কোরিয়ায় চমক দেখালেন বাংলাদেশি তরুন

| আপডেট :  ১২ আগস্ট ২০২১, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১২ আগস্ট ২০২১, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ণ

নতুন ধরনের একটি রোবট তৈরি করে কোরিয়ায় আলোড়নের সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তা লাবিব তাজওয়ার রহমান। তার তৈরি রোবটটি সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় খাবার পৌঁছে দিবে। অর্থাৎ রোবটটি একটি ডেলিভারিম্যানের কাজ করবে। দুই সহযোগী মিলে এই রোবটটি তৈরি করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে লাবিব বলেন, রোবটটি অর্ডার করা খাবার রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার সংগ্রহ করে হোম ডেলিভারি দেবে। ডেলিভ্যারিম্যান যা করে এবার থেকে রোবটটি তাই করবে। এটি মূলত লোকালাইজেশন ও পথ-পরিকল্পনা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় ফুড-ডেলিভারি দিবে। এরই মধ্যে তারা রোবটটির জন্য হুন্দাই মোটরসের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করেছে নিউবিলিটি।

লাবিব বলেন, ২০১৫ সালে লাবিব দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তার পরিচয় হয় অ্যান্ড্রু লি ও চিউংহো চোর (নিউবিলিটি’র বাকি দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা) সঙ্গে। তারা তিনজনই নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত কনরাড অ্যাওয়ার্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনজনেই ছিলেন ফাইনালিস্ট, আর এখান থেকেই তাদের বন্ধুত্বের যাত্রা শুরু হয়।

প্রতিযোগিতার পরেও বহুদিন পর্যন্ত আমরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। সবসময় ভাবতােন তিনজন মিলে কিছু একটা উদ্ভাবন করা যায় কিনা! শেষ পর্যন্ত তারা ‘নিউবিলিটি’ গড়ে তুলেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা গেমিংয়ে আনুষঙ্গিক বানানোর পরিকল্পনা করেছিলাম। এই আইডিয়া নিয়ে তারা দুয়েক বছর কাজও করেছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বড় প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষ দ্বারা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার বিকল্প খুঁজছিল। সেই থেকে তারা ডেলিভারি রোবট বানানোর সিদ্ধান্তে আসেন

লাবিব আরও বলেন, পরিকল্পনাটি এই মুহূর্তে শুধু সিউলের মতো নিখুঁত পরিকল্পিত শহরেই বাস্তবায়ন সম্ভব। এমনকি আমেরিকার অনেক শহরেও এর বাস্তবায়ন সম্ভব না। তবে তারা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাই হাতে রেখেছেন। ধীরে ধীরে সিউলের বাইরে তারা রোবট বানানোর কাজ শুরু করবেন। এখন শুধু হুন্দাইয়ের মতো কোম্পানিগুলোর অভ্যন্তরীণ কাজে ব্যবহারের জন্য বানানো হচ্ছে।

লাবিব বলেন, “এটা খুব কঠিন একটা কাজ, আমরা জানি। কিন্তু আমাদের পার্টনাররা সময় বেঁধে দিয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটা ধাপ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরও টাকা বরাদ্দ পাবো। একটা স্টার্টআপ টিকিয়ে রাখা যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমনি উত্তেজনাকরও! প্রতিটা ধাপ, প্রতিটা চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে এলে যে আনন্দ হয়; তা আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করে তোলে।”

প্রসম্গত, লাবিব দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলভিত্তিক কোম্পানি ‘নিউবিলিটি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা। তার সাফল্যের মধ্যে আরও রয়েছে, তিনি ‘ইনক্লুশনএক্স’ নামে বাংলাদেশে একটি মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ডিজ্যাবিলিটি ইনক্লুশন সার্ভিস চালু করেছেন।