পরীমনির নৈ’শবিহারে যত চাঞ্চল্য

| আপডেট :  ২৮ জুন ২০২১, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ জুন ২০২১, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ণ

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। চলচ্চিত্রে এসেই তিনি যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি তার নানা রকম ব্যতিক্রমধর্মী আচরণ আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। চলচ্চিত্রের বোদ্ধারা বলেন যে, পরীমনি শুধু ছবিতে অভিনয়ের জন্য যতটা আলোচিত

তার চেয়ে আলোচিত বিভিন্ন কা’ণ্ডকীর্তি করে। যদিও কেউ কেউ এসব বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়। তারা মনে করেন যে, পরীমনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্র’ভাবশালী নায়িকাদের মধ্যে একজন এবং তার প্রতিভা আছে জন্যই তিনি আজকের জায়গায় এসেছেন। কিন্তু যে মতই হোক না কেন পরীমনি চলচ্চিত্রে শুধু অভিনয়ের জন্য যতটা আলোচিত তার চেয়ে বেশি আলোচিত নানারকম বি’তর্কে জন্ম দিয়ে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বি’ষয়ে বি’তর্ক করে তিনি আলোচনায় এসেছেন।

অবশ্য শোবিজের তারকাদের সম্বন্ধে একটা কথা প্রচলিত আছে, যাকে নিয়ে যত বি’তর্ক হবে তিনি ততো দর্শক চাহিদার শীর্ষে থাকবেন। এজন্য শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বেই শোবিজ তারকারা নানারকম বি’তর্কের জন্ম দেন লাইমলাইটে থাকার জন্য। আর পরীমনিও এরকমই লাইমলাইটে থাকার জন্যই বিভিন্ন সময় নানা রকম বি’তর্কের ইস্যু তৈরি করেন কিনা সেটিও একটি দেখার বি’ষয়।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনায় যে পরীমনি আলোচনায় এসেছেন, সেই বোট ক্লাবের ঘটনার প্রেক্ষিতে পরীমনি সম্পর্কে অনেক তথ্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। কোনটি সত্য কোনটি মি’থ্যা সেটা পরের বি’ষয়। তবে একটি বি’ষয় সকলেই বলেছেন যে রাতের বেলা অ’স্থির হয়ে ওঠেন পরীমনি এবং প্রায়ই তিনি নৈ’শবিহারে বের হন এবং এই সমস্ত নৈশ অ’ভিযানগুলো অনেক ক্ষেত্রেই অ’প্রীতিকর হয়।

শুধু যে বারে বা ক্লাবে গিয়ে পরীমনি উ’শৃঙ্খল আচরণ করেন এমন নয়। অনেক সময় সুটিং এ গিয়েও রাতের বেলা হারিয়ে যান পরীমনি। এরকম অ’ভিযোগও করেছেন কেউ কেউ। তবে এই সবই যে সীমার বাইরে চলছে তা না, রাতের বেলা হৈ চৈ, তামশা ইত্যাদি করতে তিনি পছন্দ করেন এবং প্রায়ই তাকে দলবল নিয়ে নৈশ অ’ভিযানে যেতে দেখা গেছে বলে অনেকে মনে করেন।

আর এই সমস্ত নৈশ অ’ভিযানে কেচ্ছা কাহিনীগুলো এখন সামনে আসছে পরীমনির ঘটনার পর। চলচ্চিত্র পরিচালক এবং প্রযোজকরা বলছেন যে, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী তিনি সমাজের আইকন। কাজেই সমাজের অন্যরা তাকে অনুসরণ করে। কাজেই তার এমন কোনো আচার আচরণ করা উচিত না যেতেই শোবিজ সম্বন্ধে মানুষের নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করে।

ঢাকার চলচ্চিত্রের একজন বোদ্ধা পরিচালক বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন যে, এমনি এখন চলচ্চিত্রে মন্দার সময়। তার ও’পর যখন পরীমনি এ ধরনের আচরণগুলো করেন তখন সমস্ত শোবিজ সম্পর্কেই নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। আর ঢাকার চলচ্চিত্রের একজন নায়িকা বলেছেন, এমনি চলচ্চিত্রের নায়িকা`র এটির সামাজিক মর্যাদা নাই। সাধারণ মানুষ অনেক নেতিবাচক মন্তব্য করেন।

তারপর পরীমনির এই ঘটনাগুলো যখন প্রকাশিত হচ্ছে তখন কেউ সত্য মি’থ্যা যাচাই করছে না। বরং এ ঘটনার ধরে পুরো শোবিজ সম্পর্কেই একটি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে মানুষের মনে। এটা চলচ্চিত্রের জন্য ইতিবাচক নয়। তবে পরীমনির পক্ষেও লোকজন চলচ্চিত্রে আছে। তারা মনে করছেন পরীমনি যেমনটি তেমনটি।

এই উচ্ছলতা এবং সপ্রতিভতাই পরীমনিকে ব্যতিক্রম করেছেন এবং এটি পরিবর্তন করলে তখন আর তিনি পরীমনি থাকবেন না। তবে বোট ক্লাব বি’তর্কে শেষ পর্যন্ত পরীমনির ক্যারিয়ার কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটি দেখতে হলে আরও অপেক্ষা করতে হবে। সুত্রঃ বাংলা ইনসাইডার