সেই রাতে বোট ক্লাবে বোতলের পর বোতল ম’দ খেয়ে তিন লিটারের বোতল সঙ্গে নিতে চান পরিমণি

| আপডেট :  ৫ জুলাই ২০২১, ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৫ জুলাই ২০২১, ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ

চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধ”ণচে’ষ্টা ও হ’’ত্যাচে’ষ্টা এবং মা’দকের মা’মলায় জা’মিনে মু’ক্তি পাওয়া বোট ক্লাবের পরিচালক ব্যবসায়ী নাছির ইউ মাহমুদ বলেছেন, ‘অভিনেত্রীর সাজানো নাটকে আমার মতো একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির সারা জীবনের অর্জিত সম্মান ধূ’লিসাৎ হয়েছে। এমন ঘটনা যেন আর কারও জীবনে না ঘটে।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের

কাছে ৯ জুনের ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন তিনি। আ’ইনশৃঙ্খলা র’ক্ষাকারী বা’হিনী ও আ’দালতের প্রতি নিজের আস্থা রেখে ন্যায়বিচার পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কা’রাগা’র থেকে মুক্তি পান তিনি। নাছির ইউ মাহমুদ বলেন, ‘আমি ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে ক্লাবের ডিসিপ্লিন, মেনটেনেন্স, কালচারাল

অ্যাফেয়ার্স ও এন্টারটেইনমেন্টের দায়িত্বে নিয়োজিত। সেদিন রাতে (৯ জুন) আনুমানিক ১২টায় বোট ক্লাবেরই একজন সদস্যের সঙ্গে তিনজন অতিথি ক্লাবের বারে প্রবেশ করেন। আমি তখন একটি টেবিলে অন্য সদস্যদের সঙ্গে বসে ছিলাম। আমি দেখছিলাম, তারা ম’দ্য’প অবস্থায়ই ক্লাবে প্রবেশ করেছেন।’ নাছির বলেন,

‘তারা আমাদের পাশের টেবিলে বসেন এবং ওয়েটারদের ড্রি’ঙ্কসের বোতল দিতে বলেন। ওয়েটাররা এক বোতল ড্রিঙ্কস টেবিলে সার্ভ করার পর খুব দ্রুত ওই বোতল শেষ করে ফে’লে আরও এক বোতল দিতে বলেন। মুহূর্তেই পরের বোতলেরও অর্ধেকের বেশি শেষ করে ফে’লেন তারা। এ সময় পরীমণি নিয়মবহির্ভূতভাবে তিন লিটারের একটি দামি ‘ব্লুলেবেল’-এর বোতল বারের শেলফ থেকে হাতে নিয়ে নিজের সঙ্গে নিতে চান। এ সময়

ওয়েটাররা ওই দামি বোতলটি নিতে বা’ধা দিলে পরীমণি ক্ষি’প্ত হন এবং ওয়েটারদের সঙ্গে কথাকা’টাকাটি ও অ’কথ্য ভাষায় গা’লিগা’লাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে টেবিলে রক্ষিত প্লেট-গ্লাস অনবরত ভা’ঙতে থাকেন তিনি।’ তিনি বলেন, ‘ক্লাবের ডিসিপ্লিনারি ই’নচার্জ হিসেবে ওয়েটাররা আমার সাহায্য চান। তখন আমি পরীমণিদের টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে বলি, এই ড্রি’ঙ্কসের বোতল বিক্রিযোগ্য নয়। ওই সময়

পরীমণি আমাকে তু’ই-তো’কারি করে অকথ্য গা’লিগা’লাজ শুরু করেন এবং টেবিলে রক্ষিত প্লেট, গ্লাস ছু’ড়ে মা’র’তে থাকেন। আমাকে লক্ষ্য করে ছো’ড়া একটি গ্লাস আমার ঘাড়ে এসে লাগে। এ সময় তাদের সঙ্গে আসা জিমিও আমার ও’পর চ’ড়াও হন। এ অবস্থায় ঘটনা সামাল দিতে ক্লাবের সিকিউরিটি স্টাফদের ডেকে তাদের বের করে দিতে বলে আমি ক্লাব থেকে চলে যাই।’ নাছির আরও বলেন, ‘ঘটনার চার দিন পর যখন পরীমণি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন এবং কিছুক্ষণ পর সংবাদ

সম্মেলন করে আমাকে নিয়ে মি’থ্যা’চার করেন, তখন আমি হ’তভ’ম্ব ও বি’স্মিত হই।’ তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে বিভিন্ন টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে ঘটনার চিত্র নিশ্চয়ই আপনারা দেখেছেন এবং সত্যিকারের ঘটনাটি অনুধাবন করতে পেরেছেন। দেশের আ’ইনশৃঙ্খলা র’ক্ষাকারী বা’হিনী ও আ’দালতের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। আমার বিশ্বাস আমি ন্যা’য়বি’চার পাব।’ সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন