পরীমনিকাণ্ডে আলোচনায় সেই মডেল তিন্নি

| আপডেট :  ১৬ জুন ২০২১, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ জুন ২০২১, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধ”ণ ও হ’’ত্যাচেষ্টার ঘটনা নিয়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়, সেই সময় নতুন করে আলোচনায় আসলেন নি’হত মডেল কন্যা সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি। কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে তিন্নির লা’শ পাওয়া যায়। প্রায় ১৯ বছর আগে চাঞ্চল্যকর এ হ’’ত্যাকাণ্ডের বিচার এখনও সম্পন্ন হয়নি।

পরীমনিকাণ্ডের বিচার দাবিতে বিভিন্ন মহল সোচ্চার হয়েছে। অনেকেই ঘটনার তীব্র নি’ন্দা জানিয়েছেন। সেই সময় নতুন করে নি’হত মডেল তিন্নিকে সামনে আনলেন হালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি।

পরীমনিকে ধ”ণ ও হ’’ত্যাচেষ্টার প্র’তিবাদ জানাতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সোমবার একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। সেখানে মডেল তিন্নির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ছোটপর্দার এই অভিনেত্রী।

খুশির স্ট্যাটাসটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
‘মডেল তিন্নির কথা মনে আছে? হার্টথ্রব মডেল ছিল! বুড়িগঙ্গা সেতুর নিচে লা’শ পড়ে ছিল! সব কিছুই জানা ছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি। ক্ষমতার অপসংস্কৃতি সবচেয়ে আলোকিত হয়েছে! সত্যকে আড়াল করার ন’গ্ন চেষ্টা চলেছে অতীতেও…।

পরীমনি কয়টা প্রেম করবে, কয়টা বিয়ে করবে, কয়টা ডি’ভোর্স করবে, কার সঙ্গে ডেট করবে, কে প্রিয় হবে, কাকে ঘৃণা করবে- এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত বি’ষয়।
অনেক বড় বড় ক্ষমতাধরদের স’ন্তানরা বিদেশে বসে কী কী করছে, তা সবাই না জানলেও, কেউ কেউ জানে। মিডিয়ার মানুষদের জীবন আপনাদের মতো হবে না তো! তাদের হাসি/কা’ন্না/সৌন্দর্য্য/আনন্দ/পছন্দ একটু হলেও অন্য বোধের জন্যই তো, ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র, এমন বাস্তব করে রূপায়ন করতে পারে। আপনাদের বি”কৃত রুচির খোরাক তারা নয়, এটা বুঝতে হবে এবং মানতে হবে।

যে দেশে ক’রোনায় হাজার হাজার মানুষ কর্ম হারা হয়েছে। পরিবারের নিকটজনকে হা’রিয়ে পা’গলপ্রায়, হাসপাতালগুলোতে রো’গী আর রো’গীর স্বজনদের নানান অসমঞ্জস্যতায় দিশেহারা অবস্থা, সে দেশে রাতের বেলায়, স্ট্যাটাস ক্লাবগুলো আলোকিত হচ্ছে, সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত। টাকা এবং ক্ষমতা ব্যবহারে মরিয়া হয়ে উঠে সুইট ভাইয়ারা!

এদের কোনো বদনাম নাই! স্ত্রী-স’ন্তান রেখে যারা ক্লাবে/বাগান বাড়িতে রোজ অসভ্যতা উগড়ে দেয়, তাদের জন্য কোনো আইন নাই, বদনামি নাই!! সকালে স্যুট-টাইয়ের আড়ালে ঢাকা পড়ে সব।

দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে যদি মানবিক প্রবৃত্তিগুলোর উন্নয়ন না হয়, তাহলে সবটাই বৃথা আসলে। মানুষ ছাড়া রাষ্ট্রীয় অভ্যন্তরীণ কোনো অবয়ব হয় কি? সে মানুষ যদি পঁচে যায়/গলে যায়, তাহলে দেশ অ’সুস্থ হবে বৈকি। সে পঁচা-গ’লা দুর্গন্ধে সবাই আ’ক্রান্ত হবে, তা হোক আজ, না হয় কাল।

পরীমনির ঘটনার সুষ্ঠু ত’দন্ত হোক, দো’ষী যত ক্ষমতাধর হোক, আইন তাকে চিনে নিক, এটা বিনীত প্রার্থনা।
ক্ষমতাধর, বীরপুরুষ, ঘোর লাগা সুইট ভাইয়াদের প্রতি আকুল আবেদন, ক্ষমতা, পেশীশক্তি, কিংবা টাকা দিয়ে নয়, প্রেম দিয়ে মানুষ/সম্পর্ক অর্জন করেন! নতুবা আইন আপনাকে আজ চিনতে না পারলেও, আমজনতা ঠিকই চিনে রাখছে, প্রতিদান দিতে তারা কার্পণ্য করবে না! হয়তো বা দুদিন দেরি হবে!’