মায়ের মরদেহ নামানোর ৩০ মিনিটের মধ্যে চলে গেলেন স্ত্রীও

| আপডেট :  ২৮ আগস্ট ২০২১, ০৩:১২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ আগস্ট ২০২১, ০৩:১২ অপরাহ্ণ

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামে শাশুড়ির আত্মহত্যার ৩০ মিনিটের মাথায় পুত্রবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) রাত ২টায় ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাশুড়ি ওই গ্রামের মৃত বসির উদ্দিনের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৬০) ও নিহত গৃহবধূ বসির উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমানের স্ত্রী হিরা খাতুন ওরফে জোসনা (২৬)।

স্থানীয়রা জানান, শাশুড়ি রোকেয়া ও পুত্রবধূ জোসনার মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে ৩ দিন যাবত উভয়ের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ ছিল। একপর্যায়ে পুত্রবধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পল্লী চিকিৎসক ডেকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা নিয়ে ছেলে আব্দুর রহমান তার মা ও স্ত্রীকে অনুরোধ করে দুজনের মধ্যে আপস-মীমাংসা করে দেন।

পরে রাত ২টার দিকে রহমান তার মায়ের ঘরের দরজা খোলা দেখে ঘরে মাকে না পেয়ে খুঁজতে যান। তিনি তাদের পরিত্যক্ত ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে তার মাকে ঝুলে থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের ডেকে মরদেহ নামান। অপরদিকে রহমানের মায়ের মরদেহ নামানোর ৩০ মিনিটের মাথায় তার স্ত্রী মারা যায় বলে জানান প্রতিবেশীরা।

এ বিষয়ে মারা যাওয়া গৃহবধূ জোসনার মা জানান, তার মেয়ের গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। কুমারখালী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিব হাসান বলেন, এ সংবাদ পেয়ে সকালেই শাশুড়ি ও পুত্রবধূর

মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মরদেহগুলো কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।