পরীমনির পক্ষে দেশের বিশিষ্টজনদের যে দাবি

| আপডেট :  ২৪ আগস্ট ২০২১, ০২:০৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ আগস্ট ২০২১, ০২:০৪ অপরাহ্ণ

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনি মা’দকসহ গ্রে’ফতার হয়েছেন। কয়েক দফায় রি’মান্ডেও নেওয়া হয়েছে এই নায়িকাকে। বারবার পরীমনিকে রি’মান্ড নেওয়ার বি’ষয়েও সমালোচনা চলছে। পরীমনি গ্রে’ফতার হওয়ার পর শুরুতে নীরব থাকলেও পরে তার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন বিনোদন সংশ্লিষ্ট

তারকারাসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিরা। এবার দেশের বিশিষ্টজনরা পরীমনির পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই নায়িকার পক্ষে দাবিও তুলেছেন তারা। এক বিবৃতিতে বলেছেন, পরীমনি এমন একটি অ’পরাধী চ’ক্রের অ’পচেষ্টার শি’কার যারা তাদের অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জনের পথটি খোলা রাখতে চান। মঙ্গলবার বিকালে ‘নারী ও কন্যা নি’র্যাতন এবং সামাজিক

অনাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি’র পক্ষে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে পরীমনিসহ কয়েকজন নারীকে গ্রে’ফতার পরবর্তী পরিস্থিতিতে গভীর উ’দ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি হ’য়রানি ও অ’পপ্রচার বন্ধ করে ন্যায়বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।

বিবৃতিদাতারা হলেন- ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, মহিলা পরিষদ সভাপিত ডা. ফওজিয়া মোসলেম, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, মুক্তিযু’দ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুম’দার, মামুনুর রশীদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. জেড আই খান পান্না, অ্যাডভোকেট এসএমএ সবুর, মা’নবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, জাতীয় মা’নবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, বাসুদেব ধর, সোহরাব হাসান, ডাকসুর সাবেক জিএস মাহবুব জামান, অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, অধ্যাপক এমএম আকাশ, অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা, অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন,

ব্যারিস্টার তানিয়া আমির, ডা. শাহিদা চৌধুরী, গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল, ব্যারিস্টার এ কে রাশেদুল হক, সঞ্জীব দ্রং, জাতীয় কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রেখা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহা’না বেগম, লিগ্যালএইড সম্পাদক সাহা’না কবির, অর্থ-সম্পাদক দিল আফরোজ বেগম, সংগঠন সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম, প্রশিক্ষণ-গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমেদ প্রমুখ।

তাদের পক্ষে বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অ’ভিযান চা’লিয়ে ঘরে মা’দক রাখা, বাড়িতে পার্টি দেওয়া ও অন্যান্য অ’ভিযোগে অভিনেত্রী পরীমনিসহ কয়েকজন নারীকে গ্রে’ফতার করেছে। অভিনেত্রী ও নারীদের গ্রে’ফতারের পর কিছু সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনভাবে সংবাদ প্রচার ও শব্দ প্রয়োগ করা হয়- যাতে নারীর আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়। এ ধরনের সংবাদ প্রচার নারীর মা’নবাধিকার ল’ঙ্ঘনের সামিল। এতে অ’পরাধ প্রমাণের পূর্বে ভি’কটিম ব্লেমিং না করার নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে সামাজিক অবক্ষয়, অনাচার এবং নারীবিদ্বেষী পুরুষতান্ত্রিকতার বিস্তার যেভাবে ফুটে উঠেছে তা আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত ও উ’দ্বি’গ্ন করেছে। অ’ভিযুক্ত নারীদের বি’রুদ্ধে কোনো অ’পরাধ-সংশ্লিষ্টতার সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে আ’দালতে তাদের বিচার হবে। এ ক্ষেত্রে কারো কিছু বলার নেই।

কিন্তু তারা যেন কারো কোনো প্রতিহিংসার শি’কার হয়ে হ’য়রানি না হন। আ’দালত কর্তৃক অ’পরাধ প্রমাণের আগে উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা সমীচীন নয়। সংবিধানে বর্ণিত আইনের আশ্রয়লাভের সুযোগের সমতাও থাকতে হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়- অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করা, এটা টিকিয়ে রাখার জন্য অ’পরাধীচ’ক্র তৈরির যে অ’পচেষ্টা তারই শি’কার পরীমনি।

নারী ও কন্যা নি’র্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি সুশাসন নিশ্চিতকরণসহ এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ঘটনার মূল কারিগরদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় এনে শা’স্তির দাবি জানাচ্ছে।