দিলীপ কুমারের প্রেম ও বিয়ে নিয়ে অজানা কাহিনী

| আপডেট :  ৭ জুলাই ২০২১, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ জুলাই ২০২১, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন দিলীপ কুমার। সিনেমাজগতে তিনি ছিলেন ট্রাজেডির নায়ক তবে ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। ব্যক্তিগত জীবনে জড়িয়েছেন একাধিক সম্পর্কে। এমনকি জনপ্রিয় এই নায়কের মৃত্যুর পরেও তার ব্যক্তিগত জীবন সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

ব্যবসায়ী হতে চেয়ে ঘটনাচক্রে নায়ক হয়ে যাওয়া এই অভিনেতা অভিনয় জীবনে বহু উত্থানপতন দেখেছেন। নায়িকাদের প্রেমে পড়েছেন একাধিকবার। ১৯৪৮ সালে ‘শহিদ’ সিনেমায় দিলীপ কুমারের নায়িকা ছিলেন কামিনী কৌশল। এই ছবিতে অভিনয় করার সময় প্রেম হয় তাদের। দুজনে বিয়ে করবেন বলেও ঠিক করেছিলেন। কিন্তু বাধা দিলেন কামিনীর ভাই। তিনি রাজি ছিলেন না এই সম্পর্কে।

এর পর তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। সে বছরই কামিনী বিয়ে করেন তার প্রয়াত বোনের স্বামীকে। দুর্ঘটনায় নিহত বোনের দুই মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেন কামিনী।

এর পর দিলীপ কুমার প্রেমে পড়েন মধুবালার। দীর্ঘ সাত বছর চলেছিল তাদের প্রেমপর্ব। এই সম্পর্ক ভেঙে যায় দুই তারকার ইগো-সমস্যায়। একটি ছবির শুটিং লোকেশনে মধুবালাকে যেতে দিতে রাজি ছিলেন না তার বাবা। পরিচালক-প্রযোজক অনুরোধ করেন দিলীপ কুমারকে। তিনি যেন কথা বলেন মধুবালার বাবার সঙ্গে। দিলীপ কুমারের অভিযোগ ছিল— মধুবালার বাবা তাকে অপমান করেছেন। অন্যদিকে মধুবালার বক্তব্য ছিল— দিলীপ কুমারের কাছে অপমানিত হয়েছেন তার বাবা আতাউল্লাহ খান। এ ঘটনা কেন্দ্র করে ভেঙে যায় দিলীপ কুমার-মধুবালা প্রেম।

এরপর ১৯৬০ সালে মধুবালা বিয়ে করেন কিশোর কুমারকে। কিন্তু দিলীপকুমার বেশ কয়েক বছর কোনো সম্পর্ক থেকে দূরে ছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি বিয়ে করেন সায়রা বানুকে। শোনা যায়, তার বিয়ের খবরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অসুস্থ মধুবালা। তার তিন বছর পরে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

সায়রা বানুকে বিয়ের সময় দিলীপ কুমারের বয়স ছিল ৪৪ বছর। সায়রা বানুর বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। পরে সায়রা বানু একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি ১২ বছর বয়স থেকেই দিলীপ কুমারের অন্ধভক্ত ছিলেন। এই বিয়ে বেশি দিন স্থায়ী হবে না বলে সেই সময় অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু দিলীপ কুমার-সায়রা বানু দুজনে দুজনের পাশে ছায়া হয়ে পাঁচ দশকের বেশি দাম্পত্যজীবন কাটিয়ে দিয়েছেন।

তবে আশির দশকের গোড়ায় কিছুটা হলেও ঝড়ের মুখে পড়েছিল তাদের দাম্পত্য। পাকিস্তানের নাগরিক আসমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন দিলীপ কুমার। এমন গুঞ্জনও শোনা যায়, তিনি সায়রা বানুকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ে করেছিলেন আসমাকে। কিন্তু দিলীপ কুমাররে দ্বিতীয় বিয়ে নাকি মাত্র দুবছর স্থায়ী হয়েছিল। সেই সম্পর্ক ভেঙে তিনি ফিরে আসেন সায়রা বানুর কাছে। আবার বিয়ে করেন তাকে। এর পর সায়রা বানু অভিনয় পুরোপুরি ছেড়ে দেন। তাদের মতো দীর্ঘ বসন্তের দাম্পত্য বলিউডে বিরল।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৪ সালে দিলীপ কুমারের প্রথম ছবি ‘জোয়ার ভাটা’ মুক্তি পায়। অভিনয়ের জন্য ইউসুফ খান নাম পাল্টে দিলীপ কুমার রাখেন। এর পর বাকিটা ইতিহাস