পরীমনির মা’মলায় নাসির-অমির জামিন

| আপডেট :  ২৯ জুন ২০২১, ১২:০৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৯ জুন ২০২১, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ধ”ণ-হ’’ত্যাচেষ্টার অ’ভিযোগে ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী পরীমনির মা’মলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং তার বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমির জা’মিন মঞ্জুর করেছেন আ’দালত। মঙ্গলবার (২৯ জুন) পাঁচ দিনের

রি’মান্ড শেষে তাদের ঢাকার চিফ জু’ডিশিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট আ’দালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মা’মলার ত’দন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কা’রাগারে আ’টক রাখার আবেদন করেন মা’মলা ত’দন্তকারী কর্মকর্তা সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন। অন্যদিকে তাদের আইনজীবীরা জা’মিন আবেদন করেন। উভ’য়পক্ষের

শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জু’ডিশিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমীদা তাদের জা’মিন আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর আগে বুধবার (২৩ জুন) ঢাকার চিফ জু’ডিশিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট রাজীব হাসান শুনানি শেষে তাদের পাঁচ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৫ জুন সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন তাদের গ্রে’ফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রি’মান্ডে নিতে আবেদন করেন। নাসির ও অমি মা’দক মা’মলায় রি’মান্ডে যাওয়ায় ওই দিন রি’মান্ড শুনানি হয়নি।মা’দক মা’মলায় রি’মান্ড শেষে আজ তাদের আ’দালতে হাজির করা হয়। এরপর বিচারক তাদের পরীমনিকে ধ”ণ-হ’’ত্যাচেষ্টার মা’মলায় করা রি’মান্ড আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

গত ১৪ জুন ধ”ণ-হ’’ত্যাচেষ্টার অ’ভিযোগে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অ’জ্ঞাত আ’সামি করে পরীমনি সাভার থানায় মা’মলা করেন।এরপর বি’ষয়টি নিয়ে তৎপর হয় পুলিশ। পরীমনির মা’মলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমিসহ পাঁচজনকে গ্রে’ফতার করা হয়। এরপর রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় করা মা’দক মা’মলায় সাত দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন।

মা’মলার এজাহারে বলা হয়, ‘গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িতে করে তারা উত্তরার উদ্দেশে রওনা হন। পথে অমি বলে বেড়িবাঁধের ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে।’

‘অমির কথামতো তারা সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করায়। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। অমি ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বলে এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পার।’

এজাহারে আরও বলা হয়, ‘তখন আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে এবং বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করে। টয়লেট থেকে বের হতেই এক নম্বর বিবা’দী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বি’ষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আ’সামি ম’দপানের জন্য জো’র করেন। আমি ম’দপান করতে না চাইলে এক নম্বর আ’সামি জো’র করে আমার মুখে ম’দের বোতল প্রবেশ করিয়ে ম’দ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমি সামনের দাঁতে এবং ঠোঁটে আ’ঘাত পাই।’

‘এক নম্বর আ’সামি (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) আমাকে অকথ্য ভাষায় গা’লিগা’লাজ করেন এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন এবং আমাকে জো’র করে ধ”ণের চেষ্টা করেন। তিনি উত্তেজিত হয়ে টেবিলে থাকা গ্লাস ও ম’দের বোতল ভা’ঙচুর করে আমার গায়ে ছুঁড়ে মা’রেন। তখন কস্টিউম ডিজাইনার জিমি নাসির উদ্দিন মাহমুদকে বা’ধা দিতে গেলে তাকেও মা’রধর করে জ’খম করেন।’

এজাহারে পরীমনি বলেন, ‘আমি প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন দিতে গেলে আমার ফোনটি কেড়ে নিয়ে ফে’লে দেয়া হয়। এ সময় দুই নম্বর আ’সামিসহ অ’জ্ঞাতনামা চারজন এক নম্বর আ’সামিকে ঘটনা ঘটাতে সহযোগিতা করেন। আমি অ’জ্ঞাতনামা আ’সামিদের দেখলে শনাক্ত করতে পারব।’

এজাহারে তিনি আরও বলেন, ‘দুই নম্বর আ’সামি অমি পরিকল্পিতভাবে আমাকে বর্তমান বাসা থেকে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে যায়। সে অ’জ্ঞাতনামা চারজন আ’সামি ও নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে এবং জো’রপূর্বক আমাকে ধ”ণের চেষ্টা করে। আমি আমার সঙ্গীদের সহায়তায় ধ’র্ষকের হাত থেকে রক্ষা পাই। রাত আনুমানিক ৩টায় আমি আমার গাড়িতে প্রায় অ’চেতন অবস্থায় অপর সঙ্গীদের সহায়তায় বাসায় ফিরে আসি।’

গত ১৩ জুন রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে ধ”ণ-হ’’ত্যাচেষ্টার অ’ভিযোগ তুলে বিচার চান পরীমনি। এরপর বি’ষয়টি নিয়ে রাতে সংবাদ সম্মেলন করেন। পরীমনি অ’ভিযোগ করেন, ‘আ’সামিরা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভ’য়ভীতি ও হু’মকি দিচ্ছে।