সুস্থ হয়েও প্রতিবন্ধী ভাতা তুলছেন স্বামী-স্ত্রী

| আপডেট :  ২১ জুন ২০২১, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ জুন ২০২১, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অনেকেই সমাজের বোঝা মনে করেন। বেশিরভাগ সময়েই তারা অবহেলার শিকার হন। আর একারনে প্রতিবন্ধীদের জীবনযাত্রার সহজ করার জন্য সরকার ব্যবস্থা করেছে প্রতিবন্ধী ভাতার। কিন্তু শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাই নন, ভুল তথাকথিত দিয়ে অনেক সুস্থ মানুষও প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা গ্রহণ করছেন।

সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের শিবপাশা গ্রামে। গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে তারু মিয়া ও তার স্ত্রী সমলা বেগম সম্পূর্ণ সুস্থ হলেও ভুল তথ্যের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিবন্ধী দাবি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন সরকারি উপকারভোগীদের টাকা। স্থানীয় ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার প্রত্যয়নের পর সরকারি তালিকাভুক্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা এ ভাতা নিচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, মদন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে তারু মিয়ার প্রতিবন্ধী ভাতার বহি নং ১৫৩ ও তার স্ত্রী সমলা বেগমের বহি নং ১৫৭ । সব নিয়ম মেনে প্রতিবন্ধী ভাতাও তুলছেন নিয়মিত। সব মিলিয়ে তিন মাস পর পর সাড়ে চার হাজার টাকা ভাতা তুলে নিচ্ছেন এ দম্পতি। এ বিষয়ে এলাকার কিছু সচেতন মানুষ জানলেও তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউই মুখ খুলছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সমলা বেগম বলেন, ‘তাদের দুজনের নামে ভাতার কার্ড আছে ও তারা নিয়মিত ভাতা উত্তোলন করছেন।’ তবে তারা প্রতিবন্ধী কি-না এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

তিয়শ্রী ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আয়নূল হক এ বিষয়ে বলেন, তারু মিয়া ও তার স্ত্রী সমলা আক্তার প্রতিবন্ধী না হয়েও নিয়মিত ভাতা উত্তোলন করছেন এবিষয়টি আমি কয়েকদিন হলো জেনেছেন। তাদের এ কর্মকাণ্ডের ফলে যারা প্রকৃত প্রতিবন্ধী তারা ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে
তিনি ইতোমধ্যে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন এবং দ্রুত তালিকা থেকে তাদের নাম বাতিল করার জন্য বলেছেন।

এ বিষয়ে ভাতা কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহ জামান আহমেদ বলেন, এ দম্পতির নাম বাতিল করা হবে। এছাড়া প্রতারণা করে ভাতা উত্তোলনের দায়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে কথা বলা হবে।