নষ্ট দৃষ্টিতে পরীমণির অধিকার ও এক মার্জারের আত্মকথা!

| আপডেট :  ৩ জুলাই ২০২১, ১১:২১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩ জুলাই ২০২১, ১১:২১ পূর্বাহ্ণ

সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কিছু ঘটনাবলি আর ব্যক্তিগত নানান কিছু পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মেলাবার শত প্রচেষ্টা চালাবার কারণে আমি প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ ঘুমাতে না পেরে সারারাত ছাদের মধ্যখানের টেবিলটিতে বসে সৈয়দ শামসুল হকের নূরলদীনের সারা জীবন কবিতাটি প্রয়াত আলী জাকেরের কণ্ঠে শুনে রীতিমতো অভিভূত হয়ে পড়ি। একই কবিতা বহুজনের কণ্ঠে সহস্রবার শুনেছি।

কিন্তু আলী জাকেরের মৃ’ত্যুর পর যখন তার বিভিন্ন শিল্পকর্ম সামাজিক মাধ্যমে ভাসছিল তখন হঠাৎ করেই তার আবৃত্তি করা কবিতাটি আমার নজরে আসে। কবিতাটি শুনতে শুনতে যখন আমি চলমান সময়ের চিত্রপট, মানুষের চা’পা আর্তনাদ এবং রাতের আকাশের চাঁদ–তারা–ছায়াপথের কথা ভাবি তখন স্থির থাকতে পারি না।

চলতি সময়ের বহু ঘটনার জন্য বিভিন্ন জনের ফোন পাই। যার কারণে এখন আর ফোন রিসিভ করতে সাধ জাগে না। তবে সম্ভবত দুপুরের শেষে কফির কাপে শেষ চুমুক দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে পশ্চিমাকাশে মেঘ দেখতে দেখতে বুকের ভিতরটা কেমন যেনো হাপাচ্ছিল। চোখের সামনেই ধূসর মেঘগুলো ধীরে ধীরে জমাট বাঁ’ধা কালো মেঘে রূপান্তরিত হতে থাকলো।

মৃদুমন্দ বাতাসের গতিবেগ বেড়ে চলছে অবিরাম। তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টির সাথে আমার সখ্যতা আজীবনের। কিন্তু ভিজতে যাওয়া বারণ তাই চোখ দুটো বন্ধ করে বৃষ্টির টাপুরটুপুর শব্দে ছন্দ খুজতে চলেছি এরকম সময়ে দূরে কোথায় যেনো একনাগারে ফোনটা বেজে চলেছে। হাতে নিয়ে রিসিভ করতেই এক শুভানুধ্যায়ী জানায় চিত্রনায়িকা পরী মণিকে ধ’ ‘ণ ও হ’ ‘ত্যা চে’ষ্টা করা হয়েছে। যা নিয়ে বাংলাদেশে এখন তুমুল আলোচনা বয়ে যাচ্ছে আমি কেনও পরী মণিকে নিয়ে লিখলাম না!

মুহুর্তের মধ্যেই আমার বি’র’ক্তি শুরু হয়ে গেলো তাই ফোনটা কে’টে আবারও চোখ বন্ধ করে শুয়ে রইলাম। অবশেষে বহুজনের দৃষ্টিকোণ আর বহু মন্তব্য থেকে সম্মানিত পাঠকগণের উদ্দেশ্যে আমি যখন এই নিবন্ধটি লিখতে ব্যস্ত সময় পার করতে করতে ঝিমোচ্ছিলাম। তখনই চোখ ও মস্তিষ্কে ঘুমের আ’ক্রমণে অ’তিষ্ট হয়ে ঝাঁ’কুনি দিয়ে তাকাতেই দেখি পাশের বারান্দা হতে আগত ঈষৎ সাদা ক্ষুদ্র আবছা আলো– দেয়ালের উপর প্রেতবৎ নেচে উঠে বিড়াল সদৃশ এক চতুষ্পদী দৈত্যাকার জন্তু আমার দিকে ধেয়ে আসছে।

উহা দেখে আমার যখন চিত্তে খড়া দিয়ে প্রায় অ’জ্ঞান কিংবা পরলোকগমন করবার উপক্রম ঠিক তখনই আবি’ষ্কার করলাম এটি সত্যিকারই একটি হুলোবেড়াল। স্থানীয় ভাবে আমরা যাকে মার্জার কিংবা বিলাই নামে ডাকি। এই মার্জারটির মালকিন আমার প্রতিবেশী এবং রূপবতী মায়াবতী চিরল-কেশী অসম্ভব সুন্দরী একজন কি’শোরী। বিড়ালটির চোখে চোখ পড়তেই তার শরীরে অবস্থিত সমগ্র লোম কেশ আর গাল খানা বেলুনের মতো ফুলিয়ে আমার পায়ের কাছে এসে বসলো। আমি বিচলিত না হয়ে সকাতরচিত্তে, বিড়ালটির প্রতি সগর্বে ধাবমান হলাম।

আশ্চর্যের বি’ষয় এই যে বিড়ালটি আমার ধা’ওয়া খেয়েও বিশেষ ভীত হবার কোনো লক্ষণ প্রকাশ না করে উল্টো আমার মুখের দিকে তাকিয়ে হাই তুলে, লেজটা খানিক টেনে নিয়ে একটু সরে বসলো। কিছু বুঝে উঠতে না পেরে আমি প্রবন্ধটি রচনায় বিরতি নিয়ে বিড়ালটির দিকে মনোনিবেশ করে এক ধ্যানে তাকিয়ে রইলাম এবং দিব্যকর্ণ জাগ্রত করে শুনতে থাকলাম

বিড়ালটি আমাকে প্রথমেই পরী মণিকে নিয়ে লিখতে বারণ করে এক নাগারে বলতে থাকলো সে (পরী মণি) বোট ক্লাবে এতো রাতে গিয়েছে কেনো! পরী মণি একজন মেয়ে মানুষ সে বোট ক্লাবে ম ‘দ খাবার উদ্দেশ্যে গিয়ে বোট ক্লাবের পূতপবিত্র পীর নাসির উদ্দীন নামের ফেরেশতার সাথে খা’রা’প ‘চরণ করেছে কেনো! পরী মণি কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি বাড়িসহ বিলা’শ বহুল জীবন-যাপন করে বেড়াচ্ছে। সে মাঝে মাঝেই এধরণের ঘটনা ঘটায়, যা তার জন্য স্বাভাবিক। পরী মণি এতো রাতে বোট ক্লাবে না গেলেও পারতো।

পরীমণির কোনো ব্যবসা সফল সিনেমা না থাকার পরেও এতো টাকা কোথায় পেলো! পরী মণি বাংলাদেশ দুবাই সহ পৃথিবীর সকল ক্লাবে গিয়ে ভাং’চুর চা’লি’য়েছে। মার্জার পন্ডিতে আরও বলেছে সে (বিড়াল) পরী মণির বাসায় একদিন কা’টা আর উ’চ্ছিষ্ট খেতে গিয়ে দেখেছে পরী মণির বাসায় ভাতের পাতিল নেই। নেই কোনো আসবাবপত্র আছে শুধু ম”দের বিশাল বিশাল কাচের বোতল। পরী মণির চৌদ্দ–গোষ্ঠীর কেউ ভাত মাছ খায়নি তারা ম”দ খেয়েই বেঁ’চে আছেন।

পরী মণিরা সমাজের অ’ভিশাপ সমাজ বি’শৃঙ্খলার মূল। তাদের সাথে এরকমই হবে আমাদের এই সভ্য সমাজে তাদের কোনো ঠাই হবে না সুতরাং পরী মণিকে নিয়ে তোমার(নাইম ইসলাম নিবির) কোনও ধরনের লেখালিখি ক’ঠোর ভাবে নি’ষি’দ্ধ। বিড়ালটির অন্তরের অন্তর্নিহিত বক্তব্য সকল বুঝবার চেষ্টা করতে করতে বিড়ালটির সাথে আধ্যাত্মিক আলাপকালের কোন পর্যায়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তাহা অনুমান করতে আমি নিতান্ত ব্য’র্থতার পরিচয় বহন করেছি। সম্বিত ফিরে পেয়ে মার্জারের বক্তব্যগুলোর অন্তর্নিহিত ভাবার্থ বিচার বিশ্লেষণে মনোনিবেশ করতে লাগ’লাম।

বুঝলাম বর্তমান সময়ে রাষ্ট্রের বিচারিক ক্ষমতা আর ক্ষমতাসীনদের লেজুড়বৃত্তিক কর্মকাণ্ডের কারণে কত রাঘববোয়ালদের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায় অ’প’রাধের ত’দ’ন্ত পর্যন্ত আমরা করতে পারিনি সেখানে পরী মণির মতো একজন চিত্রনায়িকার সুবিচার পাওয়া সর্বসাধারণের দৃষ্টি ও ভাবনার বাইরে। যা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে আমাদের দেশে সেই স্বাধীনতার পর থেকেই বি’চারহীনতার এমন সব ভ’য়া’ল নজির তৈরি হয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশের সর্বত্র অ’প’রাধ প্রবণতা জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে।

আমাদের দেশে পরী মণিরা রাষ্ট্রীয় অর্থে কেনা চিনি-লবণ-ঢেউটিন অথবা কম্বল চু’রি করেনি। আমাদের দেশে পরী মণিরা ক্র”সফা’য়ার-গু’ম-প্র’কাশ্যে হ’’ ‘ত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে উল্লাস নৃত্য করেনি। আমাদের দেশে সেই অনাদিকাল থেকে বর্গিরা, মীর জাফররা, লর্ড ক্লাইভরা, ইংরেজ অথবা পাকিস্তানিরা দেশের কেন্দ্রীয় রাজভাণ্ডার লু’ট করেনি। ফলে বাংলাদেশের গত এক শ’ বছরের ইতিহাসে অ’প’রাধ এবং অ’প’রাধী সম্পর্কে জনমনে যে ধারণা ছিল তা এখন সম্পূর্ণ বিপরীত হয়ে গেছে।

সৈয়দ শামসুল হকের কবিতার মতো যদি কোনো দেশের মাটি-বাতাস-পানি ন’ষ্ট হয়ে যায় তবে সেখানে ন’ষ্ট ফসল পয়দা হবে। আবার ন’ষ্ট ফসলের দ্বারা যে বীজ উৎপন্ন হয় তাও ন’ষ্ট এবং বি’ষা’ক্ত হয়ে থাকে। বি’ষাক্ত বীজের উৎপন্ন ফসল যারা ভক্ষণ করে তারাও ন’ষ্ট হয়ে যায়। এভাবে ন’ষ্টের পরিধি যখন সমাজ-সংসার-রাষ্ট্রকে গ্রাস করে তখন আকাশের লক্ষ তারা এবং পূর্ণিমার চাঁদের আলো ন’ষ্টামি থেকে জনজীবনকে রক্ষা করতে পারে না। অর্থাৎ ন’ষ্ট সমাজে বিধাতার আশীর্বাদও বিফলে পর্যবসিত হয়।

আমাদের জাতীয় ন’ষ্টামির শুরুটা হয়েছে বি’চারহীনতা থেকে। আমরা যেখানে সিরাজ শি’কদারের হ’ ‘ত্যাকা’ণ্ডের বি’চার হতে দেখিনি; কুমিল্লার একটি সংরক্ষিত এলাকায় খু’ ন হওয়া ত’রুণী ত’নুর হ’ ‘ত্যাকা’ণ্ডের বি’চার তো দূরের কথা ত’দন্ত প্রতিবেদন পর্যন্ত করতে দেখিনি। আমরা যেভাবে সাগর-রুনীর হ’’ ত্যাকা’ণ্ড সম্পর্কে খবর রাখিনি, তেমনি পরী মণিকে ধ’ ‘ণ ও হ’’ ত্যা চে’ষ্টার সুবিচার পাওয়ার খবরও অনাগত দিনগুলোতে হা’রিয়ে যে যাবে না তা সুনিশ্চিত নয়।

অ’ভিযুক্ত ব্যক্তি কিছু দিন পরে আবার মুক্ত বাতাসে সরযন্ত্রের ছক একে নতুন এক পরী মণির খোঁজ করতে ব্যস্ত হয়ে উঠবে। শত শত বোট ক্লাব–টলার ক্লাব–জাহাজ ক্লাব–বলগেট ক্লাব–কার্গো ক্লাব–স্পীড বোট ক্লাব খুলে বসবে আর কেউ সেখানে গেলে সে–ই হয়ে যাবে ন’ষ্টা–বে’হায়া–বে’পরোয়া–বে’শ্যা–নোং’রা আরো কত কি! দিনশেষে এসকল ক্লাবের মালিক পৃষ্ঠপোষকেরা হয়ে যান সাধুসন্ন্যাসী সমাজের প্রতিনিধি ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সুচরিত্রের অধিকারী।

এসকল সাধুদের লালায়িত তীক্ষ্ণদৃষ্টি আর নি’র্যাতনের স্বীকার হওয়া পরী মণিদের মতো ভু’ক্তভোগী কোনো নারীর সুবিচার পাওয়া সম্পর্কে কথাবার্তা বলা ও আমরা সেগুলো শোনার মতো সৎ সাহস তো রাখিই না। বরং এই ন’ষ্ট সমাজের ইতিবৃত্তে একজন ভু’ক্তভোগী না’রী প্রতিষ্ঠিত হলেও তাকে যে কি করে বার বার সমাজের কাছে ধ’র্ষি ত হতে হয়। সংগ্রাম আর ক’ঠোর বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হয়। একজন ভু’ক্তভো’গী নারী হিসেবে, সহকর্মী হিসেবে, প্রতিবেশী হিসেবে, সমাজের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে তার প্রাপ্য সম্মানটুকুতে যে কতটা সং’কট তৈরি হয়ে যায়। তা পরী মণির কন্ঠস্বরেই স্পষ্ট হয়ে চোখের সামনে ভেসে ওঠে।

পরী মণির সাথে একই অঙ্গণের সহকর্মী, বন্ধু ও দায়িত্বশীল থেকে শুরু করে বিশিষ্ট জনদের আচরণ দেখে সৈয়দ শামসুল হকের নূরলদীনের সারা জীবন কবিতার সেই অংশটি মনে পড়ে গেল। কবি লিখেছেন— ‘নিলক্ষা আকাশ নীল, হাজার হাজার তারা ঐ নীলে অগণিত আর নিচে গ্রাম, গঞ্জ, হাট, জনপদ, লোকালয় আছে উনসত্তর হাজার। ধবল দুধের মতো জ্যোৎস্না তার ঢালিতেছে চাঁদ-পূর্ণিমার! ন’ষ্ট ক্ষেত, ন’ষ্ট মাঠ, নদী ন’ষ্ট, বীজ ন’ষ্ট, বড় ন’ষ্ট যখন সংসার, তখন হঠাৎ কেন দেখা দেয় নিলক্ষার নীলে তীব্র শিস দিয়ে এতো বড় চাঁদ?’

কবিতায় বর্ণিত ন’ষ্ট বীজ এবং ন’ষ্ট সংসার শব্দমালার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য এবং পরী মণির কার্যকারণ যখন মেলানোর চেষ্টা করছিলাম ঠিক তখন চাঁদের আলো আমার কাছে যে কতটা বি’ষাক্ত বলে অনুভূত হচ্ছিল তা আপনাদের কাছে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। একজন সংস্কৃতি অঙ্গণের ভু’ক্তভো’গী সহকর্মীর দুর্দিনে আমাদের যেখানে তার পাশে দাড়াবার কথা ছিলো। আমরা তা না করে উল্টো তাকে কিভাবে অ’প’রাধী–দু’ষ্কৃত’কা’রী–দু’শ্চ’রিত্রা আর দূ’র্নীতিবাজ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা যায় তার ছক একে চলছি অবিরত।

আর যারা নদী দ’খল, জমি দ’খল করে মানুষের প্রাপ্য ব’ঞ্চিত করে, শত শত মায়ের বু’ক খা’লি করে সম্পদের পাহাড় গড়ে যে মধুকুঞ্জ খুলে বসেছে সেই কুঞ্জের ভ্রমররূপী খদ্দেরদের তালিকা পর্যালোচনা করলেই বোঝা যাবে আমাদের জাতীয় সাধু–গুরু–গণদিগের ন’ষ্টামি কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আমাদের দেশের দু’র্নীতিবা’জ রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের দৌরাত্ম্য, বিলাসিতা, অবাধ অ’পক’র্ম করার দুঃ’সাহস ইত্যাদি পর্যালোচনা করলেও পরিস্থিতি আন্দাজ করা যাবে। দুরাচার ব্যবসায়ী, নীতিহীন এবং অভব্য ভাড়াটিয়া বুদ্ধিজীবী, অ’পরা’ধী প্রকৃতির রাজনীতিবিদ এবং লোভী স্বার্থপর সুযোগ সন্ধানী এবং ভীরু জনগণ যখন যুগপৎভাবে ন’ষ্টা’মি শুরু করে তখন শত সহস্র চাঁদের আলো দিয়েও সেই নোং’রামি দূর করা যায় না।

আমাদের নদ-নদী-ক্ষেত এবং বীজ কতটা ন’ষ্ট হয়ে গেছে তা পরী মণির প্রতি আমাদের আচরণের মধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজপথে নারীবা’দীরা বিচার চেয়ে মিছিল বের করেনি। বুদ্ধিজীবীরা আঙ্গুল উঁচিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বি’রু’দ্ধে অ’ভিযোগ তু’লে গাল ফুলিয়ে বড় বড় কথা বলেনি।

আমরা আজকের আলোচনার একেবারে প্রান্তসীমায় চলে এসেছি। আলোচনার শুরুতে আমার নির্ঘুম রাত্রি যাপনের কসরৎ এবং ব্য’র্থতা সম্পর্কে বলছিলাম। যদি আবার একরাতে সকল চিন্তার অবসান ঘটিয়ে ব্যক্তিগত হিসেব মিলিয়ে ঘুমাতে পারি তাহলে মার্জারটিকে(বিড়াল) নিয়ে পরী মণির কাছে হাজির হয়ে তার বাসায় রক্ষিত এক গ্লাস রঙ্গিন পানীয় খেয়ে সম্মানিত পাঠকগণের কাছে আবারও হাজির হবার প্রত্যাশা রাখছি। আপাতত পরী মণির মতো হাজারো ভু’ক্তভোগী নারীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এই নিবন্ধের ইতি টানা ছাড়া আর কোনো উপায়ান্তর দেখছি না।

লেখক : রাজনীতিক ও কলামিস্ট।
[email protected]