সব
শ্বশুরবাড়িতে আসার পর থেকেই শ্বশুরের বন্দুকের প্রতি আগ্রহ ছিলো নববধূর। বন্দুক পাশে নিয়ে ছবিও তুলেছিলেন এর আগে। কিন্তু অতি আগ্রহ বশত বন্দুক নিয়ে সেলফি তুলতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। দূর্ঘটনাবশত বন্দুকের গুলি বেরিয়েই ঘটে বিপত্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের হারদুই অঞ্চলে। নিহত তরুনীর নাম রাধিকা গুপ্তা। ২৬ আছর আয়সী তরুনীর শখ ছিল সাহসী কিছু করে দেখানোর। আর সাহস দেখানোই কাল হলো এই তরুণীর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, থুতনিতে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে সেলফি তুলছিলেন রাধিকা। একটা হাত মোবাইলের কিপ্যাডে থাকলেও ছবি তোলার সময় তরুণীর অপর হাত ছিল বন্দুকের ট্রিগারে। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। অসাবধানতাবশত চাপ পড়ে যায় ট্রিগারে। ব্যাস! গুলি বেরিয়ে সোজা তরুণীর মাথায়।
রাধিকার শ্বশুর রাজেশ গুপ্তা জানান, তার ছেলে আকাশ গুপ্তার সঙ্গে রাধিকার বিয়ে হয় চলতি বছরের মে মাসে। বন্দুকটি তাদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তবে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ১২-বোর একনলা বন্দুকটি থানায় জমা রাখতে হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) আকাশ সেটি বাড়িতে ফেরত আনে। বাড়ির দোতলায় সেটি রাখা ছিল। ওইদিনই বিকেলে বাড়ির সদস্যরা গুলির শব্দ শুনতে পান। রাধিকার ঘরে পৌঁছে দেখেন তিনি রক্তে ভাসছেন। হাতে রয়েছে সেই একনলা বন্দুকটি।
সামনে তার মোবাইলটি পড়ে থাকতে দেখেন সবাই। সেখানেই বন্দুকসহ রাধিকার সেলফি দেখা যায়। বুঝতে কোনো অসুবিধা হয়নি, সেলফি তোলার কারসাজি করতে গিয়েই এই পরিণতি। পুলিশ বন্দুক ও মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছে। ইতোমধ্যে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ভিকটিমের ফোন থেকে একটি ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে যা তার মৃত্যুর সম্ভবত কয়েক সেকেন্ড আগে তোলা হয়েছিল।