তালেবানের জয় যেভাবে বিশ্বকে বদলে দেবে

| আপডেট :  ২৮ জুলাই ২০২১, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ জুলাই ২০২১, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

তালেবান মুখপাত্রের ভাষ্যমতে, ইদানীং আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের ৪২১টি জে’লার ৮৫ শতাংশ এলাকা তাদের দ’খলে। তুমুল যু’দ্ধ চলছে দেশজুড়ে। রাজধানী কাবুলের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। মা’র্কিন গো’য়েন্দা সংস্থা সিআইএর মতে, ছয় মাসের মধ্যে তালেবানরা কাবুল দ’খল করে বসবে। ইতোমধ্যে ইরান-আফগান, আফগান-পাকিস্তান, আফগান-চীন সীমান্ত ক্রসিং ও বাণিজ্যিক

রুট তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। প্রে’সিডেন্ট আশরাফ গনির অনুগত সে’নারা অনেক জায়গায় আত্মসমর্পণ করছে এবং প্রায় এক হাজার সে’না সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর ফে’লে যাওয়া বিপুল অ’স্ত্র ও সাঁজোয়া যান তালেবানের দ’খলে চলে গেছে এবং যাচ্ছে। এদিকে আফগান যু’দ্ধে নেতৃত্বদানকারী মা’র্কিন জেনারেল অস্টিন মিলার ১২ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার ত্যাগ করেন। এতে বোঝা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের আফগান মিশনের যবনিকাপাত ঘটল।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করে বলা হচ্ছে, তালেবান আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে এলে গৃহ’যু’দ্ধ শুরু হবে। নির্বাচন পদ্ধতি কেমন হবে? আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান, ইরান, চীন, ভারত রাশিয়ার নতুন ব্যাকরণের ধারাপাত শুরু হবে। চীন চাইবে ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ উন্নয়ন কৌশলের অধীন অর্থনৈতিক করিডোরে আফগানিস্তানকে যুক্ত করতে। নারীরা শিক্ষা ও কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হয়ে গৃ’হব’ন্দী হয়ে পড়বে ইত্যাদি। দ্রুত দৃশ্যপট পাল্টাচ্ছে। অগ্রিম মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি। পরিস্থিতিই সমাধানের পথ বের করে দেবে। ঘটনা পরম্পরা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, ৩০ বছর আগের তালেবান আর

বর্তমান তালেবান এক নয়। দু’য়ের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ করার মতো। বর্তমান নেতৃত্ব অনেকটা পরিপক্ব, প্রতিবেশীসহ বিশ্বের দেশ’গুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ইচ্ছুক। আশরাফ গনির স’রকার ও তালেবানদের মধ্যে দোহায় একটি আলোচনা বৈঠকের তৎপরতাও চলমান। ইউনিসেফ আফগানিস্তানের তালেবান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে কয়েক হাজার অনানুষ্ঠানিক স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য তালেবানের সাথে চুক্তি করেছে গত ডিসেম্বরে। এসব স্কুলে পড়বে এক লাখ ৪০ হাজার আফগান ছেলে-মেয়ে। এক শ্রেণীর মিডিয়া নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তালেবান নিয়ে ভীতি ও হতাশা ছড়াচ্ছে। সামাজিক শক্তিই হচ্ছে তা’লেবানের সাফল্য ও অগ্রযাত্রার অন্যতম নিউ’ক্লিয়াস। মসজিদ, মাদরাসা,

খানকা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত তালেবানের অপ্রতিহত প্রভাব আছে সমাজের ও’পর। আফগান সমাজের নারী-পুরুষ নিজস্ব ঐতিহ্য ও শরিয়তি বিধি-বিধান মেনে চলতে অভ্যস্ত। পশতু, তাজিক, হাজারা ও উজবেক জনগোষ্ঠী নিয়ে আফগান রাষ্ট্র গঠিত হলেও বিদেশী আগ্রাসী শক্তির প্রতিরোধে সবাই এক ও একতাবদ্ধ। ৯৯ শতাংশ মু’সলমানের সবাই সুন্নি ও হা’নাফি মাজহাবের অনুসারী। তালেবানের বৃহত্তর অংশ দেওব’ন্দি ধারার মাদরাসায় শিক্ষাপ্রাপ্ত। গোত্রসর্দারদের কওমচেতনা (আসাবিয়াহ) ও চার লক্ষাধিক তালেবানের শক্তিমত্তার সমন্বয়ের ফলে এক অপ্র’তিরোধ্য বিক্রম ও তেজস্বীতার

জন্ম হয়েছে দেশটিতে। আফগানিস্তান প্রাচীনকাল থেকেই এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বহিরাক্রমণে এই দেশটি বারবার ক্ষ’তবিক্ষ’ত হয়েছে। সুপ্রাচীন কাল থেকে বহু বাণিজ্য কাফেলা আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে চলাচল করেছে এবং এদের মধ্যে কেউ কেউ এখানে বসতি স্থাপন করেছেন। জাতিগত ও ভাষাগত বৈচিত্র্য এই দেশের বৈশিষ্ট্য। ইতিহাস সাক্ষী, আফগান জনগণ বংশ পরম্পরায় বৈদেশিক আগ্রাসনের বি’রুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। মহাবীর আলেকজান্ডার, ব্রিটিশ রাজকীয় বাহিনী, সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বশেষ ন্যাটো ও মা’র্কিন বাহিনী আফগানিস্তান দ’খল করে বেশি

দিন ধরে রাখতে পারেনি। নিজ নিজ দেশে ফেরত যেতে বা’ধ্য হয়েছে ব্য’র্থতার গ্লানি নিয়ে। রেখে গেছে বিপুল ক্ষয়ক্ষ’তি ও অনেক বে’দনার স্মৃ’তিচিহ্ন। ১৮৪২ সালে প্রথম অ্যাংলো-আফগান যু’দ্ধে অংশগ্রহণকারী ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জন ডা. উইলিয়াম ব্রাইডনের ডায়েরি থেকে জানা যায়, চার হাজার ৫০০ সে’নাসদস্য ও ১২ হাজারের মতো কর্মচারীর লা’শ আফগানিস্তানে রেখে ব্রিটিশ বাহিনীকে কাবুল থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে জালালাবাদ গ্যারিসনে ফিরে আসতে হয়। ডা. ব্রাইডন ছিলেন একমাত্র জীবিত সদস্য। বাকিগুলো বরফাচ্ছাদিত পার্ব’ত্য গিরিপথে আফগান

গেরিলাদের হাতে প্রা’ণ হারায়। তালেবান যো’দ্ধারা ৩০ বছর লড়াই করেছে দুই পরাশক্তির আগ্রাসন মো’কাবিলায়। ১০ বছর সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ২০ বছর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত ৩৬টি দেশের বিরু’দ্ধে যু’দ্ধ করেছে তারা। কত তালেবান শহীদ হয়েছেন তার নির্ভরযোগ্য তথ্য না থাকলেও বিশ্লেষকদের অনুমান, তাদের সংখ্যা প্রায় ৫১ হাজারেরও বেশি। ১৯৭৯-৮৯ পর্যন্ত ১০ বছরে ১৫ হাজার সোভিয়েত সে’না তালেবানের হাতে প্রা’ণ হা’রিয়েছে এবং আ’হত হয়েছে ৩৫ হাজার সে’নাসদস্য। মা’র্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার স্থল, নৌ ও বিমানসে’না এবং ন্যাটোর অধীন বহু’জাতিক বাহিনী নিয়ে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে ঝাঁ’পিয়ে পড়ে ‘স’ন্ত্রাসের বি’রুদ্ধে যু’দ্ধ’-এ ঠুনকো

অজুহাতে। আমিরুল মুমিনিন মোল্লা ওম’রের স’রকারকে উৎখাত করে কাবুল দ’খল করে নেয়। স’রকার থেকে উৎখাত হলেও তালেবানরা মাটি ও মানুষ থেকে উৎখাত হয়নি। জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ আ’ন্দোলন গড়ে তোলে। মা’র্কিন বাহিনী ও ন্যাটো ২০ বছর সর্বাত্মক যু’দ্ধ করেও তালেবানের পরা’জিত করা তো দূরের কথা, নিজেরাই হেরে গেল। পাকিস্তানের মধ্যস্থতায় কাতারে তালেবানের সাথে চুক্তি করে ৩১ আগস্টের মধ্যে সব সে’না আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়ার চুক্তি করে মা’র্কিন প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে ২ জুলাই মধ্য এশিয়ার বৃহত্তর বাগরাম ঘাঁটি ছেড়ে চলে গেছে মা’র্কিন সে’নারা। আলো নিভিয়ে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে না
জানিয়ে অরক্ষিত অবস্থায় গভীর রাতে তারা ঘাঁটি ত্যাগ করে। ২০ বছরের যু’দ্ধে আমেরিকা মূলত পরাজিত

হয়েছে। তাদের প্রাপ্তি বেশি নেই, বরং ক্ষয় ও লয়ের তালিকা দীর্ঘ। বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদন মতে, দীর্ঘস্থায়ী আফগান যু’দ্ধে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সা’মরিক বাহিনীর খরচ হয়েছে ২.২৬ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রা’ণ হা’রিয়েছে দুই হাজার ৫০০ সে’নাসদস্য। আ’হত হয়েছে প্রায় ২০ হাজার। উপরন্তু এ যু’দ্ধে এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে ২ লাখ ৪১ হাজার মানুষ নি’হ’ত হয়েছে। ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় পরাজয়ের দুঃসহ স্মৃ’তির সাথে যুক্ত হলো আফগান ট্র্যাজেডি। ১৯৬৫-১৯৭৫ সালের মধ্যে ৫৮ হাজার ৩০০ মা’র্কিন সে’না ভিয়েতনামে মা’রা যাওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতিতে পরিবর্তন আসেনি। স’রকার পরিবর্তন হলেও পরদেশে আ’গ্রাসন, গু’প্তহ’’ত্যা, স’রকার উৎখাত ইত্যাদি ক’র্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের

বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষে’পণাস্ত্র স’রা’নোর পরিকল্পনা নিয়েছে পেন্টাগন। বিদেশী কূটনীতিক, তাদের পরিবার ও এনজিও কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ৭০০ সে’না কাবুলে রাখতে চেয়েছিল মা’র্কিন প্রশাসন কিন্তু তালেবানরা এতে সম্মত হয়নি। একদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানের ভূখণ্ডে আমেরিকাকে কোনো ঘাঁটি করতে দেয়া হবে না। বারাক ওবামার আমলে ইসলামাবাদের সহায়তায় মা’র্কিন সে’নারা খায়বার পাখতুনখা প্রদেশের ওয়াজিরিস্তানের পার্বত্যাঞ্চলে বিমান ও ড্রো’ন হা’মলা চা’লিয়ে তিন হাজার তালেবানসহ সা’মরিক ও বেসা’মারিক ৬৫ হাজার নাগরিককে হ’’ত্যা করে। এতে চার লাখ ৭০ হাজার

বেসা’মরিক নাগরিক বাস্তুহারা হয়। এক লাখ উদ্বাস্তু আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে ঢুকে পড়ে। পাকিস্তানের সাথে তালেবানের সম্পর্ক আগে থেকেই মজবুত। অপরদিকে ইরান ও তালেবানের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলছে চীন। দীর্ঘ রেললাইন স্থাপনসহ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের অফার রয়েছে চীনের হাতে। খনিজ সম্পদ উত্তোলনে চীনের সাথে আফগানিস্তানের বেশ ক’টি চুক্তি আছে। চীন সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে। তালেবান যে চীনের বন্ধু হয়ে উঠবে, সেটাই স্বাভাবিক। আফগানিস্তান থেকে চলে আসার পেছনেও মা’র্কিনিদের অন্য পরিকল্পনা রয়েছে নিশ্চয়ই। আ:ন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, আমেরিকা এখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার

রাজনীতিতে মনোযোগ নিব’দ্ধ করতে পারে। ৩০ বছরের যু’দ্ধে আফগানিস্তান প্রায় ‘ধ্বং:স হয়ে গেছে, অবকাঠামো ভে’ঙে পড়েছে। ব্যবসায়-বাণিজ্য, আম’দানি-রফতানি, শিল্প-কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব বন্ধ। এটি বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশে পরিণত হয়েছে। এডি’বির তথ্য মতে, ৫৪.৪ শতাংশ আফগান দরিদ্র। প্রায় পৌনে চার কোটি মানুষের এই দেশে এখনো দৈনিক যাদের আয় ১ দশমিক ৯ ডলারের মতো। জাতিসঙ্ঘ শ’রণার্থী সংস্থার হিসাব মতে, চলতি সালে দেশটিতে দুই লাখ ৭০ হাজার মানুষ নতুন করে বাস্তুহারা হয়েছে। ৩৫ লাখ মানুষ এখন গৃহ’হীন। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেসা’মরিক মানুষের মৃ’ত্যু ২৯ শতাংশ বেড়েছে। আফগানিস্তান এখন মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি। আশার খবর হচ্ছে, দেশটিতে যদি রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটে এবং সামাজিক

শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ফিরে আসে তবে তিন ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের উত্তোলনযোগ্য যে পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে এগুলোর প্রযুক্তিভিত্তিক সদ্ব্য’বহার করা গেলে আফগানিস্তান অর্থনৈতিকভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। খনিজ সম্পদ আফগান অর্থনীতির মেরুদ’ণ্ডে পরিণত হতে পারে আগামী দিনগুলোতে। ২০০৬ সালে মা’র্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, উত্তর আ’ফগানিস্তানে গড়ে ২৯০ শত কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত খনিজ তেল ও ১৫.৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ আছে। আফগানিস্তানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লিথিয়াম রয়েছে। এ ছাড়াও দেশটিতে তামা,

সোনা, কয়লা, লো’হার আকরিক এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ রয়েছে। ‘হেলমান্দ প্রদেশের খানাশিন এলাকার কার্বোনাটাইট শিলাতে এক কোটি টনের মতো দুর্লভ ধাতু রয়েছে। আফগানিস্তানের স’রকারি কর্মকর্তারা অনুমান করেন, দেশটির ৩০ শতাংশ অব্যবহৃত খনিজ সম্পদের মূল্য কমপক্ষে এক ট্রিলিয়ন মা’র্কিন ডলার। আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সে’নার বিদায় একটি বার্তা দিচ্ছে, তা হলো- আগ্রাসী শক্তি যতই প্রযুক্তিনির্ভর হোক,

পরমাণুশক্তির মালিক হোক, সাহসী প্রতিরোধযো’দ্ধাদের সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা, মা’নসিক প্রতাপ ও বিক্রম তাদের থাকে না। ব’ন্দুকের জো’রে কোনো দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি পাল্টে দেয়া সম্ভব নয়। তালেবানের বিজয় দেশে দেশে প্র’তিরোধযো’দ্ধাদের অনুপ্রা’ণিত করবে। জনগণের ম্যা’ন্ডেট নিয়ে স্থিতিশীল স’রকার প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত আ’ক্রমণের ফলে পাকিস্তানে আশ্রিত বাস্তুহারা ৩০ লাখ ও ইরানে আশ্রিত ১৫ লাখ আফগান শ’রণার্থী স্বদেশে ফিরে জাতি পুনর্গঠনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গবেষক