দুই সতীনের বি’রোধ, গভীর রাতে স্বা’মীর বিশেষ অ’ঙ্গ কে’টে পা’লালেন স্ত্রী

| আপডেট :  ২৭ জুলাই ২০২১, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ জুলাই ২০২১, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ণ

দুই সতীনের বি’বাদের জেরে বিশেষ অঙ্গ কর্তন করে ও গ’লা কে’টে স্বামীকো হ’’ত্যা চেষ্টার অ’ভিযোগ উঠেছে এক স্ত্রীর বি’রুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে উপজে’লার নাগরী ইউনিয়নের উত্তর রাথুরা গ্রামের মৃ’ত ছফু করাতির বাড়িতে। অ’ভিযুক্ত দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম শ্যামলী বেগম।

আ’হত রিকশাচালক নাজমুল মৃধা (৩০) ওই গ্রামের ছফরউদ্দিন ওরফে ছফু মৃধার ছেলে। এ ঘটনায় আ’হত নাজমুল মৃধার বড়বোন বিলকিস বেগম বা’দী হয়ে শনিবার সকালে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অ’ভিযোগ দা’য়ের করেন। ঘটনার পর থেকে শ্যামলী বেগম প’লাতক রয়েছেন।

অ’ভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আছমা বেগম ও শ্যামলী নামের দুই স্ত্রী রয়েছে নাজমুল মৃধার। প্রথম স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে ঢাকায় উত্তরায় থেকে রিকশা চা’লানোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রী শ্যামলী তার বাপের বাড়ি ঢাকার খিলক্ষেত থানার পাতিরা এলাকায় থাকেন।

ঈদের আগের দিন প্রথম স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন নাজমুল মৃধা। ২৩ জুলাই সকালে শ্যামলী তার স্বামীর বাড়িতে এসে সতীন আছমাকে বে’ধড়ক মা’রধর করে আ’হত করেন। পরে বি’ষয়টি বাড়ির লোকজন প্রাথমিকভাবে তাদের মাঝে মীমাংসা করে দেয়।

ওই রাতের খাবার খেয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী শ্যামলী তার স্বামীর সঙ্গে ঘুমায়। পরে রাত আনুমানিক ২টায় নাজমুলের চি’ৎকার শুনে প্রথম স্ত্রী আছমাসহ বাড়ির লোকজন দৌড়ে এসে বাড়ির পাশে শরীরের নিম্নাংশ র’ক্তে ভেজা অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

প্রথম স্ত্রী আছমাসহ বাড়ির লোকজন এসে কাপড় সরিয়ে তার গো’পনাঙ্গ ও বাম হাতের বৃ’দ্ধাঙ্গু’লি কা’টা দেখতে পান। পরে তাকে গু’রুতর র’ক্তাক্ত জ’খম ও অজ্ঞান অবস্থায় উ’দ্ধার করে উপজে’লা স্বা’স্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার গো’পনাঙ্গে ২২টি সেলাই ও বাম হাতের বৃ’দ্ধাঙ্গু’লি বেশ কয়েকটি সেলাই করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহম’দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

এ বি’ষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ই’নচার্জ একেএম মিজানুল হক জানান, এ বি’ষয়ে একটা অ’ভিযোগ পেয়েছি। অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রকৃত ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করা হচ্ছে।