ভাঙতে যাচ্ছে ছাত্র অধিকার পরিষদ, পাল্টাপাল্টি অ্যাকশনে নুর রাশেদ

| আপডেট :  ৪ জুলাই ২০২১, ০৬:২২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৪ জুলাই ২০২১, ০৬:২২ পূর্বাহ্ণ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে নুরুল হক নুর ও মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। পরবর্তী তাদের হাত ধরেই গঠিত হয় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। তবে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই এই সংগঠনে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই শীর্ষ নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে এসেছে।

একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে নিজেদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ারও উদ্যোগ নিয়েছেন এই দুই নেতা। গত ২ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রাশেদ খাঁনকে অব্যাহতি দেয় ডাকসুর সাবেক ভিপি, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুল হক নুর।

নুরুল হক নুর স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেনকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের এক যৌথ মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার কারণ দর্শাতে তদন্ত কমিটির কাছে যথাযথ ব্যাখা প্রদান করার অনুরোধ করা হলো।

তবে এই বিজ্ঞপ্তি উপেক্ষা করে অন্যদিকে রোববার (৪ জুলাই) পাল্টা নোটিশে নুরকে এই ঘটনায় কারণ দর্শাতে বলেন রাশেদ। এমনকি ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদে সমন্বয়ক নামে কোনো পদ নেই বলে দাবি করেন তিনি।

মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের উল্লেখিত নোটিশের আলোচনায় কেন্দ্রীয় কমিটির বেশিরভাগ নেতা উপস্থিত ছিলেন না। আর তাই ওই সভায় সাংগঠনিক কোন সিদ্ধান্ত হওয়ার এখতিয়ার কারো নেই।

একই সঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদে ‘সমন্বয়ক’ কোন পদই নেই। তাই বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের নামে সমন্বয়ক পদ ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় কমিটির বিলুপ্তির ঘোষণাকারীর বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।