সব
বরিশালের উজিরপুরে হ’’ত্যা মা’মলায় গ্রে’প্তার এক নারী আ’সামিকে রি’মান্ডে নিয়ে যৌ’ন নি’র্যাতন করার অ’ভিযোগের ত’দন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সোমবার তাদেরকে প্রত্যাহার করে
পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া কর্মকর্তারা হলেন, উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান, হ’’ত্যা মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মকর্তা উজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মাইনুল হোসেন। বরিশাল রেঞ্জের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম আক্তারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, একটি হ’’ত্যা মা’মলার একজন নারীকে গ্রে’প্তার করা হয়। সেই মা’মলায় পুলিশি রি’মান্ডের সময়
নি’র্যাতন ও যৌ’ন হ’য়রানির অ’ভিযোগ আ’দালতে আনেন ওই নারী। তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে আ’দালত একটি নির্দেশনাও দিয়েছে। তবে ঘটনার ব্যাপারে নারী যেহেতু পুলিশের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ তুলেছেন, তাই এই ঘটনার ত’দন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জে’লা পুলিশ সুপারকে ত’দন্ত কমির্টি প্রধান করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদিকে, একই ঘটনায় শের-ই-বাংলা
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে ত’দন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আ’দালত। বরিশালের জু’ডিশিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট-৩ আ’দালতের বিচারক মাহফুজুর রহমান বৃহস্পতিবার আ’সামির অ’ভিযোগ আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন। ওই নারীর স্বা’স্থ্য পরীক্ষা করে নি’র্যাতনের চিহ্ন ও নি’র্যাতনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আ’দালতে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। আ’দালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি
ত’দন্ত প্রতিবেদন শনিবার আ’দালতে জমা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বরিশালের পুলিশ সুপারকে হ’’ত্যা মা’মলাটি ত’দন্ত করতে বলেন আ’দালত। ওই নারী আ’সামি বরিশালের উজিরপুর থানায় রি’মান্ডে নি’র্যাতন ও যৌ’ন হ’য়রানির অ’ভিযোগ আনেন। তখন আ’দালতের বিচারক উপরোক্ত আদেশ দেন। আ’দালত সূত্র জানায়, গত ২৮ জুন ওই নারীকে একটি হ’’ত্যা
মা’মলায় গ্রে’প্তার করে উজিরপুর থানা পুশিল। পরে থানায় নিয়ে যাওয়ার পরপরই এক নারী পুলিশ সদস্য লা’ঠি দিয়ে তাঁর ও’পর নি’র্যাতন চালান। সেখানে উপস্থিত অন্য পুলিশ সদস্যরাও তাঁকে লা’ঠি দিয়ে মা’রধর করেন। পরবর্তিতে তাঁকে জে’লহাজতে পাঠানো হয়। গত ২৯ জুন তাঁকে দুই দিনের রি’মান্ডে নেয় পুলিশ।
আ’দালতে ওই নারী আ’সামি অ’ভিযোগ করেন, ২৯ জুন রি’মান্ডে নেওয়ার পরের দিন সকালে তাঁকে মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তার কক্ষে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর ও’পর যৌ’ন নি’পীড়ন চা’লানো হয়। এরপর এক নারী পুলিশ সদস্যকে ডেকে নিয়ে তাঁকে আবার লা’ঠি দিয়ে পে’টানো হয়। একপর্যায়ে ত’দন্ত কর্মকর্তা নিজেই তাঁকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে পেটান। তিনি অ’চেতন হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর তিনি নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় দেখতে পান।
হ’’ত্যা মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মকর্তা উজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মাইনুল হোসেন বলেন, জামবাড়ি গ্রামে একটি ডোবা থেকে বাসুদেব চ’ক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির ম’রদেহ ২৬ জুন উ’দ্ধার করা হয়। বাসুদেবের ভাই ওই নারীকে আ’সামি করে থানায় হ’’ত্যা মা’মলা করেন।
তিনি আরো বলেন, ওই মা’মলায় ২৮ জুন ওই নারীকে গ্রে’প্তার করা হয়। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ জুন তাঁকে দুই দিনের রি’মান্ডে পাঠান আ’দালত। রি’মান্ড শেষে তাঁকে আ’দালতে পাঠানো হয়। নারীর ও’পর কোন ধরনের নি’র্যাতন করা হয়নি। সুত্রঃ কালের কণ্ঠ