সব
বিশেষ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে গৃ’হবধুকে (৩২) গনধ”ণের অ’ভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আ’টক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৮ জুন) দ্বিবাগত রাতে উপজে’লার বিসকা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
এ বি’ষয়ে ভিক্টিম গৃ’হবধুর ছোটভাই বলেন, ঘটনার রাতে সাড়ে ৯ টার দিকে আমার বোন স্বামীর বাড়ি থেকে ছোট বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বিসকা ইউনিয়নের খালেক মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (৩২) ও একই ইউনিয়নের জাহেদ মোল্লার ছেলে মোখলেছ ওই গৃ’হবধুর রাস্তা রোধ করে। পরে ওই গৃ’হবধু দৌড় দিয়ে পাশে বাড়িতে উঠলে সেখান থেকে ধরে এনে নি’র্জন স্থানে নিয়ে যায়।
নির্জন স্থানে নিয়ে গৃ’হবধুর কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। তবে, ওই গৃ’হবধু বিকাশে ৪ হাজার টাকা এনে আবু বক্কর ও মোখলেছ মিয়ার হাতে তুলে দেয়। এদিকে মোখলেছ মিয়া ও আবু বক্কর ওই এলাকার আরও ২ জনের কাছ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়। সেখানে রাতভর ওই গৃ’হবধুকে ৪ জন মিলে ধ”ণ করে।
পরদিন শনিবার (১৯ জুন) ভোররাতে ভিক্টিম গৃ’হবধু বাড়িতে ফিরে তার পরিবারের লোকজনকে বি’ষয়টি জানালে তারা তারাকান্দা থানায় বি’ষয়টি মৌখিকভাবে জানায়। বি’ষয়টি জানতে পেরে ওই দিনই তরাকান্দা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে ওই দিন দুপুরে ভিক্টিম গৃ’হবধুসহ থানায় গিয়ে রাত ৩ টা পর্যন্ত অ’ভিযোগ লিখিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে এবং রবিবার (২০ জুন) মা’মলা এফআইআর করবেন বলে বাড়িতে ফিরে আসে।
রবিবার (২০ জুন) ভিক্টিম ও তার ভাই থানায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে কাশিগঞ্জ বাজারে আসলে তারাকান্দা উপজে’লা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া ৩ লক্ষ টাকায় মিমাংসা করবেন বলে দিনভর শালিশ দরবার করেন। তবে, মি’মাংসা করার বি’ষয়টি অ’স্বীকার করে তারাকান্দা উপজে’লা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া বলেন, মিমাংসার বি’ষয়টি আমার জানা নেই। আমি এ বি’ষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করিনি।
আমি নিজেই ভিক্টিম ও তার ভাইকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম। গতরাতে একজনকে আ’টক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। গনধ”র্ষনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তারাকান্দা থানার ওসি (ত’দন্ত) ঝুটন কুমার বর্মণ বলেন, অ’ভিযোগ দেয়ার গতরাতে অ’ভিযান চা’লিয়ে জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আ’টক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মা’মলা দা’য়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।