লিবিয়ার নেতৃত্ব দিতে জনসম্মুখে গাদ্দাফির ছেলে

| আপডেট :  ২ আগস্ট ২০২১, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ আগস্ট ২০২১, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ

ত্রিপোলি, ৩১ জুলাই- অবশেষে জনসম্মুখে সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির একমাত্র জীবিত ছেলে সাইফ আল ইসলাম। তিনি আগামীতে লিবিয়ার নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাইফ জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘ দশ বছর ধরে লিবিয়ার জনগণ

থেকে দূরে রয়েছি। ধীরে ধীরে ফিরে আসতে হবে। জনগণের মন জয় করতে হবে।’ লিবিয়ার প্রে’সিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চান তিনি। সাক্ষাৎকারে ‘ব’ন্দী কি না’ এই প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘তিনি এখন মুক্ত এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরে পেতে কাজ করছেন। আপনি কল্পনা করতে পারেন? যারা

আমাকে ব’ন্দী হিসেবে পাহারা দিয়ে রাখার কথা ছিল, তারা এখন আমার ভালো বন্ধু। এক দশক আগে যারা তাকে গ্রে’ফতার করেছিল, পরে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। একসময় সেই বিপ্লবীরা উপলব্ধি করে, সাইফ তাদের শক্তিশালী মিত্র হতে পারে।’ ২০১১ সালের নভেম্বরে লিবিয়ার সাবেক বি’দ্রোহী

গোষ্ঠী আজমি আল-আতিরি সাইফ গাদ্দাফিকে আ’টক করে এবং তখন থেকে সাইফ এ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রিত কা’রাগারে আ’টক ছিলেন। লিবিয়া স’রকার অবশ্য দাবি করেছিল, সাইফ গাদ্দাফি তাদের নিয়ন্ত্রিত কা’রাগারে রয়েছেন। ২০১৩ সালে ত্রিপোলির একটি আ’দালত সাইফসহ গাদ্দাফির শাসনামলের প্রায় ৩০ জন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে ২০১১ সালের অভ্যুত্থানের

সময়কার অ’পরাধের জন্য অ’ভিযুক্ত করেছে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বি’দ্রোহীদের হাতে প্রে’সিডেন্ট গাদ্দাফি নি’হত হওয়ার একদিন পর সাইফও ধরে পড়েন। ২০১৭ সালে বি’দ্রোহীদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সাইফকে আর জনসমক্ষে তেমন দেখা যায়নি। বাবা

গাদ্দাফি হ’’ত্যার পর তাকেই লিবিয়ার পরবর্তী উত্তরসূরি ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। গাদ্দাফির সাত স’ন্তানের মধ্যে হ’’ত্যাকাণ্ডের শি’কার হন তিনজন। সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন