সময় চাইলেন ইভ্যালির রাসেল

| আপডেট :  ১৭ জুলাই ২০২১, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৭ জুলাই ২০২১, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ণ

বর্তমানে একের পর এক নতুন সংকটে পড়ছে ই-কমার্স ভিত্তিক বিজনেস প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের পর প্রতিনিয়তই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে বিপক্ষে অসংখ্য পোস্ট দেয়া হচ্ছে। এমনকি এর মাঝে প্রতিষ্ঠানটির সদস্যপদ বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে ই-ক্যাব।

আর এমন পরিস্থিতিতে সময় চেয়েছেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে, প্রতিষ্ঠানটির ক্রান্তিকালীন এই সময়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে সময় চেয়েছেন। রাসেল লিখেছেন, ইভ্যালির পক্ষে বিপক্ষে অনেক মতামত সোস্যাল মিডিয়াতে পেয়েছি এবং দেখেছি। এতদিন ইভ্যালির যে লস সেটা শুধুমাত্র বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এর এই ইনভেস্টমেন্ট গিয়েছে। এখন ইভ্যালির অর্গানিক সেলস অনেক বেড়েছে। অনেকে এই সময় মতামত দিচ্ছেন বন্ধ করে পুরাতন অর্ডার ডেলিভারি করা হোক।

তিনি বলেন, এখন তো তারা অগ্রিম টাকা পাচ্ছেন না। গত দুই সপ্তাহ কিভাবে তাহলে পুরাতন অর্ডার থেকে ৪০ কোটি টাকার অধিক ডেলিভারি করা হলো? তারা বড় বড় সেলার দের ৪ হাজার কোটি টাকার বেশিপেমেন্ট দিয়েছেন। এইসব সেলাররা তাদের পাশে থাকতে চান। কিন্ত মিডিয়া অথবা সোস্যাল মিডিয়া যখন ডেসটিনি এর মত কোম্পানির সাথে তুলনা করেন তখন যে কেউই ভয় পেয়ে যান। তিনি দাবি করেন, বিজনেস একটা চলমান সম্পর্কে থাকার বিষয়। সেলস থাকলে সেলার থাকবে। এবং সেলার থাকলে পণ্য থাকবে।

রাসেল আরও লেখেন, আমাদের এই বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এ সবচেয়ে বড় বাধা ছিল দেশি অথবা বিদেশি বিনিয়োগ। কেউ কি আমাকে দয়া করে কোনো আইনী ধারা উল্লেখ করতে পারেন যেটি হয়তো আমার অজান্তেই মিস করে গেছি। যে কারণে আপনি বলতে পারেন ইভ্যালি অবৈধ। (আমি এই সংক্রান্ত বিস্তারিত আরো লিখব)। যদি নাই হয়, মিডিয়ায় অথবা সোস্যাল মিডিয়ায় আমাকে ক্রিমিনাল না বানিয়ে বিচার না করার অনুরোধ করতে পারি শুধু।

সবশেষে রাসেল বলেন, আমি বাংলাদেশের সব বড় গ্রুপ এখন যাচ্ছি। আমার হয়তো পুজি ঘাটতি। কেউ পুজি দিলেই কিন্ত কাল আমাকে সবাই হিরো বলত। যেই জিনিস টা ইভ্যালি অর্জন করতে চেয়েছিল ইভ্যালির একদম সেটার দারপ্রান্তে। এতো কিছুর পর নতুন নীতিমালার আলোকে ইভ্যালির সেলস ১০০ কোটি টাকা (পেইড)। এই সময় এসে গঠনমূলক অথবা পরামর্শমূলক আলোচনা অবশ্যই সবার উপকার হবে। ইভ্যালি নিয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী। এবং এর চেয়েও বেশি আশাবাদী ইকমার্স নিয়ে। বিদেশী অ্যামাজন আসলে আমরা খুশি হব স্বাভাবিক। কিন্ত দেশের কেউ ইকমার্স লিড দিবে এটা আমি শতভাগ নিশ্চিত। কারণ আমরা এখন সবচেয়ে দ্রুত উন্নয়নশীল জাতি। আমাদের একটু সময় দিন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে ইভ্যালির মূলধনের ঘাটতির বিষয়টি সামনে আসে।