পরীমনির জামিন শুনানী এতদিন পর কেনো’- প্রশ্ন হাইকোর্টের

| আপডেট :  ২৭ আগস্ট ২০২১, ০৪:১২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ আগস্ট ২০২১, ০৪:১২ পূর্বাহ্ণ

গত ৪ আগস্ট মদ ও মাদকদ্রব্যসহ র‍্যাবের হাতে আটক হন চিত্রনায়িকা পরূমনি। এরপর তাকে তিনদফা রিয়ান্ডে নেয়া হয়। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন এই অভিনেত্রী।

ইতোমধ্যে এই নায়িকার জামিন আবেদন একবার খারিজ করেছে আদালত। এমনকি পরবর্তীতে পুনরায় আনেদন করা হলে শুনানির তারিখ ও পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আর এর প্রেক্ষিতে চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি আদেশের কপি পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে রুলে গত ২২শে আগস্টের দেয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তারও কারণ জানাতে চাওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের কাছে। আগামী ১লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত বলেন, আমরা এই মুহূর্তে জামিন দিচ্ছি না। তবে রুল দিচ্ছি। আদেশের তথ্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবহিত করতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট জেড আই খান পান্না ও মো. মুজিবুর রহমান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। পরে আইনজীবী মো. মুজিবুর রহমান বলেন, পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি আদেশের কপি পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া, রুলে গত ২২শে আগস্টের দেয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তারও কারণ জানাতে চাওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের কাছে। আগামী ১লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার বনানী থানায় করা মাদক মামলায় পরীমনির জামিন আবেদনের ওপর আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করে দেয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনে পরীমনির অন্তর্বর্তীকালীন জামিনও চাওয়া হয়। গতকাল এ আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানিতে এডভোকেট মো. মুজিবুর রহমান আদালতকে বলেন, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত গত ২২শে আগস্ট এক আদেশে ১৩ই সেপ্টেম্বর পরীমনির জামিন আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন। তবে এই শুনানি এগিয়ে আনতে পরের দিন ২৩শে আগস্ট পৃথক একটি আবেদন করি। কিন্তু আদালত তা আমলেই নেয়নি। এ অবস্থায় আপনাদের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন পরীমনির জামিন চাচ্ছি।

জবাবে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান বলেন, দায়রা জজ আদালতের ওই আদেশে বেআইনি কিছু নেই। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, জামিন আবেদনের ওপর শুনানি এতদিন ঝুলিয়ে রাখা কি ঠিক হয়েছে? এতদিন পর শুনানির কী আছে? ঝুলিয়ে না রেখে খারিজ করতে পারতেন। আর তিনি শুনানির জন্য সময় না পেলে অতিরিক্ত দায়রা জজকে শুনানির জন্য দিতে পারতেন। কিন্তু তা দেননি। তবুও বলছি, প্রথা অনুযায়ী এসব ক্ষেত্রে (জামিন আবেদন) হাইকোর্ট ও দায়রা জজ আদালতের এখতিয়ার সমান। তাই আমরা এ মুহূর্তে জামিন দিচ্ছি না।