ওদের মুখে ছাই পড়ুক যারা আমাদের দ্বন্দ্ব দেখে অট্টহাসিতে মেতে উঠেছিল: নুর

| আপডেট :  ৫ জুলাই ২০২১, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৫ জুলাই ২০২১, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। তবে সম্প্রতি কর্তৃত্ব নিয়ে ডাকসুর সদ্য সাবেক সভাপতি নুরুল হক নুরের সঙ্গে সংগঠনের আহ্বায়ক রাশেদ খানের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

নিজেকে বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের ‘সমন্বয়ক’ হিসেবে উল্লেখ করে রাশেদকে বহিষ্কার করে ফেসবুকে একটি বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করেন নুর। নুরের এমন সিদ্ধান্তে চটে যান রাশেদ। নুরকে দেন পাল্টা চিঠি। এতে কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা নিয়ে কারণ দর্শাতেও বলা হয়।

সংগঠনটির দুই শীর্ষ নেতার এই পাল্টাপাল্টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যখন তোলপাড় চলছে তখন হঠাৎ ইউটার্ন নেন রাশেদ। তিনি তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, তাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। এর অবসান হয়েছে এবং নূর ও তার মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুর দিন থেকেযে সুসম্পর্ক ছি ভবিষ্যতেও সেই সম্পর্ক ধরে রেখে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।

এর পরপরই রোববার (৪ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে নুর জানান, বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের এক যৌথ আলোচনা সভায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান ও যুগ্মআহ্বায়ক সোহরাব হোসেনকে স্বপদে বহাল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। একইসাথে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুব অধিকার পরিষদের কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বাছাই ও নতুন কমিটি গঠনে স্ব-স্ব সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এদকে, দ্বন্দের অবসানের পর এক ফেসবুক লাইভে এসে নুর বলেন, ‘ওদের মুখে ছাই পড়ুক যারা নুর-রাশেদের দ্বন্দ্ব দেখে অট্টহাসিতে মেতে উঠেছিল, যারা ভেবেছিল ছাত্র অধিকার পরিষদে ভাঙন ধরেছে, ছাত্র অধিকার পরিষদ তথা তরুণদের রাজনীতি ভ্যানিস হয়েছে।’

সেই লাইভে তিনি আরও বলেন, ‘এটি কখনো হবে না। আমরা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তারা রাজনীতি করছেন, কোনো ব্যক্তিস্বার্থে নয়।