শি’শু গৃহকর্মীর বিশেষ অ’ঙ্গে বেলুনি ঢু’কিয়ে চো’খে-মু’খে ম’রিচ লাগিয়ে দেন নাহিদ জাহান

| আপডেট :  ৬ জুলাই ২০২১, ০৪:২৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৬ জুলাই ২০২১, ০৪:২৪ অপরাহ্ণ

রাজধানীর তোপখানা রোডের সেই গৃহকর্মীর (১২) বিশেষ অ’ঙ্গে বেলুনি ঢু’কিয়ে নি’র্যা’তন করে তার চো’খে-মু’খে ম’রিচ লাগিয়ে দিতেন গ্রে’ফতার আইনজীবী নাহিদ জাহান আঁখি। এছাড়া বেলুনি দিয়ে তার বাম হাতের কনুইয়ে আ’ঘা’ত করে হাড়ভা’ঙা জ’খম করেন।

গৃহকর্মীকে নি’র্যা’তনের ঘটনায় করা মা’ম’লায় এসব কথা বলেন ওই গৃহকর্মীর বাবা। সোমবার (৫ জুলাই) শাহবাগ থানায় মা’মলা করেন তিনি। মা’মলায় আ’সামি করা হয় গৃহকর্তা তানভীর আহসান পায়েল ও তার স্ত্রী নাহিদ জাহান আঁখিকে।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম মা’মলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২ আগস্ট দিন ধার্য করেন।এরপর মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন তাদের গ্রে’ফতার দেখানোর আবেদন করেন। আ’দালত ১৫ জুলাই তাদের গ্রে’ফতার দেখানোর আবেদনের ও’পর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

আবেদনে মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা বলেন, মা’মলার বা’দী (গৃহকর্মীর বাবা) সংসারের অভাব-অনাটনের কারণে ৯ মাস আগে তার মেয়েকে গৃহপরিচালিকা হিসেবে কাজ করার জন্য মাসে তিন হাজার টাকা ধার্য করে তানভীর আহসান পায়েল ও তার স্ত্রী নাহিদ জাহান আঁখির বাসায় দেন। তাদের থেকে দুই মাসে মোট ছয় হাজার টাকা পান। এরপর থেকে তারা সাত মাসে বা’দী বা ভু’ক্তভো’গীকে কোনো টাকা-পয়সা দেননি। এছাড়া মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তার সঙ্গে দেখা করা ও মোবাইলে কথা বলতে দেয়া হয় না।

গত ৩ জুলাই রাতে শাহবাগ থানার পুলিশ বা’দীকে ফোন করে জানায়, গত ১ জুলাই তার মেয়েকে তানভীর আহসান পায়েল ও তার স্ত্রী নাহিদ জাহান আঁখি মে’রে গু’রুতর জ’খম করেছেন। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চি’কিৎসাধীন রয়েছে। চি’কিৎসাধীন অবস্থায় গৃহকর্মী জানায়, ঠিকমতো কাজ না করার অজুহাতে তানভীর ও নাহিদ কারণে-অকারণে তাকে দীর্ঘদিন ধরে অ’মানবিকভাবে মা’রতেন। এ ঘটনা নাহিদের বাবা-মা-ভাইবোনকে জানালেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি।

গত ১ জুলাই বেলা ১১টার দিকে আ’সামিরা বিভিন্ন কাজের অজুহাতে ঘরে থাকা লা’ঠি দিয়ে ওই গৃহকর্মীর হাতে, পায়ে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আ’ঘা’তের মাধ্যমে জ’খ’ম করে। একইদিন রাত ১০টার দিকে তার কাপড় খুলে ওড়না দিয়ে হাত বেঁ’ধে মশা মা’রার ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়ে তার পেছনে শক দিয়ে ক্ষ’তবিক্ষ’ত করে।

এছাড়া তানভীর ও নাহিদ রুটি তৈরির বেলুনি দিয়ে গৃহকর্মীর দুই হাঁটু, পা, পিঠে এবং দুই হাতের বিভিন্ন জায়গায় ও বাম চোখের ও’পর আ’ঘা’ত করে। নাহিদ কাঠের বেলুনি দিয়ে বাম হাতের কনুইয়ে হাড়ভাঙা জ’খম করে এবং বিশেষ অঙ্গে বেলুনি ঢুকিয়ে নি’র্যা’তন করে। এরপর চোখে-মুখে ও বিশেষ অ’ঙ্গে ম’রিচ লাগিয়ে দেয়।

ওই গৃহকর্মী জীবন বাঁচানোর জন্য বাসা থেকে পালানোর চেষ্টা করলে ভাত খেতে না দিয়ে তাকে গোসলখানায় আ’টকে রাখা হয়। গত ৩ জুলাই সেখান থেকে বের হয়ে ঘরে রাখা বিস্কুট খেলে আ’সামিরা তাকে মা’রধর করে। এরপর ভু’ক্তভোগী জীবন বাঁচানোর জন্য পা’লিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় আশ্রয় নেয়।

উল্লেখ্য, শনিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর তোপখানা রোডের ওই বাসার এক প্রতিবেশী মেয়েটির শরীরে আ’ঘাতের চিহ্নসহ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি দ্রুত সহযোগিতা ও আইনি ব্যবস্থার আর্জি জানান। এরপর তাদের গ্রে’ফতার করে পুলিশ।

রোববার (৪ জুলাই) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আ’দালতে হাজির করা হয়। এরপর ৫৪ ধারায় গ্রে’ফতার দেখিয়ে তাদের কা’রাগারে আ’টক রাখার আবেদন করেন ত’দন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে তাদের আইনজীবীরা জা’মিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তাদের জা’মিন আবেদন নামঞ্জুর করে কা’রাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।