ফেঁসে যাচ্ছেন ২২ জেলার দেড় শতাধিক কর্মকর্তা

| আপডেট :  ৯ জুলাই ২০২১, ১২:৫৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৯ জুলাই ২০২১, ১২:৫৩ অপরাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার বিতরণে অনিয়ম, অবহেলা ও দুর্নীতির বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এ অনিয়ম, অবহেলা ও দুর্নীতির বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
সারা দেশে ভ‚মি ও গৃহহীন ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২ পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। গত বছর বিতরণ কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় সোয়া লাখ উপকারভোগীকে ঘর বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

এসব ঘরের বিষয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতির কথা উঠে এলে সে বিষয়ে তদন্তে নামেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তদন্তে দেশের ২২ জেলার ৩৬টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) উপজেলা সহকারী ভ‚মি (এসিল্যান্ড), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও), উপজেলা প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।

প্রকল্পের অধীনে ভ‚মিহীনদের ঘর নির্মাণ নিয়ে অনিয়মের এ ঘটনায় সংশ্নিষ্ট জেলা প্রশাসকরা তদন্ত কমিটি করেছেন। সে সঙ্গে সব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিদর্শন দলের সদস্যরা। এ প্রতিবেদনে ঘর নির্মাণে

অনিয়ম ও কর্মকর্তাদের অবহেলার তথ্য উঠে এসেছে। তারই ভিত্তিতে ইউএনও ও এসিল্যান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী পাঁচজন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। এটা মাত্র শুরু। তদন্তে দেড় শতাধিক কর্মকর্তার নাম এসেছে। পর্যায়ক্রমে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে।

দেশের একটি মানুষও গৃহহীন বা ভ‚মিহীন থাকবে না গত ২০২০ সালের ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার এই মহান উদ্যোগকে সামনে রেখেই মুজিববর্ষে প্রতিটি গৃহহীন-ভ‚মিহীন পরিবারই পাচ্ছে দুর্যোগ সহনীয় সেমিপাকা ঘর,

আর দুই শতাংশ জমির মালিকানা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সুদৃশ্য রঙিন টিনশেডের সেমিপাকা বাড়ি পাবেন গৃহহীন ও ভ‚মিহীনরা। সারা দেশে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের এই মহাযজ্ঞ প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকল্পটিতে পৃথকভাবে কোনো অর্থ বরাদ্দ না দিয়ে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগকে সমন্বিত করে ঘর বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে কাজটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) নেতৃত্বাধীন একটি কমিটিকে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন উপজেলা প্রকৌশলী, এসিল্যান্ড, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এদিকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতেএ রিপোর্টটি করা হয়।

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে দ্বিতীয় দফায় নির্মিত ঘরের দেয়ালে ও বারান্দার পিলারে ফাটল ধরেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পড়ছে পানি। টিনের ছাউনিতে ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের কাঠ। এখনই গ্রীলের দরজা-জানালার পাল্লাগুলো খুলে খুলে পড়ছে।

আর ৫১টি ঘরের বেশিরভাগ ঘরেরই গ্রীলের দরজা-জানালা ঠিকভাবে আটকানো যায় না। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে সুবিধাভোগী পরিবারগুলো। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় মোট ৯৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দফা ৩৪টি এবং দ্বিতীয় দফায় ৬০টি ঘর নির্মাণ করা হয়।

যা ইতোমধ্যে সুবিধাভোগীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সব ঘরে সুবিধাভোগীরা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাসও করছেন। প্রথম দফায় নির্মিত প্রতিটি ঘরের জন্য ব্যয় বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার এবং দ্বিতীয় দফা ৬০টি ঘরের প্রতিটির জন্য নির্মাণ ব্যয় ধরা ছিল ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা। প্রথম দফায় নির্মিত ঘরগুলো নির্মাণে তেমন কোনো বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়নি। কিন্তু বিপত্তি ঘটে আশ্রয়ণ প্রকল্পের দ্বিতীয় দফায় ৬০টি ঘর নির্মাণ কাজে। এতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে।

উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মাণের দুই-তিন মাস যেতে না যেতে সে সব ঘরের দেয়ালে ও বারান্দার পিলারে ফাটল ধরেছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৫ নম্বর ঘরের সুবিধাভোগী শেফালি খাতুন তার ঘরের বারান্দার পিলারের ফাটল দেখিয়ে দিয়ে অভিযোগ করে বলেন, এখনই যদি এ অবস্থা হয়, তবে বাকি

দিনগুলো আমি স্বামী সন্তান নিয়ে কিভাবে এ সব ঘরে বসবাস করব। এ রকম ঘরের দেয়ালে ও পিলারে ফাটল ধরেছে সুমী নামের সুবিধাভোগীর ৫১ নম্বর ঘরেও। সামান্য বৃষ্টিতে পানি পড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী এমদাদুল হকের ৪৯ নম্বর ঘরসহ অনেকের ঘরেই বৃষ্টি পানি পড়ে। তাই বৃষ্টি

পানি থেকে ঘরের জিনিসপত্র রক্ষায় অনেককে পলিথিন ব্যবহার করতে দেখা যায়। ৩৩ নম্বর ঘরের বাসিন্দা মো. ইসহাক বলেন, ঘরের প্রধান দরজাটি লাগানো যায় না। তাই বাধ্য হয়ে সামনে থেকে ঘরের প্রধান দরজা তালাবদ্ধ করে পেছনে দরজা দিয়ে ঘরে থাকতে হচ্ছে।

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধিনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তত্ত¡াবধানে আশ্রয়ণ প্রকল্প মাটি ভরাটের কাজ হয়।

চর ফেসকা বাবদ হাতিয়া বকসী আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাট বাবদ প্রায় ৭শত মে: টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়। শুরু থেকেই মাটির ভরাট কাজেও নেয়া হয় অনিয়মের আশ্রয়ণ ফলে বৃষ্টির সাথে সাথে বিভিন্ন স্থানে মাটির ধস দেখা দেয়। জোড়াতালি আর অনিয়মের মধ্য দিয়ে মাটির কাজ সমাপ্ত করে তা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করেন স্থানীয় প্রশাসন।

কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৬ পদাতিক ডিভিশন রংপুর সেনানিবাস এর বাস্তবায়নে ৪৮টি ব্যারাক নির্মাণের সহায়তা করেন মেসার্স হাওলাদার এন্টারপ্রাইজ, বরিশাল। ব্যারাক নির্মাণের পর গত কয়েকমাস আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্থানীয় প্রশাসনকে ৪৮টি ব্যারাকের ২৪০ পরিবারের ঘর হস্তান্তর করেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায়

আশ্রয়হীন পরিবারকে পরিবার প্রতি ১টি করে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। আশ্রয়হারা মানুষজন একটি আশ্রয়ের ঠিকানা আর পাকা ঘর পেয়ে যেমনটি আনন্দিত হয়েছিল ঘর ও মাটির ধসের সাথে তাদের আনন্দ গেছে উড়ে সুখের স্বপ্ন যেন ধসে পড়তে শুরু করেছে। বুধবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাঠের বিভিন্ন স্থানে স্থানে মাটি ধসে গেছে এবং ধসে গেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক।

এসময় কথা হলে বৃদ্ধা সাহিদা (৫৫) বলেন বহে কি আর কমু নদী সউগে ভাঙ্গি নিচে আছিনু বান্দের রাস্তাত (বাঁধে) সেটাও ভাঙ্গি দিছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মানুষ, পরে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আশ্রয় পাইছোং। মনে বড় সুখ পাছিনু কিন্তু সেই সুখ উড়ে গেইছে, এই ঘরত (ঘরে) থাকতে ভয় হয় খালি মনে হয় কখন যেন ভাঙ্গি যায়, কন না বাহে ঘরের যে অবস্থা জীবন হামার যেন কচুর পাতায় পানির মতো হবার নাগছে, (কয়না কচুর পাতার পানি এই বুজি পড়ে তেমন হইছে) আর মনে হয় কখন জানি ভাঙ্গি পড়ে এই বুঝি জীবন হারাই।

শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা জানান, উপজেলার খানপুর বুড়িগাড়ি এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের পেছনের মাটি পাশের খালে ধসে পড়ছে। খালটিতে বাঁশের পাইলিং করে প্রকল্পের বাড়িগুলো রক্ষার চেষ্টা চলছে। এছাড়া বেশিরভাগ এলাকায় ব্যক্তিমালিকানা জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর করা হয়েছে। নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। তারপর উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি সমাধান করেনি। ইউএনও ময়নুল ইসলাম বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো রক্ষায় সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদাতা জানান, উপজেলার রশিদ দেওহাটা গ্রামে গিয়ে দুটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। উপকারভোগীরা বলছেন, দুর্যোগসহনীয় ঘর এখন নিজেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দাবি, নতুন মাটি ফেলে তড়িঘড়ি করে ঘর নির্মাণ করায় পাশাপাশি দুটি ঘরে এই ফাটল দেখা দিয়েছে।
বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া গ্রামের দুই ভাই, তাঁদের চাচা ঠাকুরপাড়া গ্রামের রশিদ ফকির এবং তাঁর দুই সন্তানসহ এক পরিবারের পাঁচজন ঘর পেয়েছেন। ওই ঠাকুরপাড়া গ্রামের ১৭ জনের নাম রয়েছে ঘর বরাদ্দের তালিকায়। তাদের অনেকেই সরকারি দলের নেতা।

মাঠ প্রশাসনে আতঙ্ক : গত কয়েক দিনে পাঁচ কর্মকর্তাকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সারা দেশের ইউএনও এবং এসিল্যান্ডদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান রয়েছে। সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের সাবেক ইউএনও বর্তমানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত উপসচিব শফিকুল ইসলাম,

মুন্সীগঞ্জ সদরের সাবেক ইউএনও বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত হাসান শিপলু, বগুড়ার শেরপুরের সাবেক ইউএনও বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিয়াকত আলী সেখ, বরগুনার আমতলীর ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান ও মুন্সীগঞ্জ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিনকে ওএসডি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উপসচিব শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয়া হয়েছে আমতলীর ইউএনওকে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে এক লাখ ১৮ হাজার ৩৮০ জন ভূমিহীন ও ঘরহীন পরিবারকে দুই কক্ষের ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। বর্ষা শুরুর পর কিছু এলাকায় ঘর ভেঙে যাওয়া ও ফাটলের ঘটনা গণমাধ্যমে এসেছে। কর্মকর্তাদের কারো কারো বিরুদ্ধে তালিকা অনুযায়ী ঘর না দেয়ার অভিযোগও উঠেছে। এসব ঘটনায় সরকারের ত্বরিত উদ্যোগে

সারা দেশের ইউএনও, এসিল্যান্ডদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘর করার জন্য গঠিত কমিটিতে ইউএনওর সভাপতিত্বে সদস্য হিসেবে আছেন উপজেলা প্রকৌশলী, এসিল্যান্ড, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। এই প্রকল্পের দু-এক জায়গায় দুর্নীতি হলেও হতে পারে। কিন্তু যেভাবে সামান্য অনিয়মের অভিযোগ উঠছে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে কোনো ইউএনওই রেহাই পাবেন না।

ইউএনওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার বিষয়টি সচিবালয়েও ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, এত সুন্দর একটি ঘর করতে মাত্র এক লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এত কম টাকায় কিভাবে এমন ঘর হয় আমার বুঝে আসে না। বাগেরহাটের একজন ইউএনও বলেন, এক জায়গায় অনেকগুলো

ঘর করলে নির্মাণসামগ্রী পরিবহন খরচ অনেকটা সহনীয় থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একেক গ্রামে একেকটি ঘর করে দিতে হচ্ছে। তাই এই টাকা দিয়ে কার্যত সম্ভব না। এসব আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘরের দাম বাড়িয়ে এখন এক লাখ ৯০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে। সঙ্গে ঘরের আয়তনও একটু বাড়ানো হয়েছে।