ঘরের মাঠে স্বপ্নভঙ্গ, কাঁদলেন নেইমার

| আপডেট :  ১১ জুলাই ২০২১, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ জুলাই ২০২১, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে বলা হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাই ১৪ বছর পর কোপা আমেরিকার ফাইনালে এই দুই দলের লড়াই নিয়ে উৎসুক ছিলো সমগ্র বিশ্বই। আর হাই ভোল্টেজ এই ম্যয়চে শেষপর্যন্ত জয়ের হাসি হেসেছে আর্জেন্টিনা। অপরদিকে দীর্ঘ বছর পরে ঘরের মাঠে পরাজিত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ব্রাজিলের মিডফিল্ডার নেইমার

প্রায় ৭১ বছর পর ব্রাজিলের মারকানা স্টেডিয়ামে কোনো ফাইনাল হারলো সেলেসাওরা। সবশেষ ১৯৫০ সালে মারকানায় বিশ্বকাপের ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে ২-১ গোলে হেরে কাপ হারায় ব্রাজিল। সেই হারের পর আজ আবারও এই স্টেডিয়ামে হারলো তারা। এবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে ১-০ গোলে হেরেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে।

আজ রবিবার (১১ জুলাই) বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে এতো দীর্ঘ সময় ফাইনাল না হারার আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল স্বাগতিক ব্রাজিল। ম্যাচের শুরু থেকেই জমে উঠে সুপার ক্লাসিকো। দু’দলের কেউই ছাড় দেয়নি একে অপরকে।

তবে শুরুর দিকে বলের নিয়ন্ত্রণ থাকে আর্জেন্টিনার কাছে। এতে বল দখল করতে ব্রাজিলের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি ফাউলও দেখা যায় প্রথম দশ মিনিটে। ফলে ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের ফ্রেড। মন্তিয়েলকে ফাউল করার জন্য রেফারি কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন তাকে।

বলের নিয়ন্ত্রণ আর্জেন্টিনার কাছে থাকলেও মাঝ মাঠেই বল নিয়ে ঘুরতে থাকে দুই দল। কোনো দলই ডি-বক্সে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছিলো না। তবে বেশিরভাগ সময় মাঝমাঠে বল ঘুরতে থাকা আর্জেন্টিনা ম্যাচের ২১তম মিনিটে স্বাগতিকদের হতবিহ্বল করে দেয়। নিজেদের অর্ধ থেকে রদ্রিগো ডি পলের লম্বা পাস খুঁজে পায় দ্রুতগতির ডি মারিয়াকে।

ক্ষিপ্রতার সাথে দৌড়ে বল রিসিভ করে এগিয়ে আসা ব্রাজিল গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় জাল খুঁজে নিতে ভুল করেননি ম্যাচের শুরু থেকে মাঠে নামা মারিয়া।

প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের ওই ম্যাচে জয়সূচক গোল করে উরুগুয়ের গিগিয়া। ওই ম্যাচটি খেলা সকল খেলোয়াড়দের মাঝে শেষ খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৫ সালে পৃথিবী ত্যাগ করে গিগিয়া।