বিয়ের একদিন পরই সেই চেয়ারম্যানকে তালাক দিল কিশোরী

| আপডেট :  ২৭ জুন ২০২১, ০৪:১০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ জুন ২০২১, ০৪:১০ পূর্বাহ্ণ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজে’লায় বিয়ের পরদিনই অষ্টম শ্রেণির সেই কি’শোরী (১৪) তা’লা’ক দিয়েছেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে (৬০)। যিনি বিয়ে পড়িয়েছেন তাঁর মাধ্যমে আজ শনিবার সন্ধ্যার দিকে চেয়ারম্যানকে তা’লা’ক দিয়ে পরিবারের কাছে ফেরে কি’শোরী।

কি’শোরী ও তাঁর বাবা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন। চেয়ারম্যান নিজেও মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। শাহিন হাওলাদার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

প্রেমের টানে এক তরুণের হাত ধরে বাড়ি ছেড়েছিল ওই কি’শোরী। বি’ষয়টি জানার পর কি’শোরীর বাবা নালিশ দিয়েছিলেন চেয়ারম্যানের কাছে। চেয়ারম্যান সালিসে বসার পর মেয়েটিকে পছন্দ হয়ে যায়। পরে তিনি ওই কি’শোরীকে (১৪) বিয়ে করেন।

ওই কি’শোরী শনিবার বলেন, ‘চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম পছন্দের ব্যক্তিকে বিয়ে করতে। কিন্তু বিয়ে করতে হয়েছে চেয়ারম্যানকে। আমি এক রাত চেয়ারম্যানের বাসায় থাকলেও কোনোভাবেই তাঁকে আমি স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারিনি। চেয়ারম্যান তা বুঝতে পেরে তা’লা’ক দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।’

এ বি’ষয়ে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বলেন, ‘সালিস বৈঠকে মেয়ের বাবা কোনোভাবেই মেয়ের পছন্দের ছেলের কাছে বিয়ে দিতে রাজি ছিল না। তাই কাজি ডেকে বিয়ে করেছিলাম। কোনো প্রভাব কিংবা জো’র করিনি। যেহেতু মেয়ে বিয়েটা ভালোভাবে মেনে নিচ্ছিল না। তাই যিনি বিয়ে পড়িয়েছেন তাঁর মাধ্যমে আজ (শনিবার) সন্ধ্যার দিকে মেয়েটি আমাকে তা’লা’ক দিয়েছে এবং তাকে তাঁর বাবার হাতে তুলে দিয়েছি।’

স্থানীয় লোকজন ও মেয়েটির পরিবারের ভাষ্য, কাজি ডেকে শুক্রবার দুপুরে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান। বিয়ের কাবিননামায় মেয়েটির জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৩ সালের ১১ এপ্রিল। কিন্তু বিদ্যালয়ে থাকা জন্মনিবন্ধন ও পঞ্চম শ্রেণি পাসের সনদ বলছে, মেয়েটির জন্ম ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল। বিয়ের পর মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান চেয়ারম্যান। তবে বাড়িতে তাঁর প্রথম স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা ছিলেন না।

চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিয়ের খবর শুনে শুক্রবার কি’শোরীর প্রেমিক তরুণটি আত্মহ’ ‘ত্যার চে’ষ্টা করেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। অ’চেতন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাঁকে উপজে’লা স্বা’স্থ্য ক’মপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ফিরোজ আলম।

শনিবার সকালে উপজে’লা স্বা’স্থ্য কমপ্লেক্সে চি’কিৎসাধীন তরুণটি বলেন, ‘ওকে আমার কাছে এনে দেন। আমি ওকে ছাড়া বাঁ’চব না।’