অসুস্থ বাবাকে ঠাঁই দিল না তিল তিল করে গড়ে তোলা তিন ‘বড় অফিসার’ ছেলে

| আপডেট :  ৯ জুলাই ২০২১, ১২:১৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৯ জুলাই ২০২১, ১২:১৪ অপরাহ্ণ

লক্ষ্মীপুরে বা’র্ধক্যজ’নিত কারণে শয্যাশায়ী ৯৫ বছর বয়সী শফিকুল ইসলামকে বাসা থেকে বের করে উঠানে ফেলে রেখেছিলেন পা’ষ’ণ্ড ছেলেরা। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড মেঘনা রোডে বাসার সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই বৃ’দ্ধকে। পরে শফিকুলকে উ’দ্ধা’র করেন ডিসি কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল

ইকবাল ও রাজীব হোসেন। এ সময় শফিকুলের ছেলে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে অ’সুস্থ বাবাকে পৌরসভার মজুপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যান শফিকুলের বড় মেয়ে সুরাইয়া বেগম। কা’ন্নাজ’ড়িত কণ্ঠে সুরাইয়া বলেন, ‘আমার বাবা তিল তিল করে এ সম্প’ত্তি গড়ে দিয়েছেন। বাবার ঘাম ঝরা উপার্জনে তিন ছেলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। কিন্তু আমার অ’সুস্থ বাবাকে তারা পা’ষ’ণ্ডের মতো ঘর থেকে উঠানে ফে’লে রেখেছেন।’ স্থানীরা জানায়,

বা’র্ধক্য’জ’নিত রোগে দীর্ঘদিন ধরে বাসায় শ’য্যাশা’য়ী শফিকুল। তিনি ছাপাখানায় কাজ করতেন। দুই বছর আগে তিনি চার ছেলে ও তিন মেয়েকে নিজের সম্প’ত্তি ভাগ করে দেন। পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে সব ছেলেরই বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। মেজো ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের বাসায় ছিলেন অসুস্থ শফিকুল। কিন্তু বাবার পরিচর্যা করতে অনীহা দেখিয়ে শুক্রবার সকালে বাসা থেকে বের করে অন্য ছেলে

শাহ আলমের বাসার সামনে উঠানে ফেলে রাখেন। এরপর কোনো ছেলেই বাবাকে ঘরে তোলেননি। উঠানে শফিকুলকে পড়ে থাকতে দেখে ডিসিকে খবর দেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল ও মো. রাজীব হোসেন পৌঁছে শফিকুলের ছেলেদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কেউই বাবার দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। পরে বড় মেয়েসহ স্থানীয়দের সঙ্গে

ম্যাজিস্ট্রেটরা কথা বলেন। এ সময় বাবাকে নিতে ইচ্ছে প্রকা’শ করায় সরকারি গাড়ি দিয়েই শফিকুলকে বড় মেয়ের বাড়িতে পাঠানো হয়। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, শফিকুল খুব ভালো লোক। ছেলেদের প্রতিষ্ঠিত করতে অনেক কষ্ট করেছেন। কিন্তু ছেলেরাই তাকে অ’সুস্থ অবস্থায় ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। এটি ন্য’ক্কার’জন’ক

ঘটনা। এমন ছেলে যেন কা’রো না হয়। এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল বলেন, অ’সুস্থ শফিকুলকে কোনো ছেলেই রাখতে চাননি। তারা শয্যাশা’য়ী বাবাকে বাসার বাইরে ফেলে রেখেছেন। শফিকুলকে তার বড় মেয়ের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।