ছয় মাসের শিশুকে ফেলে অটোচালকের সাথে পালালেন প্রবাসীর স্ত্রী

| আপডেট :  ২৩ আগস্ট ২০২১, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ আগস্ট ২০২১, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ণ

টাঙ্গাইলের বাসাইলে ছয়মাস বয়সি শিশু সাইমনকে ফে’লে নগদ ৮ লক্ষ টাকা এবং ৪ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের স্বর্নালঙ্কার নিয়ে স্থানীয় এক ব্যাটারীচালিত অ’টো চালকের সাথে পালিয়েছে প্রবাসীর স্ত্রী। এ ঘটনায় টাকা এবং স্বর্নালঙ্কার উ’দ্ধারে অটোচালক আতিক মিয়াকে প্রধান আসা’মি করে আরো চার জনের নামে মাম’লা দায়ের করেছে শিশু সাইমনের বড় চাচা আনোয়ার হোসেন।

আতিক উপজেলার কাশিল ইউপি’র কাশিল উত্তর পাড়ার আজম মিয়ার ছেলে এবং প্রবাসী’র স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (২১) একই গ্রামের দক্ষিনপা’ড়ার শফি মিয়ার মেয়ে। দুধের শিশুকে ফেলে প্রবাসী স্বামীর মোটা অংকের টাকা নিয়ে অটোচালকের সাথে পা’লিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপ’ক চাঞ্চ’ল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সুমাইয়ার ও বাদী’র পরিবার এবং মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে উপজেলার হাবলা ইউপি’র জিবনশর উত্তর পাড়ার ঠান্ডু মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে প্রবাসী সাদ্দাম হোসেনের সাথে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়। প্রায় একযুগ যাবত সিংগাপুর থাকার সুবাদে বিয়ের সময়ে সাদ্দাম তার স্ত্রীকে প্রায় ৭ ভরী স্বর্না’লঙ্কার উপহার দেন। এরই মাঝে সে পুনঃরায় সিংগাপুর চলে যায়। ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে সাদ্দাম ও সুমাইয়া দম্পতি’র ঘরে একটি পুত্র সন্তান জ’ন্ম হয়।

পূর্ব পরিচিত আতিকের অ’টোতে চলাচলের সুবাদে সুমাইয়ার সাথে আতিকের ঘনি’ষ্ঠতা বাড়তে থাকে। প্রায়ই সে সুমাইয়ার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে। সাইমনের জন্মের পর সাদ্দাম তার এলাকায় জমি ক্র’য়ের জন্য ব্যাংকে গচ্ছিত টাকাগুলো বাড়িতে তার স্ত্রী সুমাইয়ার নিকট রাখার বিষয়টি জানতে পারে অতিক। সে সুমাইয়াকে বিয়ের প্র’লোভন দেখায়। জুলাই মাসের ১৮ তারিখে আতিকের হাতধরে শিশু সাইমনকে রেখে নগদ টাকা ও স্বর্নাল’ঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায় সুমাইয়া।

কয়েকদিন পর সুমাইয়ার পরিবার তাকে উ’দ্ধার করে এবং গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে টাকা ও স্বর্নাল’ঙ্কার ফিরিয়ে দেবার শর্তে সাদ্দামের পরিবার সুমাইয়াকে গ্রহন করে। এরপর টাকা ও স্বর্নাল’ঙ্কার ফেরত চাইলে আবারো সে আতিকের সাথে পা’লিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাদ্দামের বড়ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আমলী আদালতে ১৮ আগস্ট একটি মাম’লা দায়ের করে।

এ ব্যাপারে বাদী আনোয়ার বলেন, আমার ৬ মাস বয়সি ভাতিজাকে ফে’লে চলে যাবার পরো আমরা শুধুমাত্র এই দুধের শিশুর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দ্বিতীয়বার সুমাইয়াকে মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু তার পরো সে চলে গেলো। সে তার গ’র্ভের সন্তানের কথাও ভাবলো না। তাই আমরা আ’ইনগত ভাবেই বি’বাদীদের মো’কাবেলা করবো।

সুমাইয়ার মা হেনা বেগম বলেন, আমি এখন ওকে আমার মেয়ে বলতে চাইনা। আমাদের কথা নাহোক, ওই শিশু দুধের বাচ্চাটার কথা ভেবেও তো সে ফিরে আসতে পারতো! এখন আমি এবং আমাদের পরিবারের সবাই সুমাইয়া, আতিক এবং যারা এদের সাথে জ’ড়িত সক’লের বি’চার ও শা’স্তি চাই। বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ জানান, বিজ্ঞ আ’দালতের নির্দেশ মতে মা’মলা হয়েছে এবং এটি ত’দন্তা’ধিন রয়েছে। আসামীরা পল’তক। তাদের আ’টক করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।