একবছরেই ঘুরে দাঁড়াবে দেশের অর্থনীতি

| আপডেট :  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৫৮ অপরাহ্ণ

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত সমগ্র পৃথিবী। বাংলাদেশেও চলতি বছরের মার্চ থেকে এই ভাইরাস প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। আর এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের অর্থবীতি। তবে সরকার মনে করছে এক বছরের মধ্যেই দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।

সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকীর খসড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরেই দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। এমনকি এই সময়ে দেশের মোট জিডিপির লক্ষ্যমাত্রাও বাড়িয়ে ধরা হয়েছে। এই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮.৫১ শতাংশ।

ইতিমধ্যে খসড়া পরিকল্পনাটির ওপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত চাওয়া হয়েছে। খসড়ায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য, কৃষি, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি,ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।

খসড়া পরিকল্পনায় ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ, ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম বলেন, অর্থনীতির গতি বাড়তে শুরু করায় তারা আশা করছেন৷ আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব অনেকটাই কেটে যাবে এবং প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন কঠিন হবে না।

এছাড়া, খসড়া পরিকল্পনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব না থাকলে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ ধরা হতো। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবে কারণে এই লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ ধরা হয়েছে।

এর পাশাপাশি আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যসেবা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হবে এবং সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে জেলা পর্যায় পর্যন্ত মানসম্মত ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।

তবে খসড়ায় কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এর কারণ, দেশের ৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থানই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে।