষ্টা করেছে এবং অর্থ লেনদেন করেছে তাদের বি’রুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। ওসি মো. জাকির হোসেন বলেন, মা’মলার পর সোমবার জাবেদুল ইসলামকে আ’দালতের মাধ্যমে জে’ল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভাবি রাশেদা বেগম, তার স্বামী জালাল উদ্দিন এবং শাপলা বেগমকে খুঁজছে পুলিশ।