আগেও ১৪৯ যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ

| আপডেট :  ২৮ আগস্ট ২০২১, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ আগস্ট ২০২১, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি মাঝ আকাশে পাইলটের হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় ভারতে নাগপুরে জরুরি অবতরণ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২২ ফ্লাইট। গতকাল (২৭ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ওই ফ্লাইটের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম। তিনি ও তার ফার্স্ট অফিসারের কারণে জীবন রক্ষা পেয়েছে ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রীর।

তবে এটিই প্রথমবার নয়, ক্যাপ্টেন নওশাদ পাঁচ বছর আগে এভাবেই আরও ১৪৯ যাত্রী, আর ৭ ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন। এই দায়িত্বশীলতার জন্য তিনি পেয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর এই ঘটনাটি ঘটে।

ওই সময়ে নওশাদ বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১২২ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন ছিলেন। সেই ফ্লাইটটি মাস্কাট বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। টেক-অফ করার পর মাস্কাট বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্যাপ্টেনকে জানানো হয়, রানওয়েতে টায়ারের কিছু অংশ পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত বিমান এয়ার ক্রাফটের হতে পারে।

সুযোগ সুবিধা বেশি থাকায় ও যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নওশাদ ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। অবতরণের আগে ক্যাপ্টেন ফ্লাইটটি নিয়ে রানওয়ের উপরে ‍দুবার লো-লেভেলে ফ্লাই করেন। তখন দেখা যায়, উড়োজাহাজের পেছনের দুই নম্বর টায়ারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত টায়ার ও ল্যান্ডিং গিয়ারসহ নিরাপদে ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করাতে সক্ষম হন।

এই ঘটনার পর ২০১৭ সালে ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠায় আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করেন ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম। এরপর থেকেই কর্মজীবনে অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার প্রমাণ দিয়েছেন এই পাইলট। হার্ট অ্যাটাক হলেও বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।