মুক্তাগাছায় তিন বছরে ৪ জন ওসি বদলীর নেপথ্যে

| আপডেট :  ১৩ জুলাই ২০২১, ০২:১৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ জুলাই ২০২১, ০২:১৮ অপরাহ্ণ

খায়রুল আলম রফিক: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় গত তিন বছরে ৪ জন ওসি বদলীর ঘটনা ঘটেছে । এত অল্প সময়ে ঘন ঘন ওসির বদলী নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে । মুক্তাগাছার সচেতন মহল এজন্য, রাজনৈতিক তথা সরকারি দলের অর্থাৎ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের কয়েক নেতাকে দায়ি বলে মনে করছেন ।

জানা যায়, সম্প্রতি যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম মনিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সালেকিন মামুনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে মনিসহ কয়েকজনের নামে মুক্তাগাছা থানায় মামলা হয়।

এঘটনায় ভূক্তভোগী ডাক্তার সালেকিন মামুনের দায়েরকৃত মামলায় মুক্তাগাছা থানা ও ডিবি পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয় যুবলীগের সভাপতি মনি।

তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন । অভিযোগ রয়েছে, মাহবুবুল আলম মনি ও বাহিনী সম্প্রতি ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১ এর এক কর্মকর্তাকে মারধর করেছে । এছাড়াও উপজেলা যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি মনির বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ভূমিদস্যূতার অভিযোগ।

মুক্তাগাছার ডিস ব্যবসায়ী রঞ্জন গোস্বামী মাহবুবুল আলম মনির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ এনে বলেন, সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে প্রায় দুই যুগ ধরে ডিশ সংযোগের ব্যবসা করে আসছি। যুবলীগ নেতা মাহবুবুল আলম মনির নেতৃত্বে রাতে আধারে তার ব্যবসার মূল্যবান যন্ত্রাংশও প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় থেকে দামি মালামাল নিয়ে যায় ।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনো সমাধান হয়নি। উল্টো প্রভাবশালীদের দাপট ও হুমকি-ধমকি বেড়েই চলেছে। এছাড়াও যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি মনির বিরুদ্ধে রয়েছে অগনিত সমস্যা কেউ ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ ।

মনিকে আড়াল করতে তার শশুর মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করে ওসিদের ওপর দায় চাপিয়ে দেন । বদলী হওয়া ওই ৪জন ওসি আলী আহমেদ মোল্লা, যোগদান করেন ২২/১১/২০১৭,বদলি ২৭/০৩/১৯, মোহাম্মদ আলী মাহামুদ যোগদান ২৭/০৩/১৯, বদলি ২৭/০২/২০২০, বিপ্লব কুমার বিশ্বাস যোগদান ২৭/০২/২০২০, বদলি ২৭/০১/২০২১, মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ যোগদান ২৭/০১/২০২১, সম্প্রতি বদলি হয়েছেন সিআইডিতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তাগাছা পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বিল্লাল হোসেন সরকারের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি, তাই তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।