সব
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ করতে সমগ্র দেশে শুরু হয়েছে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। কিন্তু লকডাউনের প্রথম দিনেই ঢাকার দিকে মানুষের ঢল দেখা গেছে। মূলত ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় ছুটছেন হাজার হাজার মানুষ। লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটে বা রিকশায় নিজেদের গন্তব্যে ফিরতে হয়েছে তাদের। অনেকক্ষেত্রে পরিস্থিতির কারণে রিকশার ভাড়া গুনতে হয়েছে কয়েকগুন বেশি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাবতলী এলাকার আমিনবাজার ব্রিজে ঢাকামুখী যানবাহন আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও থামানো যায়নি মানুষের ঢল। গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হলে থেকে পায়ে হেঁটে আর রিকশায়ই গন্তব্যে রওয়ানা দেন তারা।
এদিকে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, ঈদুল আজহার পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) আট লাখ ২০ হাজার মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করেছেন। আর ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত এক কোটি চার লাখ ৯৪ হাজার মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমনটি জানান তিনি। মন্ত্রী একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে সেখানে লেখেন, ‘একটু আগে ঢাকা থেকে যাওয়া ও আসা সিমের হিসাব পেলাম।’
চারটি অপারেটর গ্রামীণ ফোন লিমিটেড, রবি অ্যাজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সিমের ওপর ভিত্তি করে পরিসংখ্যানটি তৈরি।
এতে দেখা যায়, ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত গ্রামীণ ফোন লিমিটেডের মোট ৪৯ লাখ ৫৬ হাজার ৪০৪ জন গ্রাহক ঢাকা ছেড়েছেন। একই সময়ে রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের যথাক্রমে ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৭, ২৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮৭৮ ও চার লাখ ৩০ হাজার ৬১৪ জন গ্রাহক ঢাকার বাইরে গেছেন। মোট হিসাব করলে ঢাকা ছাড়া গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়ায় এক কোটি চার লাখ ৯৪ হাজার ৬৮৩ জন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এবারের লকডাউন সবচেয়ে কঠোর হবে। এবারে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সব ধরনের দোকানপাট, গণপরিবহন এবং শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে এবং আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ চলবে। এবারের লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে বিজিবি ও সেনাবাহিনী।