রাতে নারী চিকিৎসকের বাসায় ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ ধরা খেয়ে যা বলল আইসিটি কর্মকর্তা

| আপডেট :  ২ জুলাই ২০২১, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ জুলাই ২০২১, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী মেডিকেল অফিসার ও তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা (সহকারী প্রোগ্রামার) কাজী মঈনুল হোসেনকে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুন) রাতে এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দুজন কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

আটকের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোশতাক আহমেদ বলেন, ‘শুনেছি মঙ্গলবার রাতে ওই চিকিৎসকের কাছে একটি কাজে মঈনুল হোসেন যাওয়ার পর স্থানীয়রা তাদের বাইরে থেকে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এরপর বুধবার থেকে ওই চিকিৎসক ছুটির দরখাস্ত দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন।’

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতে চাটখিল বাজারের খোকন ভিডিওর গলিতে পপুলার মডেল ফার্মেসির দ্বিতীয় তলায় ওই নারী চিকিৎসকের ভাড়া বাসায় তথ্য ও প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. মঈনুল হোসেনকে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় অবরুদ্ধ করা হয়। পরে তালা দেয়া কয়েকজনের সঙ্গে সমঝোতা করে মঈনুল হোসেন সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্য ও প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. মঈনুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, তিনি মায়ের অসুস্থতার কারণে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

মঙ্গলবার রাতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওই চিকিৎসক আমার পূর্বপরিচিত ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মায়ের অসুস্থতার বিষয়ে তার পরামর্শ নিতে যাই। সেখানে তিনি একা ছিলেন। কথা বলতে বলতে রাত সাড়ে ১০টা বেজে যায়। পরে বের হওয়ার সময় দেখলাম বাইরে থেকে গেটে তালা লাগিয়ে আমাদের অবরুদ্ধ করা হয়েছে।’ তবে তিনি আপত্তিকর অবস্থায় অবরুদ্ধ হননি বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে জানতে ওই নারী চিকিৎসকের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। পরে সাংবাদিক পরিচয়ে মেসেজ পাঠানোর পর তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম মোসা (আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসা) জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে অভিযুক্তরা উপজেলার বাইরে থাকায় এর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তিনি এ ধরনের একটি বিষয় ফেসবুকে দেখেছেন বলে মন্তব্য করেন।