ধ’ র্ষ’ণের আ’সামিকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে সুন্দরী বউ হারালেন শ্যামল

| আপডেট :  ৩ জুলাই ২০২১, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩ জুলাই ২০২১, ০৭:২১ পূর্বাহ্ণ

ধ”ণ মা’মলার এক আ’সামিকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে সুন্দরী বউ হারালেন শ্যামল মিয়া।ঢাকার ধামরাইয়ে জনি মিয়া নামের এক আ’সামিকে আশ্রয়া দেন শ্যামল। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাতে ধ’র্ষক জনি মিয়া শ্যামলের স্ত্রী আনমুনা আক্তার আখীকে নিয়ে উধাও

হয়ে যায়। অযথা তাদেরকে না খোঁজার জন্য মোবাইলে শ্যামলকে তার স্ত্রী বলেছেন, আমি আমার মনের মানুষের সঙ্গে চলে এসেছি, তুমি তোমার চিন্তা করো, আমার চিন্তা তোমার আর করতে হবে না।এরপর স্ত্রীর শো’কে পা’গলপ্রায় ওই আশ্রয়দাতা ওই ধ’র্ষ’ক জনির নামে ধামরাই থানায় একটি অ’পহ’রণ মা’ম’লা করেছেন।

শুক্রবার (২ জুলাই) বিকালে তিনি বা’দী হয়ে ওই ধ’র্ষ’কের বি’রুদ্ধে এ মা’মলাটি দা’য়ের করেন বলে জানা গেছে। তার স্ত্রীকে জি’ম্মি করে রাখা হয়েছে বলে অ’ভিযোগ করেছেন শ্যামল মিয়া।

জনা গেছে,গাজীপুর জে’লার কালিয়াকৈর সিনাবহ গ্রামের মৃ’ত খন্দকার মোশারফ হোসেনের ছেলে জনি মিয়া চৌহাট গ্রামে তার নানা আদম আলীর বাড়িতে থাকার সুবাদে একই সাকিনের এক ত’রুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি রাতে ২ বার ধ”ণ করে। এরপর ২৭ মার্চ ওই ত’রুণীর সঙ্গে শা’রীরিক স’ম্পর্কের ইচ্ছা পোষণ করলে সে তার তিন মাসের অ’ন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা জানায় এবং কাবিন রেজিস্ট্রি করে বিয়ের জন্য চা’প দেয়।

পরদিন কাবিন রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করার কথা বলে ওইদিন ওই ত’রুণীর সঙ্গে আবার সে শা’রীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে বিয়ে না করে উল্টো গ্রামের কতিপয় অ’সাধু মাতবরদের সহায়তায় ওই মেয়ের গ’র্ভপাত ঘটাতে ব্যর্থ হয়ে একঘরে করে রাখে ওই ত’রুণীর পরিবারকে।

এ ঘটনায় ২ মে ধামরাই থানায় নারী ও শি’শু নি’র্যা’তন দ’মন আইনে একটি মা’ম’লা দা’য়ের হয়। এরপর ধ’র্ষক জনি কহেলা রাজাপুর গ্রামের মো. শ্যামল মিয়ার বাড়িতে গিয়ে আত্মগো’পন করে। বন্ধুত্বের খাতিরে তাকে আশ্রয় দেন শ্যামল। এরপর শ্যামলের স্ত্রীর সঙ্গে ভাব জমে উঠে জনির। বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামল বাড়িতে না থাকার সুযোগে তারা বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়।

পরে তারা ওই রাতেই শ্যামলকে ফোন করে বলেন, আমরা একে অপরকে ভালোবেসে চলে এসেছি। আমাদের জন্য কোনো খোঁজাখুঁজি করে লাভ হবে না। এরপর শ্যামল নিরুপায় হয়ে শুক্রবার বিকালে ধামরাই থানায় একটি অ’পহরণ মামরা দা’য়ের করেন ওই ধ’র্ষকের বি’রুদ্ধে।

আশ্রয়দাতা শ্যামল বলেন, আমার সরলতার সুযোগে এত বড় স’র্বনাশ হলো। আমি একজন ধ’র্ষককে বন্ধুত্বের খাতিরে আশ্রয় দিয়ে মহা ভু’ল করেছি। আমার স্ত্রীকে আমি ফিরে পেতে চাই। তাকে ছাড়া আমি বাঁচব না।

ধামরাই থানার এসআই মশিউর রহমান বলেন, ধ’র্ষক আশ্রয়দাতার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তার বি’রুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি অ’পহরণ মা’মলা দা’য়ের হয়েছে। তাকে দ্রুত গ্রে’ফতারের চেষ্টা চলছে।