মোবাইলে প্রেম-বিয়ে, প্রবাসীর ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে কারাগারে নববধূ

| আপডেট :  ২৮ আগস্ট ২০২১, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ আগস্ট ২০২১, ০৪:১২ পূর্বাহ্ণ

মোবাইল ফোনে প্রথমে প্রেম। তারপর সেই মোবাইলের মাধ্যমেই সৌদি প্রবাসী মো. খোকনের সঙ্গে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে নুরজাহান স্মৃ’তি নামে এক ত’রুণীর বিয়ে হয়। দেনমোহরের নিশ্চয়তার জন্য প্রবাসীর বড় ভাইয়ের ব্যাংক হিসাবের একটি চেক সুরক্ষা হিসেবেও রাখে কনের পরিবার। এরপরও স্মৃ’তি স্বামীর গ্রামের বাড়িতে থাকতে নারাজ। এরপর স্বামীকে বিভিন্নভাবে

বুঝিয়ে জে’লা শহরের উপকণ্ঠে জমি কিনতে ১০ লাখ টাকা নেন নববধূ। এভাবেই বিভিন্ন অজুহাতে খোকনের কাছ থেকে ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ওই ভু’ক্তভোগীর। জানা গেছে, সৌদি থেকে গত জুন মাসে খোকন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজে’লার হাজিরহাট ইউনিয়নের চর জাঙ্গালিয়ার বাড়িতে আসেন। গেল মাসের ১৯ জুন সদর উপজে’লার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকায় মেয়ের বাড়িতে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে

বিয়েও সম্পন্ন করেন তারা। ওইদিন জো’রপূর্বক স্মৃ’তির পরিবার খোকনের কাছ থেকে ৩০০ টাকার রেজিস্ট্রিকৃত স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা নেয়। এতে স্মৃ’তিকে শা’রীরিক, মা’নসিক নি’র্যাতন করা যাবে না, ফোনে কথা বলতে বা’ধা না দেওয়া যাবে না এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কখনো খা’রাপ আচরণ না করাসহ কয়েকটি শর্ত উল্লেখ করা হয়। এরআগে, ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে

সৌদি থেকে ওই ত’রুণীকে বিয়ে করেন খোকন। আনুষ্ঠানিক বিয়ের পরেও স্মৃ’তিকে খোকন তার বাড়িতে তুলে নিতে চাইলে কালক্ষেপন শুরু করে তাদের পরিবার। এরমধ্যেই হঠাৎ করে ১৮ জুলাই স্মৃ’তি লক্ষ্মীপুর আ’দালতে উপস্থিত হয়ে খোকনকে তা’লা’ক দেন। এ ঘটনায় ২১ আগস্ট খোকনের বড় ভাই আবুল খায়ের মানিক বা’দী হয়ে কমলনগর থানায় প্র’তারক নুরজাহান স্মৃ’তিসহ ৭ জনের নামে প্র’তারণা মা’মলা দা’য়ের করেন। অন্য আ’সামিরা হলেন- সালেহ আহম্ম’দ, মো. ইব্রাহিম, জেসমিন আক্তার, মো. রিংকু, আলী

হায়দার চৌধুরী প্রিয় ও ঘটক মো. শাহজাহান। এরমধ্যে ঘটক শাহজাহান ছাড়া অন্য ছয় আ’সামি ২৫ আগস্ট লক্ষ্মীপুর আ’দালতে আত্মসমর্পন করে জা’মিন আবেদন করেন। আ’দালতের বিচারক ওই বধূকে কা’রাগারে পাঠিয়ে অন্য আ’সামিদের জা’মিন মঞ্জুর করেন। স্মৃ’তি জে’লা কা’রাগারে রয়েছে। স্মৃ’তি সদর উপজে’লার পশ্চিম

লক্ষ্মীপুর এলাকার মৃ’ত নুরনবীর মেয়ে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভূক্তভোগী প্রবাসী, পুলিশের সঙ্গে কথা ও মা’মলার এজাহার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মো. খোকন বলেন, স্মৃ’তিকে আমার পছন্দ হওয়ায় সকল শর্তে রাজি হয়েছি। বিভিন্ন অজুহাতে আমার ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিয়ের নামে তারা পরিকল্পিতভাবে প্র’তারণা করেছে। কেউ যেন এমন ক্ষ’তিগ্রস্ত না হয়, এজন্য আ’সামিদের দৃষ্টান্তমূলক শা’স্তি চাই।

এ বি’ষয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বিয়ের নামে স্মৃ’তি ও তার পরিবার প্রবাসীর সঙ্গে প্র’তারণা করেছে। ছয় আ’সামি আ’দালতে আত্মসমর্পন করে জা’মিন চেয়েছে। এরমধ্যে পাঁচজনকে আ’দালত জা’মিন দিলেও স্মৃ’তিকে কা’রাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। স্মৃ’তি এখন কা’রাগারে আছেন।