পাওনাদারের লাশ নিয়ে দেনাদারের ঘরের সামনে স্বজনদের আহাজারি

| আপডেট :  ২৪ জুলাই ২০২১, ০২:৫৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ জুলাই ২০২১, ০২:৫৮ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাওনাদার সুনীল চন্দ্র দাসের (৪০) লাশ নিয়ে দেনাদারের ঘরের সামনে অবস্থান করছে স্বজনরা। শনিবার সকালে উপজেলার মহিপুর থানার মৎস বন্দর আলীপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, দীর্ঘ দুই বছর ধরে পাওনা টাকার শোক সইতে না পেরে শুক্রবার রাত ৯টায় নিজ বাড়িতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। পরে লাশ নিয়ে স্বজনরা দেনাদার ইউসুফ মুসুল্লির ঘরের সামনে অবস্থান করে। এ ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় দুই বছর আগে আলীপুর বাজারের স্থানীয় ইউসুফ মুসুল্লীর কাছ থেকে আট লাখ টাকায় তিন শতক জমি ক্রয় করেন সুনীল চন্দ্র দাস। সে পেশায় একজন লন্ড্রি ব্যবসায়ী। কিন্তু তাকে জমি বুঝিয়ে দেয়নি। এরপর থেকে টাকা ফেরৎ চেয়ে আসছিল। এক পর্যায় সুনীল দাস অসুস্থ হয়ে পড়লে টাকার অভাবে স্বজনরা চিকিৎসা করতে পারছিল না। শুক্রবার রাতে নিজের বসতঘরে তার মৃত্যু হয়। এরপর শনিবার সকাল ৯টা থেকে পাওনাদার সুনীল চন্দ্র দাসের লাশ নিয়ে স্বজনরা দেনাদার ইউসুফ মুসুল্লীর ঘরের সামনে অবস্থান করেন।

মৃত সুনীল দাসের স্ত্রী মাধুরি দাসের দাবি, তার স্বামী স্থানীয় ইউসুফ মুসুল্লীর নিকট থেকে ৮ লাখ টাকায় তিন শতক জমি (একটি ভিটি) ক্রয় করেন। কিন্তু জমি বুঝিয়ে দেয়নি। এরপর থেকে টাকা ফেরৎ চেয়ে আসছে তার স্বামী। টাকার শোক সইতে না পেরেই মৃত্যু হয় তার।

লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, মৃত সুনীল জমি কেনার জন্য ইউসুফ মুসুল্লীকে টাকা দিয়েছিলো। এ নিয়ে সালিশ বৈঠক বসলেও টাকা কিংবা জমি ফেরত দেয়নি। তার জানামতে, সুনীল অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন।

এ বিষয়ে ইউসুফ মুসুল্লীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, স্বজনদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের অইনগত সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া পুলিশি সহায়তা লাশ সৎকার করা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।