নতুন ক্ষেপণাস্ত্রে আরো ভয়ঙ্কর তুরস্ক!

| আপডেট :  ২১ জুন ২০২১, ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ জুন ২০২১, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

আতমাকা জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির মধ্য দিয়ে অভ্যন্তরীণ ও দেশীয় উত্পাদনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অর্জিত হলো।

আনাদোলু অ্যাজেন্সির পাওয়া তথ্য মতে, পানির উপরিভাগের যুদ্ধের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূ্র্ণ এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিদেশী উত্পাদনের উপর তুরস্কের নির্ভরশীলতা কমাবে, নৌবাহিনী নেতৃত্বের প্রয়োজন পূরণ করবে এবং দেশীয় খরচে তৈরি একটি শক্তিশালী অস্ত্রের অভাব পূরণ করবে।

কাগজে কলমে আতমাকার পাল্লা ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) হলেও শুটিং পরীক্ষায় এটি ২৫০ কিলোমিটার (১৫৫ মাইল) পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।তথ্য সংযোগের মাধ্যমে এটি লক্ষ্যবস্তু হালনাগাদ করতে পারে এবং অভিযান বাতিল করতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু পরিবর্তন করানো এবং অন্য লক্ষ্যবস্তুর দিকে প্রেরণ করানো সম্ভব।

আতমাকা একাধিক মিসাইলকে একই সাথে মোকাবিলা করতে পারে সক্ষম। কারণ এর নিজস্ব গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে।পানির উপরিভাগ এর বিশেষ চলনক্ষমতা রয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে এটি ৫ মিটার (২৬ ফুট) উচ্চতায় চলে এবং ৩ মিটার (১০ ফুট) উপরে আঘাত হানে।

ইতিমধ্যে আতমাকা ২০টি হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে পরীক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রটি সক্ষমতার ক্রমাগত উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে।তুর্কি অস্ত্র নির্মাতা ‘রকেস্তান’ আতমাকার প্রশংসা করে বলেছে, আতমাকা নির্ভুল,

দীর্ঘ-পাল্লার, উপরিভাগ-থেকে-উপরিভাগ , সঠিকভাবে আঘাত হানতে সক্ষম জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এটি টহলদার জাহাজ এবং ফ্রিগেট-করভেট রণতরিতে ব্যবহৃত হতে পারে। তারা আশা করছে আতমাকা মার্কিন-নির্মিত হারপুন মিসাইলকে প্রতিস্থাপিত করবে।

আজারবাইজানে তুর্কি সামরিক ঘাঁটির ওপর বিশেষ নজর রাখা হবে : রাশিয়া
রাশিয়ান সীমান্তের কাছে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর সামরিক স্থাপনার ওপর বিশেষভাবে নজর রাখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ান সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ। শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটির সীমান্তের কাছে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে দিমিত্রি পেশকভ মূলত তুরস্কের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। আজারবাইজানে তুরস্কের ঘাঁটি নির্মাণ করার জোর সম্ভাবনা থাকায় দিমিত্রি পেশকভ এ মন্তব্য করেছেন বলে একাধিক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবারে আজারবাইজানে তুর্কি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের বিষয়ে রাশিয়ার পরররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে প্রশ্ন করা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই সময় সের্গেই ল্যাভরভ বলেন যে তিনি গুজবের

ওপর ভিত্তি করে কোনো মন্তব্য করবেন না।এদিকে আগামী মঙ্গলবার থেকে রাশিয়া তুরস্কের সাথে তাদের বিমান যোগাযোগ আবারো চালু করে দিতে যাচ্ছে। এর ফলে তুরস্কে ব্যাপক হারে রাশিয়ান পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হবে বলে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তুরস্কে রাশিয়ান পর্যটকরা সব চেয়ে বেশি ভ্রমণ করে থাকেন। ২০১৯ সালে ৭০ লাখ রাশিয়ান পর্যটক তুরস্কে তাদের অবসর সময় কাটান। একক দেশ হিসেবে রাশিয়াই তুরস্কের সবচেয়ে বড় পর্যটক যোগানদাতা রাষ্ট্র। মহামারীর মধ্যে ২০২০ সালেও ২৭ লাখ রাশিয়ান তুরস্কে ভ্রমণ করতে যান।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি