সব
আজ সকালে কোরবানির পশু জ’বাই করাসহ মাংস কাটতে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক মানুষ আ’হত হয়েছেন। আজ বুধবার (২১ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রার বই (রো’গীর তথ্যবই) থেকে এই পরিসংখ্যান জানা গেছে।
জানা যায়, আ’হতদের বেশিরভাগেরই হাত-পায়ের আঙ্গুলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কে’টে গিয়ে ক্ষ’তের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অন্তত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের কারও অবস্থা গু’রুতর নয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আজ ঈদুল আজহা উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অসংখ্য পশু জ’বাই করা হয়েছে। এতে মৌসুমি কসাই এবং কোরবানি দেওয়া পরিবারের সদস্যদের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে পশু জ’বাই ও মাংস কাটতে গিয়ে তাদের কারও হাতে কারও পায়ে ছু’রির পোঁচ লেগে কে’টে যায়। আ’হতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আ’হতদের মধ্যে শহরের কাজীপাড়া এলাকার মোস্তাক আহমেদ জানান, মাংস কাটতে গিয়ে পায়ে কোপ পড়ে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার পায়ে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
সদর উপজে’লার রামরাইল গ্রামের আ’হত নয়ন বলেন, মাংস কা’টার সময় অসাবধানতাবসত আমার হাতে ছু’রি লেগে কে’টে যায়। র’ক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সদর হাসপাতালে এসে ব্যান্ডেজ করেছি। সদর উপজে’লার ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রাজিব জানান, মহিষ জ’বাই করার সময় বাঁধন ছিঁড়ে গিয়ে তার ও’পর ছিটকে পড়ে। এতে তার হাত, মুখ এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গু’রুতর জ’খম হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ধীমান দেবনাথ জানান, সকাল থেকে প্রায় শতাধিক রো’গী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সবাই কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গিয়ে আ’হত হয়েছেন। অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যাদের আ’ঘাত গু’রুতর তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। আ’হতরা সবাই শঙ্কামুক্ত।