মেহজাবিন ও তার বোনকে দিয়ে ‘দে’হ ব্যবসা’ করাতেন মা মৌসুমী!

| আপডেট :  ২০ জুন ২০২১, ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ জুন ২০২১, ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর কদমতলীর একটি বাসা থেকে একই পরিবারের তিনজনের হা’ত-পা বাঁ’ধা লা’শ উ’দ্ধার করা হয়েছে। হ’’ত্যার চেষ্টা করা হয়েছে আরও দুজনকে। শনিবার সকালে জুরাইনের মুরাদপুরে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুলের (২০) ম’রদেহ উ’দ্ধার করা হয়।

অ’চেতন অবস্থায় মেয়ের জামাই শফিকুল ইসলাম ও নাতনি তৃপ্তিকে উ’দ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওই পরিবারের বড় বোন মেহজাবিন ইসলাম মুনকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। তাকে জি’জ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, পরিবারের সবার প্রতি ক্ষো’ভ থেকে সবাইকে ঘু’মের ও’ষুধ খাইয়ে অ’চেতন করে শ্বা’সরো’ধে হ’’ত্যা করেছেন ২৪ বছর বয়সী ওই নারী। শফিকুল হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার রাতে তার স্ত্রী তাকে চা দিয়েছিল। সেই চা পানের পর আর কিছু তার মনে নেই।

কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, ‘সে (মেহজাবিন) কৌশলে বাসার সবাইকে ঘুমের ও’ষুধ খাওয়ানোর পর সবাই অ’চেতন হয়ে যায়। এরপরই সকলের হা’ত-পা র’শি দিয়ে বাঁ’ধে। পরে গ’লায় রশি পেঁ’চিয়ে শ্বা’সরো’ধে হ’’ত্যা করে।’

ডিএমপির ওয়ারি বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘মেহজাবিনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, বাবা না থাকায় তার মা তাকে এবং তার ছোট বো’নকে (নি’হত জান্নাতুল) দিয়ে দে’হ ব্যবসা করাত। এসব নিয়ে প্র’তিবাদও করেছিল সে, কিন্তু কোনো ফল হয়নি।

‘তার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ছোট বোনকে দিয়ে ব্যবসা চলছিল। এর মধ্যে তার স্বামী ছোট বোনের সঙ্গে স’ম্পর্ক গড়ে তো’লে।’ এছাড়া মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা ওমানে আরেকটি বিয়ে করেছেন। এসব মিলিয়ে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষো’ভ থেকে পরিবারের সবাইকে হ’’ত্যার প’রিকল্পনা করেন বলে মেহজাবিন পুলিশকে জানিয়েছেন।

তবে মেহজাবিনের একার পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো কতটুকু সম্ভব, এ নিয়ে পুলিশের মধ্যে স’ন্দেহ দেখা দিয়েছে। কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, ‘মেহজাবিনের স্বামীকেও আমরা স’ন্দেহের বাইরে রাখছি না। তাকেও জি’জ্ঞাসাবাদ করা হবে। সম্পত্তির বি’ষয়ও এখানে রয়েছে। ত’দন্তে এসব আসবে।’