ঘুস লেনদেনে চাকরি গেল এলজিইডির কর্মকর্তার

| আপডেট :  ২৯ আগস্ট ২০২১, ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৯ আগস্ট ২০২১, ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ

বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে ঘুস লেনদেনের নিউজ রোববার যুগান্তরে প্রকাশের পর এক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত এবং দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ সময় বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও করা হয়েছে।রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোহম্মদ হোসেন আলী মীর। চাকরিচ্যুত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন— বরগুনার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ফোরম্যান মো. জিয়াউর রহমান।

বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন— এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান এবং আমতলী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক মো. হুমায়ুন কবির।

জানা যায়, দুদিন আগে চাকরিচ্যুত এবং বরখাস্ত হওয়া এই তিন কর্মকর্তার ঘুসগ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ও যুগান্তরের নিকট পৌঁছালে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ নিয়ে শনিবার যুগান্তর অনলাইন এবং রোববার প্রিন্টে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদ প্রকাশের জেরে ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

এ বিষয়ে এলজিইডি বরগুনা কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. হোসেন আলী মীর বলেন, ঘুসগ্রহণের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় অভিযুক্ত ওই তিন কর্মকর্তার মধ্যে একজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলার রায় অনুযায়ী বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা দাবি করছেন টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়, ষড়যন্ত্র করে তাদের ফাঁসানো হয়েছে। তবে তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরিচ্যুত ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ঠিকাদার বলেন, আরও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তারা কারও সঙ্গে কথা বলতে রাজি হচ্ছে না। জেলা অফিসের হিসাবরক্ষক হাজী মহিউদ্দিন মিজানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকলেও আপাতত ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে তারা এখন জনসম্মুখে মুখ খুলতে অপারগতা প্রকাশ করছেন।

বরগুনা সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান দাবি করেন, ভিডিওতে যেটি টাকা নিতে দেখা গেছে তার ঈদের বেতন ও বোনাসের টাকা।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরগুনা কার্যালয়ের তিন কর্মকর্তার ঘুসগ্রহণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তিন ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে একজনকে চাকরিচ্যুত এবং দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।একই সঙ্গে বরখাস্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিলে তার সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে এলজিইডি বরগুনা কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. হোসেন আলী মীর বলেন, ঘুসগ্রহণের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় অভিযুক্ত ওই তিন কর্মকর্তার মধ্যে একজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সূত্রঃ যুগান্তর