৩০ হাজার ফুট ওপরে প্লেনে শিশুর জন্ম দিলেন আফগান নারী

| আপডেট :  ২৯ আগস্ট ২০২১, ০৬:১২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৯ আগস্ট ২০২১, ০৬:১২ পূর্বাহ্ণ

আফগানিস্তান থেকে ব্রিটেনে পলায়নরত এক নারী উড়ন্ত বিমানে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সোমন নোরি নামের ২৬ বছর বয়েসী ওই নারী তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম যাচ্ছিলেন। এয়ারলাইন্সটি জানিয়েছে, বিমান যখন ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছে, তখন প্রসব বেদনা শুরু হয় ওই মায়ের। বিমানেই নিরাপদে সন্তান প্রসব করেন তিনি।

বিবিসির খবরে বলা হয়, শরণার্থীদের নিয়ে উড়ন্ত ওই বিমানে তখন কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। তবে কেবিন ক্রুদের তত্ত্বাবধানে ওই নারী সুস্থ এক মেয়ে শিশুর জন্ম দেন। তার নাম রাখা হয়েছে ‘হাব্বা’— যার ইংরেজি অর্থ ‘ইভ’ আর বাংলায় ‘হাওয়া’। এয়ারলাইন্সটির তরফ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। তুর্কি এয়ারলাইন্স জানিয়েছে মা ও শিশু উভয়ই নিরাপদ সুস্থ আছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবানের উত্থানে সোমন নোরি নামের ওই নারী তার স্বামী তাজ মোহ হাম্মাত ও আরও দুই শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আফগানিস্তান থেকে পালিয়েছিলেন। তারা শরণার্থী হিসেবে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে উঠেন। বিমানটি শরণার্থীদের নিয়ে প্রথমে কুয়েতে অবতরণ করে।

সেখানে যাত্রাবিরতীর সময় যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রাপ্তদের যাচাই করা হয়। পরে বিমানটি শরণার্থীদের নিয়ে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। শনিবার বার্মিংহামের স্থানীয় সময় সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিটে বিমানটি অবতরণ করে। তবে বিমানটি যখন ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছে, তখন তার তৃতীয় সন্তানের জন্ম দেন সোমন নোরি।

এর আগে গত ২১ আগস্ট জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই এক আফগান নারী সন্তানের জন্ম দেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী সামাজিক মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করে। এক টুইটবার্তায় মার্কিন বিমানবাহিনী জানায়, কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান সি-১৭’তে চড়ে দেশ ছেড়েছিলেন ওই আফগান নারী। বিমানটি প্রথমে মধ্যপ্রাচ্যে যাত্রাবিরতী করে। পরে জার্মানিতে অবস্থিত বৃহৎ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে আফগান শরণার্থীদের নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি সন্তান প্রসব করেন।

৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানে সন্তানের জন্ম দিলেন আফগান নারী উল্লেখ্য যে, ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মাধ্যমে গোটা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ হাতে তুলে নেয় তালেবান। এদিন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তালেবানের হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে অসংখ্য মানুষ জড়ো হন কাবুল বিমানবন্দরে। তাদের দেশ ত্যাগে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো সদস্যরা। উদ্ধার অভিযান ৩১ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।